ল্যাবরেটরির নিরাপদ ব্যবহার
Safe use of the laboratory
barcode
এ অধ্যায়ের পাঠ্যসূচী
ল্যাবরেটরির নিরাপদ ব্যবহার
Safe Use Of Laboratory
straight3
লাভোয়াজিয়ে (২৬ আগস্ট ১৭৪৩-৮ মে ১৭৯৪)
আধুনিক রসায়নের জনক
রসায়ন হলো ল্যাবরেটরি বা পরীক্ষাগারকেন্দ্রিক বিজ্ঞান। পরীক্ষাগারে বিভিন্ন রাসায়নিক পদার্থের বৈশিষ্ট পরীক্ষা, পর্যবেক্ষণের মাধ্যমে শিক্ষার্থীরা রসায়নের বিষয়বস্তুকে সঠিকভাবে জানতে পারে। ল্যাবরেটরিতে বিভিন্ন রাসায়নিক দ্রব্যাদি নিয়ে কাজ করতে হয়। সব রাসায়নিক যৌগই কম-বেশি ক্ষতিকর। কোন কোন রাসায়নিক পদার্থ সত্যিকার অর্থেই বিপজ্জনক। তাই কতগুলো সতর্কতা রসায়নের শিক্ষার্থীদের জানা আবশ্যক। যেমন ল্যাবরেটরিতে নিজের ও সহপাঠীর সুরক্ষার কৌশল, গ্লাসসামগ্রী ব্যবহারবিধি, নির্ভুল পরিমাপ প্রক্রিয়া, পরিষেশের ওপর রাসায়নিক দ্রব্যের ক্ষতিকর প্রভাব এবং প্রভাব হ্রাসকরণ উপায়, রাসায়নিক দ্রব্যের পরিমিত ব্যবহার নিশ্চিতকরণ এবং সর্বোপরি যেহেতু ল্যাবরেটরিতে আগুন নিয়ে কাজ প্রায়ই করতে হবে বা বিভিন্ন বিষাক্ত রাসায়নিক দ্রব্য ব্যবহার করতে হবেই, তাই সর্বোচ্চ সচেতনতার পাশাপাশি দুর্ঘটনার হাত থেকে রক্ষার কৌশল জেনে রাখতে হবে।
সকল আবিষ্কারের মূলেই রয়েছে গঠনমূলক বৈজ্ঞানিক চিন্তা ও উন্নতমানের গবেষণা। ল্যাবরেটরিতে মানসম্মত, ত্রুটিমুক্ত ও নির্ভুল বৈজ্ঞানিক গবেষণার ফলাফলের ভিত্তিতেই সঠিক সিদ্ধান্তে উপনিত হওয়া যায়। ল্যাবরেটরিতে প্রতিটি পরীক্ষার সময় পরীক্ষাসংশ্লিষ্ট যন্ত্রের ব্যবহারবিধি সম্পর্কে পরিপূর্ণ জ্ঞান থাকা আবশ্যক। রাসায়নিক দ্রব্যের সংরক্ষণ ও ব্যবহারের সর্কতামূলক ব্যবস্থা জানা থাকা প্রয়োজন। ব্যবহৃত রাসায়নিক পদার্থের ঝুঁকি ও ঝুঁকির মাত্রা কিরূপ, উপাদান বিষাক্ত, ক্ষারক, ক্ষয়কারক, ক্যান্সার সৃষ্টিকারক, বিস্ফোরক না দাহ্য সে বিষয়ে অবশ্যই পূর্ণাঙ্গ ধারণা থাকা প্রয়োজন। ল্যবরেটিতে কোন কারণে দুর্ঘটনা ঘটলে তা প্রতিরোধ করার মত প্রয়োজনীয় নিরাপত্তা সামগ্রী রাখার ব্যবস্থা নিশ্চিত করতে হবে। এসব নিরাপত্তা সামগ্রীর ব্যবহারবিধি সম্পর্কে পরিপূর্ণ জ্ঞান ও ব্যবহারের দক্ষতা ও কৌশল জানা প্রয়োজন।
ল্যাবরেটরি ব্যবহার বিধি
Principles of Laboratory Use
রসায়ন একটি সম্পূর্ণ পরীক্ষানির্ভর বিজ্ঞান। পরিক্ষা-নিরীক্ষার মাধ্যমে বিজ্ঞানের চর্চাই আধুনিক বিজ্ঞানের রীতি। এক পদার্থের সাথে অন্য পদার্থের ক্রিয়ার মাধ্যমে কিভাবে এদের পরিবর্তন ঘটে সে বিষয়ে বৈজ্ঞানিক পর্যালোচনার জন্য রসায়ন গবেষণাগারে বিভিন্ন পরীক্ষা সম্পন্ন করার প্রয়োজন হয়। এসব পরীক্ষার ফলাফল নিখুঁতভাবে পর্যবেক্ষণ করে সঠিক সিদ্ধান্তে উপনিত হতে হয়। এ বিষয়ে প্রথমেই প্রয়োজন সমস্ত ইন্দ্রিয়কে সজাগ রেখে একাগ্রতা ও সাবধানতার সাথে সকল পরীক্ষা সুষ্ঠুভাবে ও সঠিক নিয়মে সম্পন্ন করা। অনেক সময় একই পরীক্ষা একাধিকবারে সম্পন্ন করে সেই ফলাফল পর্যবেক্ষণ করার পর সঠিক সিদ্ধান্তে পৌঁছতে হয়। রসায়নের ব্যবহারিক ক্লাসে রসায়নাগারে খুব সতর্কতার সহিত ও মনযোগ সহকারে কাজ করা বাঞ্ছনীয়। অন্যথায় প্রতি মুহূর্তে নানাবিধ বিপদের সম্ভাবনা থাকে। ল্যবরেটরিতে একই সাথে অনেক সহপাঠী কাজ করে। এসময় নিজের নিরাপত্তার সাথে অন্যন্য সহপাঠীদের নিরাপত্তার বিষয়টিও গুরুত্ব সহকারে মনে রাখা প্রয়োজন।
সর্বোপরি ল্যবরেটরিতে শিক্ষকের পরামর্শ ও নির্দেশ মতো সকল পরীক্ষার কাজ সম্পন্ন করে একাগ্রচিত্তে ও সতর্ক দৃষ্টিতে পর্যবেক্ষণ করেই সঠিক সিদ্ধান্তে উপনত হতে হয়। ল্যবরেটরিতে কাজের সাফল্য অর্জন করতে হলে প্রত্যেক ছাত্রছাত্রীকে একাগ্রতা, সতর্কতা ও সুশৃঙ্খলতার সাথে ধারাবাহিকভাবে কাজ করার অভ্যাস করা একান্তই প্রয়োজন। কোন পরীক্ষা আরম্ভ করার পূর্বে উক্ত পরীক্ষার বিষয়বস্তু, কার্যপ্রণালী, যন্ত্রপাতির ব্যবহারবিধি ইত্যাদি বিষয়ে শ্রেণী শিক্ষক করণীয় ও প্রয়োজনীয় দিক নির্দেশনা প্রদান করবেন। কি পরীক্ষা করতে হবে, কিভাবে করতে হবে, পরীক্ষা সম্পন্ন করার ক্ষেত্রে কি কি অসুবিধা হতে পারে ইত্যাদি না জেনে কখনও পরীক্ষার কাজ আরম্ভ করা উচিত নয়। এছাড়া ল্যবরেটরিতে দাহ্য, বিষাক্ত, বিস্ফোরক ও বিপজ্জনক বিভিন্ন প্রকার রাসায়নিক দ্রব্য নিয়ে কাজ করতে হয়। অন্যমনস্ক হওয়া, গোলমাল করা, কাজ করার সময় অন্যের সাথে কথাবার্তা বলা ও অসতর্ক হওয়ার ফলেই দুর্ঘটনা ঘতে। সতর্ক ও সচেতন দৃষ্টি এবং সৃঙ্খলা ও নীরবতা ব্যবহারিক ক্লাসে একান্ত প্রয়োজন। নিচে ল্যবরেটরিতে ব্যবহৃত জরুরী কয়েকটি উপকরণ দেওয়া হলোঃ
অ্যাপ্রোন
Apron
straight3 ল্যবরেটরিতে কাজের সময় ঢিলা জামাকাপড় ব্যবহার করা উচিত নয়। প্রত্যেক ছাত্রছাত্রী ল্যবরেটরিতে প্রবেশ করার পূর্বে সাদা অ্যাপ্রন (Apron)বা ল্যাব কোট পরে নিতে হবে। এতে প্রথমত শিক্ষার্থীর মানষিক প্রস্তুতি লাভ; দ্বিতীয়ত রাসায়নিক দ্রব্য থেকে কলেজ ড্রেস সুরক্ষা ও তৃতীয়ত রাসায়নিক দ্রব্যের স্পর্শ থেকে শরীরের ত্বক রক্ষা পায়। অ্যাপ্রন বা ল্যাব কোট সাদা সূতি কাপড় দিয়ে তৈরী করা হয়। সূতি কাপড়ের অ্যাপ্রন আরামদায়ক হয়। সাদা সূতি কাপড় শরীরের তাপশক্তি বিকিরণে সহায়ক হয়। অ্যাপ্রন বা ল্যাব কোটটি বেশি ঢিলেঢালা হওয়া বাঞ্ছনীয় নয়। কেমিস্ট্রি ল্যাব কোট হবে হাফ-হাতা অথবা ত্রি-কোয়াটার \(\left(\frac{3}{4}\right)\) হাতা, যেন অ্যাপ্রনের বা ল্যাব কোটের হাতায় কোন রাসায়নিক পদার্থ সহজে লেগে না যায়; কিংবা ল্যাব কোটের কোন অংশে যেন সহজে বুনসেন বার্ণারের শিখার সংস্পর্শে না আসতে পারে।
নিরাপদ গ্লাস বা গগলস
Safty Glass
straight3 ক্ষতিকর ও সহজে উদ্বায়ী রাসায়নিক পদার্থসহকারে পরীক্ষা কাজ করার সময় চোখে নিরাপদ চশমা বা গগলস ব্যবহার করতে হবে; এতে ছিটকে পড়া রাসায়নিক পদার্থ, রাসায়নিক পদার্থের ধোঁয়া থেকে চোখ রক্ষা পায়। ল্যাবরেটরিতে ব্যবহৃত অনেক রাসায়নিক পদার্থের বাষ্প কোমল চোখের জন্য ক্ষতিকর হতে পারে। অথবা কাজ করার সময় অসতর্ক মুহূর্তে ক্ষতিকর রাসায়নিক পদার্থ ছিটকে চোখে পড়তে পারে। এমনকি যে কোন সময়ে কোন দুর্ঘটনায়ও রাসায়নিক ল্যাবে বিষাক্ত ধোঁয়ার সৃষ্টি হতে পারে। তাই রাসায়নিক পরীক্ষাগারে এ ধরনের অনাকাঙ্ক্ষিত দুর্ঘটনার ক্ষতিকর প্রভাব থেকে নিজেকে রক্ষা করতে নিরাপদ চশমা বা Safty Glass ব্যবহার করতে হয়। বাজারের প্লাস্টিকের চশমা ব্যবহারের ক্ষেত্রে দেখতে হবে ঐ প্লাস্টিকের চশমায় দুই পার্শে্‌ব যেন রক্ষা প্লেট থাকে, যাতে কোন রাসায়নিক দ্রব্য ও ধোঁয়া ইত্যাদি চোখের পার্শ্‌ব দিয়ে প্রবেশ করতে না পারে। ল্যবরেটরিতে এরূপে নিজের ও সহপাঠীর সুরক্ষা নিশ্চিত করে পরীক্ষা কাজ সুসম্পন্ন করা যাবে।
মাস্ক
Mask
straight3 ক্ষতিকারক গ্যাস বা রাসায়নিক পদার্থের বাষ্পের প্রস্তুতি বা ব্যবহারের আগে মাস্ক পরতে হবে। এক্ষেত্রে ল্যবরেটরি প্রাকটিক্যাল বইয়ে নির্দেশনা দেয়া থাকে। সাধারণত বিভিন্ন পরীক্ষায় \(CO_{2}, \ NH_{3}, \ NO_{2}, \ H_{2}S, \ SO_{2}\) প্রভৃতি ক্ষতিকর গ্যাস উৎপন্ন হয়। এসব গ্যাসের প্রভাবে শ্বাসকষ্ট, মাথা ধরা ও চোখে পানি আসা, জ্বালা করা ইত্যাদি ঘটে। মাস্ক ও নিরাপদ গ্লাস straight3 ক্ষতিকর ও সহজে উদ্বায়ী রাসায়নিক পদার্থসহকারে পরীক্ষা কাজ করার সময় চোখে নিরাপদ চশমা বা গগলস ব্যবহার করতে হবে; এতে ছিটকে পড়া রাসায়নিক পদার্থ, রাসায়নিক পদার্থের ধোঁয়া থেকে চোখ রক্ষা পায়। ল্যাবরেটরিতে ব্যবহৃত অনেক রাসায়নিক পদার্থের বাষ্প কোমল চোখের জন্য ক্ষতিকর হতে পারে। অথবা কাজ করার সময় অসতর্ক মুহূর্তে ক্ষতিকর রাসায়নিক পদার্থ ছিটকে চোখে পড়তে পারে। এমনকি যে কোন সময়ে কোন দুর্ঘটনায়ও রাসায়নিক ল্যাবে বিষাক্ত ধোঁয়ার সৃষ্টি হতে পারে। তাই রাসায়নিক পরীক্ষাগারে এ ধরনের অনাকাঙ্ক্ষিত দুর্ঘটনার ক্ষতিকর প্রভাব থেকে নিজেকে রক্ষা করতে নিরাপদ চশমা বা Safty Glass ব্যবহার করতে হয়। বাজারের প্লাস্টিকের চশমা ব্যবহারের ক্ষেত্রে দেখতে হবে ঐ প্লাস্টিকের চশমায় দুই পার্শে্‌ব যেন রক্ষা প্লেট থাকে, যাতে কোন রাসায়নিক দ্রব্য ও ধোঁয়া ইত্যাদি চোখের পার্শ্‌ব দিয়ে প্রবেশ করতে না পারে। ল্যবরেটরিতে এরূপে নিজের ও সহপাঠীর সুরক্ষা নিশ্চিত করে পরীক্ষা কাজ সুসম্পন্ন করা যাবে।
পরে এসব ক্ষতির মাত্রা কমানো যায়।
হ্যান্ড গ্লাভস
Hand Gloves
straight3 ক্ষতিকারক ও বিষাক্ত রাসায়নিক পদার্থের বোতল ধরার আগে হাতে হ্যান্ড গ্লাভস পরতে হবে। এতে ক্ষয়কারক রাসায়নিক পদার্থ যেমনঃ এসিড, ক্ষার ও বিভিন্ন ক্ষতিকারক রাসায়নিক পদার্থের সংস্পর্শ হাতে ঘটবে না। বাজারে কম দামে পাওয়া সিনথেটিক জিটেক্স, straight3 ছোটখাটো জ্বলন্ত বস্তু নিয়ে কাজ করার সময় জিটেক্স গ্লাভস ব্যবহার করা হয়। এটি তাপ রোধক অ্যাসবেষ্টস গ্লাভসের বিকল্পরূপে ব্যবহৃত হয়। জিটেক্স হলো ফাইবার কাচ দ্বারা তৈরি উললাইনিং বা নাইট্রাইল আস্তরণযুক্ত আরামদায়ক গ্লাভস। ল্যাটেক্স straight3 চামড়ায় ক্ষয় ও জ্বালা সৃষ্টিকারী রাসায়নিক পদার্থের ব্যবহারকালে ল্যাটেক্স গ্লাভস ব্যবহার করা হয়। এটি সংক্রামক পদার্থের বিরুদ্ধেও প্রতিরোধ সৃষ্টি করে। এটি প্রাকৃতিক রাবার ল্যাটেক্স দ্বারা তৈরি করা হয়। ল্যাটেক্স রাবার গ্লাভস ব্যবহারে বৈদ্যুতিক শক্‌ বা ত্বকে ক্ষত সৃষ্টি থেকে রক্ষা পাওয়া যায়। ল্যাটেক্স রাবারে প্রোটিন থাকায় এটি ব্যবহারকারীর হাতে এলার্জি সৃষ্টি করতে পারে। ভিনাইল straight3 এটি পলিভিনাইল ক্লোরাইড বা \(PVC\) দিয়ে তৈরি করা হয়। সাধারণত মৃদু ক্ষয়কারী পদার্থ এবং ত্বকে বিরক্তিকর অনুভূতি সৃষ্টিকারী রাসায়নিক পদার্থের ব্যবহারকাল ভিনাইল গ্লাভস হাতে পরা হয়। হ্যান্ড গ্লাভস পচনশীল নয় এবং অধিক দাহ্য। তাই পরিবেশবান্ধব পচনযোগ্য নাইট্রাইল straight3 নাইট্রাইল গ্লাভস সংশ্লেষিত রাবার অ্যাক্রাইলো নাইট্রাইল \((CH_{2}=CHCN)\) ও বিউটা ডাইইন এর কো-পলিমার থেকে তৈরি করা হয়। এটি বেশ নমনীয়, জীবাণু সংক্রমণ রোধক ও বৈদ্যুতিক শক্‌ রোধক; বিভিন্ন ক্ষয়কারক রাসায়নিক পদার্থ যেমনঃ এসিড, ক্ষার, লবণ, জৈব দ্রাবক, ডিটারজেন্ট ইত্যাদি বিরোধী বটে। তাই ল্যবরেটরিতে প্রধানত নাইট্রাইল গ্লাভস ব্যবহৃত হয়। নাইট্রাইল গ্লাভসে কোন প্রটিন উপাদান থাকে না; ফলে এটির ব্যবহারে হাতে কোন এলার্জি সৃষ্টি হয় না। রাবার গ্লাভ ব্যবহার করা উচিত।
গাঢ় এসিড ব্যবহারের সময় এসিডের বোতলের গায়ে অসাবধানতাবশত গাঢ় এসিড লেগে থাকলে এবং তা হাতের সংস্পর্শে আসলে তখন হাতের ক্ষতি হতে পারে। এক্ষেত্রে হাতে হ্যান্ড গ্লাভস পরা থাকলে হাতের কোন ক্ষতি হওয়ার সম্ভাবনা থাকে না।
ল্যাবরেটরিতে ব্যবহৃত ফিল্টার পেপার, কাচের টুকরা, ভাঙ্গা কর্ক ইত্যাদিকে ডাষ্টবিনে ফেলার ক্ষেত্রে হাতে হ্যান্ড গ্লাভস ব্যবহার করা উচিত। ল্যাবরেটরিতে ব্যবহৃত রাসায়নিক পদার্থ দ্বারা সৃষ্ট ক্ষতিকর প্রভাবের ওপর নির্ভর করে বিভিন্ন প্রকার হ্যান্ড গ্লাভস ব্যবহার করতে হয়। বাজারে বিভিন্ন ধরনের হ্যান্ড গ্লাভস পাওয়া যায়।
নিওপ্রিন গ্লাভস
Neoprene Gloves
straight3 এটি নিউপ্রিন রাবার বা পলিক্লোরোপ্রিন [\((-CH_{2}CCl=CH-CH_{2}-)_{n}\)] দিয়ে তৈরি। এটি বেশ নরম ও তাপরোধী। মৃদু ক্ষয়কারক পদার্থ, তেল জাতীয় পদার্থ ও জৈব দ্রাবক পদার্থ নিয়ে ল্যাবে কাজ করার সময় নিওপ্রিন গ্লাভস হাতে পরা শ্রেয়।
ভিনাইল গ্লাভস
Vinyl Gloves
straight3 এটি পলিভিনাইল ক্লোরাইড বা \(PVC\) দিয়ে তৈরি করা হয়। সাধারণত মৃদু ক্ষয়কারী পদার্থ এবং ত্বকে বিরক্তিকর অনুভূতি সৃষ্টিকারী রাসায়নিক পদার্থের ব্যবহারকাল ভিনাইল গ্লাভস হাতে পরা হয়।
জিটেক্স গ্লাভস
Zetex Gloves
straight3 ছোটখাটো জ্বলন্ত বস্তু নিয়ে কাজ করার সময় জিটেক্স গ্লাভস ব্যবহার করা হয়। এটি তাপ রোধক অ্যাসবেষ্টস গ্লাভসের বিকল্পরূপে ব্যবহৃত হয়। জিটেক্স হলো ফাইবার কাচ দ্বারা তৈরি উললাইনিং বা নাইট্রাইল আস্তরণযুক্ত আরামদায়ক গ্লাভস।
লাটেক্স গ্লাভস
Latex Gloves
straight3 চামড়ায় ক্ষয় ও জ্বালা সৃষ্টিকারী রাসায়নিক পদার্থের ব্যবহারকালে ল্যাটেক্স গ্লাভস ব্যবহার করা হয়। এটি সংক্রামক পদার্থের বিরুদ্ধেও প্রতিরোধ সৃষ্টি করে। এটি প্রাকৃতিক রাবার ল্যাটেক্স দ্বারা তৈরি করা হয়। ল্যাটেক্স রাবার গ্লাভস ব্যবহারে বৈদ্যুতিক শক্‌ বা ত্বকে ক্ষত সৃষ্টি থেকে রক্ষা পাওয়া যায়। ল্যাটেক্স রাবারে প্রোটিন থাকায় এটি ব্যবহারকারীর হাতে এলার্জি সৃষ্টি করতে পারে।
নাইট্রাইল গ্লাভস
Nitrile Gloves
straight3 নাইট্রাইল গ্লাভস সংশ্লেষিত রাবার অ্যাক্রাইলো নাইট্রাইল \((CH_{2}=CHCN)\) ও বিউটা ডাইইন এর কো-পলিমার থেকে তৈরি করা হয়। এটি বেশ নমনীয়, জীবাণু সংক্রমণ রোধক ও বৈদ্যুতিক শক্‌ রোধক; বিভিন্ন ক্ষয়কারক রাসায়নিক পদার্থ যেমনঃ এসিড, ক্ষার, লবণ, জৈব দ্রাবক, ডিটারজেন্ট ইত্যাদি বিরোধী বটে। তাই ল্যবরেটরিতে প্রধানত নাইট্রাইল গ্লাভস ব্যবহৃত হয়। নাইট্রাইল গ্লাভসে কোন প্রটিন উপাদান থাকে না; ফলে এটির ব্যবহারে হাতে কোন এলার্জি সৃষ্টি হয় না।
প্রাকৃতিক রবার গ্লাভস
Natural Ruber Gloves
straight3 প্রাকৃতিক রাবার গ্লাভস সাধারণত ব্যবহৃত হয় মৃদু ক্ষয়কারক পদার্থের সংস্পর্শ থেকে ত্বককে রক্ষা করার উদ্দেশ্যে। এটি বৈদ্যুতিক শক্‌ প্রতিরোধকও বটে।
ল্যাবরেটরি ব্যবহারের সোনালি বিধি
Golden Rules of Laboratory Use
পরীক্ষাগারে নিরাপদ পরিবেশ সৃষ্টি ও অক্ষুণ্ণ রাখতে হলে কতিপয় 'সোনালি বিধি' পালন অত্যাবশ্যক। সেগুলো হলো নিয়মানুবর্তিতা, যত্নশীলতা, অধ্যাবসায়, পরিশ্রম, সুবিবেচনা ও পরিচ্ছন্নতা।
ল্যবরেটরিতে আসার আগে বই পড়ে সংশ্লিষ্ট পরীক্ষা কাজের স্বচ্ছ ধারণা নিয়ে ভালোভাবে প্রস্তুত হয়ে আসতে হবে।
ল্যবরেটরিতে চিৎকার করে বা জোরে জোরে কথা বলা অবশ্যই পরিহার করতে হবে, যাতে করে পরীক্ষা কাজে মনোনিবেশে ব্যাঘাত না ঘটে।
যে ডেস্কে কাজ করতে হবে, সে ডেস্কটি যাতে অত্যন্ত পরিচ্ছন্ন থাকে, সেদিকে খেয়াল রাখতে হবে। ল্যবরেটরি ত্যাগের আগে ব্যবহৃত সকল কাচসামগ্রী ধৌতকরণ সামগ্রী দিয়ে উত্তমরূপে ধুয়ে ডেস্কের উপরে সাজিয়ে রাখতে হবে।
কোন একটা পরীক্ষা কাজ সম্পন্ন করার সাথে সাথে এবং ল্যাবরেটরি ত্যাগ করার আগে অবশ্যই সাবান দিয়ে হাত ধুয়ে নিতে হবে।
অযথা বুনসেন বার্ণার জ্বালিয়ে রাখা যাবে না।
বইপত্র, খাতা, ব্যাগ, পানীয় বোতল ডেস্কের এক পাশে সজিয়ে রাখতে হবে।
পরীক্ষণ পদ্ধতি শতর্কতের সাথে অনুসরণ করতে হবে।
ব্যালেন্স পরিচ্ছন্ন রাখা আবশ্যক। ব্যালেন্সের প্যান আশপাশ রাসায়নিক দ্রব্য মুক্ত রাখতে হবে।
তাড়াহুড়া করে পরীক্ষা কাজ শেষ করে চলে যাওয়ার প্রবণতা পরিহার করতে হবে।
কাজ করার সময় সম্পূর্ণ মনোযোগী হতে হবে, কোন ক্রমেই অন্যমনস্ক হওয়া যাবে না।
রাসায়নিক দ্রব্যের গন্ধ ও স্বাদ নেয়া স্বাস্থ্যের পক্ষে ঝুঁকিপূর্ণ। তাই রাসায়নিক দ্রব্যের কখনো সরাসরি গন্ধ বা স্বাদ নেয়া যাবে না।
রাসায়নিক দ্রব্য ব্যবহারের পূর্বে বোতলের লেভেল ঠিকভাবে দেখে নিশ্চিত হয়ে ব্যবহার করতে হবে। ব্যবহার শেষে ঐ রাসায়নিক দ্রব্যের বোতল যথাস্থানে রাখতে হবে।
রাসায়নিক বর্জ্য পদার্থকে ল্যবরেটরিতে রাখা ডাস্টবিনে পরিত্যাগ করতে হবে।
গাঢ় এসিডকে পানিসহকারে লঘুকরণের বেলায় বইয়ে দেয়া নির্দেশমতো সতর্কতার সাথে লঘুকরণ করতে হবে।
উত্তপ্ত গ্লাসের যন্ত্রপাতিকে ঠাণ্ডা পানিতে ডুবানো যাবে না; এতে উত্তপ্ত গ্লাসসামগ্রী ফেটে যায়।
ল্যবরেটরিতে অনেক সহপাঠী এক সাথে কাজ করতে হয়, তখন নিজের নিরাপত্তার সাথে অন্যান্য সহপাঠিদের নিরাপত্তার বিষয়ও গুরুত্বসহকারে মনে রাখা প্রয়োজন। সর্বোপরি ল্যবরেটরিতে শিক্ষকের নির্দেশ মতো পরীক্ষা কাজ শেষ করে গণনা কাজসহ সিদ্ধান্ত সম্পন্ন করতে হয়।
গ্লাস সামগ্রী ব্যবহারের নিরাপদ কৌশল
Safe Use of Glass Apparatus
পরীক্ষাগারে গ্লাসসামগ্রী ব্যবহার করে অধিকাংশ পরীক্ষা কাজ করতে হয়। গ্লাসসামগ্রীর মধ্যে রয়াছে গ্লাস টেস্টটিউব, বিকার, ফানেল, কনিকেল ফ্লাস্ক, মেজারিং বা পরিমাপক ফ্লাস্ক, পিপেট, ব্যুরেট, মেজারিং সিলিন্ডার, গোলতলি ফ্লাস্ক, গ্লাস রড, গ্লাস টিউব, লিবিগ শীতল ইত্যাদি। ল্যবরেটরিতে কাজের সময় এ সব গ্লাসের তৈরি যন্তপাতি আঘাতে সহজে ভেঙে যায়। ভাঙা গ্লাস ধারালো হয় এবং গায়ে লাগলে চামড়া কেটে গিয়ে রক্তপাত হতে পারে।
গ্লাসের যন্ত্রপাতি ভাঙার সম্ভাব্য ঝুঁকি বা কারণগুলোঃ
গ্লাসসামগ্রী ধোয়ার সময় পানির ট্যাপে বা বেসিনে আঘাত লাগা।
হোল্ডার দ্বারা গ্লাস টিউব ফিটিং কালে বেশি চাপ দেওয়া ও ব্যবহার কালে শতর্ক না থাকা।
ক্লাম্প দ্বারা স্ট্যান্ডের সাথে আটকানোর সময় অসতর্কভাবে অধিক চাপ প্রয়োগে গ্লাসসামগ্রী ভেঙে যায়।
গ্লাস যন্ত্রের বাইরের দেওয়ালে পানি থাকা অবস্থায় উত্তপ্ত করা।
ছিদ্র করা কর্ক বা রাবার স্টপারের মধ্যে গ্লাস টিউব বা থার্মোমিটার ফিট করতে বিশেষ নিতে হয়। যেমন গ্লাস টিউব ও স্টপারকে টাওল (কাপড় ) জড়িয়ে স্টপারের ছিদ্র পথে গ্লাসটিউব চেপে ঢুকাতে হবে। যদি এ সময় গ্লাস ভেঙে যায়; তবে ভাঙা গ্লাস হাত কাটবে না। যদি গ্লাসটিউব সহজে নয়া ঢোকে, তখন ছিদ্র বড় করে এবং পানি বা গ্লিসারিন দিয়ে ভিজিয়ে নিতে হবে। অসতর্কতাবসত এক্ষেত্রে হাত কেটে যেতে পারে।
গ্লাসসামগ্রী ওপর থেকে নিচে পড়ে গেলে ভেঙে যায়। তাই সতর্কতাই গ্লাসসামগ্রী নষ্ট হওয়া থেকে রক্ষা করা সম্ভব।
টেস্টটিউব ব্যবহারের নিরাপদ কৌশল
Safe Use of Testtube
straight3 টেস্টটিউব সচরাচর নমুনা টিউব হিসাবেও পরিচিত। রাসায়নিক কাজের জন্য টেস্টটিউবগুলি সাধারণত গ্লাস দিয়ে তৈরি করা হয়, যা তাপ প্রতিরোধী হয়ে থাকে। এর উপরের অংশ খোলা এবং নিচের অংশ বন্ধ অবস্থায় থাকে। পরীক্ষাগারের কাঁচের টুকরা বা প্লাস্টিক দিয়েই এটি তৈরী করা যায়। টেস্ট টিউব এর দৈর্ঘ্য মানুষের আঙ্গুলের সমান বা দরকার ভেদে এর চেয়ে বড় ছোট হতে পারে।
ব্যবহারঃ টেস্টটিউবটি পাতিত পানি দ্বারা ভালোকরে ধুয়ে পরিষ্কার করে নিতে হয়। প্রয়োজনে টেস্টটিউব ব্রাশ ব্যবহার করে একে পরিষ্কার করে নিতে হয়। পরিষ্কার শেষে ইহা টেস্টটিউব স্ট্যান্ডে উপুর করে রাখা হয়। টেস্টটিউবে প্রয়োজনীয় পরীক্ষাধীন কঠিন নমুনা বা দ্রবণ নিয়ে টেস্টটিউব হোল্ডার দ্বারা ধরে তাপের প্রয়োজন হলে তাপ দেওয়া হয়। উত্তপ্ত টেস্টটিউব কখনোই ঠান্ডা পানি দ্বারা ধোয়া যাবে না। এতে ইহা ফেটে যেতে পারে। কাজ শেষে টেস্টটিউব ঠান্ডা করে টেস্টটিউব ব্রাশে লিকুইড ডিটারজেন্ট লাগিয়ে ভালোভাবে পরিষ্কার পুনরায় স্ট্যান্ডে সংরক্ষণ করতে হবে।
টেস্টটিউবে গাঢ় এসিড নেওয়ার সময় বাম হাতে হোল্ডার দিয়ে টেস্টটিউব ধরে ডান হাতে লম্বা কাচনলে করে এসিড নিয়ে তাতে ফেলতে হবে।
বিকার ব্যবহারের নিরাপদ কৌশল
Safe Use of Beaker
straight3 বিকার সাধারণত একটি চোঙ আকৃতির পাত্র যার তলদেশ সমতল হয়। বেশিরভাগ বিকারের মুখের কাছে একটি চঞ্চু আকৃতির ব্যাকা ছোট অংশ থাকে যা বিকারের মধ্যস্থিত তরল পদার্থকে ঠিকঠাক পরিমান মতো ঢালার কাজে সহায়ক হয়। মিলিমিটার থেকে শুরু করে কয়েক লিটার অবধি বিভিন্ন আয়তনের বিকার পাওয়া যায়।
ব্যবহারঃ আয়তনিক বিশ্লেষণ ও গুণগত বিশ্লেষণ কাজে তরল পদার্থ, বিভিন্ন প্রকার দ্রবণ ও পানি ব্যবহারের ক্ষেত্রে বিকার ব্যবহৃত হয়। বিকারের সাহায্যে তরল পদার্থ ঢেলে নেয়া, ব্যুরেটে দ্রবণ স্থানান্তর করা, দ্রবণ বা তরল পদার্থকে বুনসেন বার্ণারে উত্তপ্ত করা ইত্যাদি কাজ ল্যাবরেটরিতে করা হয়।
ব্যুরেট ব্যবহারের নিরাপদ কৌশল
Safe Use of Burette
straight3 ব্যুরেট হল এক অংশাঙ্কিত কাচের নল যার একপ্রান্তে একটি ট্যাপের মাধ্যমে তার ভেতর থেকে জল বা অন্য কোন তরল জাতীয় পদার্থ নিসঃরনের ব্যবস্থা আছে। এটি একটি দীর্ঘ, অংশাঙ্কিত কাচের নল, যার নীচের প্রান্তে স্টপকক (তরল পদার্থ প্রভৃতির প্রবাহ নিয়ন্ত্রণ করার ছিপি বিশেষ) এবং স্টপককের নির্গমনপথে একটি বক্র কৈশিক নল যুক্ত থাকে। নল থেকে ব্যুরেটের প্রান্ত পর্যন্ত তরল প্রবাহ স্টপককের ভালভ বা গতিনিয়ন্ত্রক কল দ্বারা নিয়ন্ত্রিত হয়।
ব্যবহারঃ আয়তনিক বিশ্লেষণে টাইট্রেশন কাজে ব্যুরেট ব্যবহৃত হয়। ব্যুরেটে কোন দ্রবণ নেয়ার পূর্বে ব্যুরেটটিকে ঐ দ্রবণের কয়েক সিসি দ্বারা রিন্স (rinse) বা ধুয়ে নিতে হয়। অতঃপর ব্যুরেটের স্টপকক বন্ধ করে এর মুখে একটি ছোট ফানেলের মাধ্যমে দ্রবণ ব্যুরেটের শূন্য দাগের ওপর পর্যন্ত নিতে হয়। স্টপকক খুলে কিছু দ্রবণ ফেলে দিয়ে বায়ুর বুদ্‌বুদ্‌ মুক্ত করা হয় এবং প্রয়োজনে আরো প্রমাণ দ্রবণ ব্যুরেটে যোগ করে শুন্য দাগ পর্যন্ত দ্রবণের উপরিভাগের মিনিসকাস (meniscus) স্থির করা হয় যাতে করে অবতলের ঠিক নিচের তরলটি শূন্য দাগ বরাবর থাকে। অতঃপর দ্রবণ ভর্তি ব্যুরেটটিকে ক্ল্যাম্পের সাহায্যে একটি স্ট্যান্ডের সাথে খাড়াভাবে লাগানো হয়। বাম হাতের কনিষ্ঠা ও অনামিকা দ্বারা ব্যুরেটের টিপকে খাড়া রেখে, বৃদ্ধা আঙ্গুল, মধ্যমা ও তর্জনী দ্বারা স্টপকক ঘুরিয়ে ব্যুরেট থেকে ফোটায় ফোটায় দ্রবণ কনিকেল ফ্লাস্কে যোগ করা হয়।
সঠিক পাঠ গ্রহণঃ টাইট্রেশন শেষে 'ব্যুরেট-পাঠ' নেয়ার সময় এর ভেতরের তরলের সর্বনিম্ন মিনিসকাস (Lower meniscus), ব্যুরেটের দাগ ও চোখের দৃষ্টিরেখা একই সরলরেখায় থাকতে হয়। যদিও তরলের পৃষ্ঠটান (surface tension) এর ফলে ব্যুরেটের গায়ে তরলের উচ্চতা কিছুটা বেশি দেখায়, তবুও নির্ভুল 'ব্যুরেট-পাঠ' রূপে তরলের সর্বনিম্ন বক্রতল (Lower meniscus) পর্যন্ত পাঠ নিতে হয়। আলোর প্রতিফলন ও প্যারালাক্সবশত অনেক সময় 'মিনিসকাস' সুস্পষ্ট হয় না। এ অসুবিধা দূর করার জন্য 'ব্যুরেট রিডার' বা অ্যান্টি প্যারালাক্স কার্ড ব্যবহার করা হয়।
পিপেট ব্যবহারের নিরাপদ কৌশল
Safe Use of Pipette
straight3 পিপেট হলো দুই মুখ খোলা সুষম ছিদ্র বিশিষ্ট একটি কাচনল; যার নিচের মুখটি অপেক্ষাকৃত বেশি সরু এবং মাঝের অংশ বাল্বের উপরে লাল রঙের দাগ কাটা, যা আয়তন নির্দেশ করে। পিপেট \(0.5mL\) থেকে শুরু করে \(50mL\) পর্যন্ত বিভিন্ন আয়তনের হতে পারে।
ব্যবহারঃ পরীক্ষাগারে একটি নির্দিষ্ট আয়তনের প্রস্তুত দ্রবণকে এক পাত্র থেকে অন্য পাত্রে নেয়ার জন্য পিপেট ব্যবহৃত হয়। পিপেটকে বাম হাতে মাঝখানে ধরে সরু মুখবিশিষ্ট প্রান্তটিকে তরল পদার্থের পাত্রে ডুবিয়ে রেখে অপর প্রান্তটি ঠোঁটে চেপে রেখে ধীরে ধীরে শোষণ টানে বা sucking করে তরলটিকে পিপেটের গোলাকার দাগের কিছু ওপর পর্যন্ত নিতে হয়। তারপর ডান হাতের বৃদ্ধাঙ্গুলির পেট দিয়ে পিপেটের ঐ প্রান্তটিকে চট করে চেপে ধরে এবং ধীরে ধীরে হালকা করে সতর্কতার সাথে বাতাস ঢুকালে তরলটি নিচে নামতে থাকে। যখন তরলটির নিচের তলটি (lower memiscus) গোলাকার দাগ পর্যন্ত আসে, তখন বৃদ্ধাঙ্গুলি চেপে রেখে পিপেটটিকে সরিয়ে অপর পাত্রে যেমন কনিকেল ফ্লাস্কে তরলটিকে নেয়া হয়। sucking কাজটা মুখ দিয়ে না করে rubber sucker বা pipette filler দিয়েও করা যায়।
সাধারণত \(10 mL\) ও \(25 mL\) আয়তনের পিপাট ব্যবহার করা হয়। পিপেটের গায়ে TD প্রতীক দ্বারা to deliver বোঝায়। কোন কোন পিপেটের নল দাগাঙ্কিত থাকে। দাগাঙ্কিত পিপেট দিয়ে যে কোন আয়তনের তরল বা প্রস্তুত দ্রবণ পরিমাপ করা যায়। তরল স্থানান্তরের সময় পিপেটে কখনো ঝাঁকুনি বা ফুঁ দিতে নেই। শুধু পিপেটের অগ্রভাগকে কনিকেল ফ্লাস্ক বা পরিমাপক ফ্লাস্কের গায়ে স্পর্শ করাই যথেষ্ট।
লিবিগ শীতক ব্যবহারের নিরাপদ কৌশল
Safe Use of Libig Condencer
straight3 লিবিগ শীতক এক ধরনের কাচযন্ত্র যার মধ্যে প্রবেশকৃত নলের উপর ঠান্ডা পানি চালনা করে নলটির মধ্য দিয়ে গমনকারী বাষ্পকে ঘনীভূত করে তারলে পরিণত করা হয়।
ব্যবহারঃ পাতন প্রক্রিয়া সম্পাদনের ক্ষেত্রে লিবিগ শীতল অত্যন্ত প্রয়োজনীয় একটি যন্ত্র। এর ব্যবহারে কৌশল সম্পর্কে সঠিক ধারণা না থাকলে একে ব্যবহার করা যায় না এবং কাঙ্ক্ষিত ফলাফলও পাওয়া যায় না। লিবিগ শীতলের উপরের মুখ ককের সাহায্যে পাতন ফ্লাস্কের সাথে এবং নিচের প্রান্তে সংগ্রাহক পাত্রকে যুক্ত করে রাখা হয়। লিবিগ শীতলের নিচের আগমন পথের সাথে রাবার নল দ্বারা ট্যাপের পানিকে যুক্ত করা হয়। উপরের নির্গমন নলের সাথে অপর একটি রাবার নলকে যুক্ত করে রাবার নলের অপর প্রান্তকে ড্রেনের সাথে যুক্ত করে দিতে হয়।
রিয়েজেন্ট বোতল ব্যবহারের নিরাপদ কৌশল
Safe Use of Reagent Bottle
straight3 রাসায়নিক বিশ্লেষণ বা পরীক্ষা কালে যেসব রাসায়নিক পদার্থ কঠিন অবস্থায় বা দ্রবণরূপে ব্যবহৃত হয়, তাদেরকে পরীক্ষাগার বিকারক বা রিয়েজেন্ট বলে। যেমন \(NH_{4}OH\) দ্রবণ, \(AgNO_{3}\) দ্রবণ, সোডিয়াম ধাতু ইত্যাদি। রাসায়নিক পরীক্ষাগারে রিয়েজেন্ট বা বিকারক সংরক্ষণের জন্য যে বোতল ব্যবহার করা হয় তাকে রিয়েজেন্ট বোতল বা বিকারক বোতল বলে। বিকারক বোতলের ধারণ ক্ষমতা সাধারণত \(250mL, \ 100mL, \ 50mL\) ইত্যাদি হতে পারে।
সংরক্ষণঃ ল্যাবরেটরিতে বিভিন্ন তাক বা সেল্‌ফে প্রয়োজনীয় রাসায়নিক বিকারক বা রিয়েজেন্ট এর বোতল কর্কযুক্ত অবস্থায় সারিবদ্ধভাবে সাজিয়ে রাখা হয়। বিভিন্ন মোলার ঘনমাত্রার (M) রাসায়নিক বিকারকের দ্রবণ রাখার এসব বোতলের গায়ে যথাযথ নামের লেবেল লাগিয়ে সতর্কতার সাথে তাকে সাজিয়ে রাখতে হয়।
ব্যবহারঃ রিয়েজেন্ট বোতল থেকে রিয়েজেন্ট ড্রপারের সাহায্যে ব্যবহার করতে হবে। কোন রিয়েজেন্ট বোতলের দ্রবণ নিতে ড্রপার ব্যবহার করলে তখন পৃথক পৃথক রিয়েজেন্ট বোতলের জন্য পৃথক ড্রপার ব্যবহার করতে হয়। একই ড্রপার দুইটি রিয়েজেন্ট বোতলের জন্য ব্যবহার করা যাবে না। একটি রিয়েজেন্ট বোতলের ছিপি যাতে অন্য রিয়েজেন্ট বোতলে সঙ্গে পাল্টে না যায় সেটি খেয়াল রাখতে হবে।
আবার সরাসরি বিকারক দ্রবণ রিয়েজেন্ট বোতল থেকে টেস্টটিউবের দ্রবণে যোগ করার সময় গ্লাস স্টপারটির নিচের অংশ ডান হাতের অনামিকা ও মধ্যমা আঙ্গুলদ্বয়ের ফাঁকে ধরে রেখে অবশিষ্ট আঙ্গুল দ্বারা রিয়েজেন্ট বোতল ধরতে হয়। গ্লাস স্টপারটি টেবিলে রাখা উচিত নয়। এরূপে রিয়েজেন্টকে দূষণমুক্ত রাখা সম্ভব।
থার্মোমিটার ব্যবহারের নিরাপদ কৌশল
Safe Use of Thermometer
straight3 থার্মোমিটার হল তাপমাত্রা পরিমাপক যন্ত্র, যা বিভিন্ন মূলনীতি ব্যবহার করে তাপমাত্রা পরিমাপ করা হয়ে থাকে।
ব্যবহারঃ ল্যবরেটরিতে তাপ পরিমাপের জন্য থার্মমিটারে প্রয়োজন হয়। থার্মমিটার কাচের তৈরি বিধায় এর ভাল্বের বিপরীত প্রান্তে ছিদ্রের মধ্যে সুতা প্রবেশ করিয়ে সুতা দ্বারা বেঁধে এমনভাবে পরীক্ষাধীন দ্রবণে ঝুলাতে হবে যাতে থার্মমিটারের ভাল্ব পাত্রের তলদেশ স্পর্শ না করে। থার্মমিটারের কাচের গায়ে দাগ কাটা থাকে। ভিতরের পারদস্তম্ভের উপরিতলের দাগ থেকে তাপমাত্রা পরিমাপ করা হয়।
মেজারিং সিলিন্ডার ব্যবহারের নিরাপদ কৌশল
Safe Use of Measuring Cylinder
straight3 মেজারিং সিলিন্ডার একটি দাগকাটা কাচনল যার এক মুখ বন্ধ ও অপর মুখ খোলা থাকে। এটির দ্বারা তরল পদার্থের আয়তন মাপা হয় বিধায় এটিকে পরিমাপক সিলিন্ডারও বলা হয়ে থাকে। মেজারিং সিলিন্ডারে মিলিমিটার এককে দাগ কাটা থাকে। ডেস্কে খাড়াভাবে রাখলে যাতে পড়ে না যায় সেজন্য নলটির বন্ধদিক চ্যাপটা করা হয়েছে।
ব্যবহারঃ সিলিন্ডারের গায়ে \(cm^{3}\) অথবা \(mL\) দাগাঙ্কিত থাকে। ফলে একটি সিলিন্ডার দ্বারা বিভিন্ন আয়তনের তরল পরিমাপ করা যায়। বিশেষত নির্দিষ্ট আয়তনের গাঢ় এসিড ও পানির পরিমাপ করার জন্য মেজারিং সিলিন্ডার ব্যবহৃত হয়। এটা সাধারণত \(5 cm^{3}, \ 10 cm^{3}, \ 50 cm^{3},\)\(100 cm^{3}, \ 200 cm^{3}, \ 250 cm^{3}\) প্রভৃতি বিভিন্ন আয়তনের হয়। আয়তন যত বেশি হয় সিলিন্ডারের আকৃতি তত মোটা হয় এবং পরিমাপের সূক্ষ্ণতা তত কমে যায়। এটি দ্বারা সর্বনিম্ন \(1 mL\) তরল মাপা যায়।
সঠিক পাঠ গ্রহণঃ মেজারিং সিলিন্ডারে সর্বনিম্ন \(1 mL\) তরল মাপা যায়। তবে তরলে পৃষ্ঠটান বা surface tension এর কারণে সিলিন্ডারের গায়ে তরলের উচ্চতা কিছুটা বেশি দেখায়। এজন্য মেজারিং সিলিন্ডার দ্বারা নির্ভুলভাবে তরল পদার্থ পরিমাপের নিয়ম হলো 'তরলের সর্বনিম্ন তল' lower meniscus এর পাঠ নেয়া। মেজারিং সিলিন্ডারসহ অন্যান্য আয়তনিক পরিমাপক যন্ত্র যেমন ব্যুরেট ও পিপেট দ্বারা তরল পরিমাপের ক্ষেত্রে তরলের lower meniscus দেখে আয়তনের পাঠ নিতে হয়।
আয়তনমিতিক ফ্লাস্ক ব্যবহারের নিরাপদ কৌশল
Safe Use of Volumetric Flask
straight3 আয়তনমিতিক ফ্লাস্ক (পরিমাপ ফ্লাস্ক বা দাগাঙ্কিত ফ্লাস্ক) হল গবেষণাগারের যন্ত্রগুলোর মধ্যে একটি, এক ধরনের ল্যাবরেটরি ফ্লাস্ক, একটি নির্দিষ্ট তাপমাত্রায় একটি নির্দিষ্ট আয়তন ধারণ করার জন্য ক্রমাঙ্ক নির্ণয় করা হয়। আয়তনমিতিক ফ্লাস্কের উপরের অংশ লম্বা এবং সরু; দাগাঙ্কিত করা। ডেস্কের উপর যাতে সহজে রাখা যায় এজন্য এর তলা চ্যাপটা বা সমতল আকৃতির হয়। এটা যে কোন আকৃতির হতে পারে। আয়তনিক ফ্লাস্কের মুখে গ্লাস স্টপার থেকে।
ব্যবহারঃ পরীক্ষাগারে সাধারণত \(100 cm^{3}, \ 250 cm^{3},\)\(500 cm^{3}\) ও \(1 dm^{3}\) আয়তনের ফ্লাস্ক বেশি ব্যবহৃত হয়। নির্দিষ্ট আয়তনের প্রমাণ দ্রবণ তৈরি করার জন্য বিভিন্ন আয়তনিক ফ্লাস্ক বা মেজারিং ফ্লাস্ক ব্যবহৃত হয়। এ ফ্লাস্কের সরু গলাযুক্ত নলের মাঝামাঝি স্থানে চারিদিকে ঘিরে একটি দাগ দিয়ে ফ্লাস্কের আয়তন নির্দিষ্ট করা হয়। এ ফ্লাস্ক যেকোন ঘনমাত্রার দ্রবণ তৈরি করার জন্য ব্যবহার করা হয়। ফ্লাস্কের মুখটি গ্লাস স্টপার দ্বারা বন্ধ করা যায়। ফ্লাস্কের গায়ে TC প্রতীক দ্বারা 'to contain' বোঝায়।
কনিক্যাল ফ্লাস্ক ব্যবহারের নিরাপদ কৌশল
Safe Use of Conical Flask
straight3 কনিক্যাল ফ্লাস্ক (conical flask ব্রিটিশ ইংরেজি তে) নামে পরিচিত এরলেনমেয়ার ফ্লাস্ক বা টাইট্রেশন ফ্লাস্ক হলো এক প্রকার পরীক্ষাগার ফ্লাস্ক যার বৈশিষ্ট্য হল তলদেশ চ্যাপ্টা সহ শঙ্কুযুক্ত দেহ এবং তাতে একটি নলাকার ঘাড় দেখা যায়। একে তার বক্র দেহ এবং সরু ঘাড় দিয়ে বিকার থেকে পৃথক করে চেনা যায়। আয়তনিক বিশ্লেষণের টাইট্রেশন বিক্রিয়া কনিকেল ফ্লাস্কে ঘটানো হয়। এটা সাধারণত \(250 cm^{3}\) আয়তনের হয়ে থাকে। তবে প্রয়োজনবোধে ছোট-বড় বিভিন্ন আয়তনের কনিকেল ফ্লাস্ক পাওয়া যায়। টাইট্রেশন কাজে ব্যবহৃত হওয়ায় এটিকে টাইট্রেশন ফ্লাস্কও বলা হয়ে থাকে। এছাড়া জার্মান রসায়নবিদ Emil Erlenmeyer ১৮৬০ সালে এ কনিকেল ফ্লাস্ক তৈরি ও ব্যবহার করেন বিধায়, উদ্ভাবকের নামানুসারে কনিকেল ফ্লাস্ক Erlenmeyer flask নামেও পরিচিত।
ব্যবহারঃ টাইট্রেশনের পূর্বে প্রথমে কনিকেল ফ্লাস্কে পিপেটের সাহায্যে একটি নির্দিষ্ট আয়তনের জানা অথবা অজানা ঘনমাত্রার দ্রবণ নিয়ে এতে প্রয়োজনমত নির্দেশক যোগ করা হয়। এবার কনিকেল ফ্লাস্কের গলায় ডান হাতে ধরে এটিকে খাড়া ব্যুরেটের তলায় নিয়ে ব্যুরেট থেকে ওপর একটি বিক্রিয়ক দ্রবণ যোগ করে কনিকেল ফ্লাস্কের মিশ্রণকে চক্রাকারে ঘুরায়ে টাইট্রেশন করা হয়।
পৃথকীকরণ ফানেল ব্যবহারের নিরাপদ কৌশল
Safe Use of Separating Funnel
straight3 বিভাজনকারী ফানেল, যা বিচ্ছেদ ফানেল, পৃথক ফানেল বা গোপনীয়ভাবে সেপ ফানেল নামে পরিচিত, ল্যাবরেটরি গ্লাসওয়্যারের একটি অংশ যা তরল-তরল নিষ্কাশনে ব্যবহৃত হয় মিশ্রণের উপাদানগুলিকে পৃথক ঘনত্বের দুটি স্থায়ী দ্রাবক পর্যায়ে আলাদা করতে সাধারণত ব্যবহৃত হয়। এর উপরের দিকের মুখটি খোলা এবং নিচের দিকে স্টপকক বা ছিদ্রযুক্ত লম্বা নল থাকে। এটি উন্নতমানের কাচ বিশেষ করে পাইরেক্স কাচের তৈরি।
ব্যবহারঃ ভিন্ন ভিন্ন ঘনত্বের তরল উপাদানকে পৃথকীকরণ ফানেলের মুখে সাধারণ ফানেল বসিয়ে ফানেলের মধ্যে নেয়া হয়। বেশ কিছু সময় স্থির অবস্থায় রেখে দিলে ঘনত্বের মান অনুযায়ী তরল উপাদানগুলো ভিন্ন ভিন্ন স্তরে অবস্থান করে সম্পূর্ণ পৃথক স্তর সৃষ্টি করে। উচ্চ ঘনত্বের তরল সবচেয়ে নিচের স্তরে এবং সবচেয়ে নিম্ন ঘনত্বের তরল উপরের স্তরে অবস্থান করে।ফানেলের স্টককের ছিপি খুলে উচ্চ ঘনত্বের তরলকে প্রথমে এবং ক্রমান্বয়ে ঘনত্বের মান অনুযায়ী অন্যান্য তরলগুলোকে পৃথক করে নেয়া হয়। প্রতিটি তরল স্তর পৃথক করার পর ছিপি বন্ধ করে দেওয়া হয়।
পৃথকীকরণ ফানেল ব্যবহারের শেষে তরল সাবান বা তরল ডিটারজেন্ট দ্বারা ধৌত করা হয়। বিশেষ ক্ষেত্রে নরম ব্রাশ ব্যবহার করা হয়ে থাকে।
ওজন বোতল বা ওয়িং বোতল ব্যবহারের নিরাপদ কৌশল
Safe Use of Woing Bottle
straight3 ওজন বোতল বা ওয়িং বোতল আয়তনিক বিশ্লেষণে কোন নমুনা পরিমাপ করার জন্য একটি ঢাকনা যুক্ত ছোট আকারের পরিমাপক বোতল। এই পরিমাপক বোতলে নির্দিষ্ট পরিমান নমুনার ওজন পরিমাপ করা যায়। এই বোতল পাইরেক্সের তৈরি হয়।
ব্যবহারঃ কঠিন রাসায়নিক দ্রব্য পরিমাপের ক্ষেত্রে পরীক্ষাগারে এটি একটি উত্তম মাধ্যম। বোতলের মুখে ঢাকনাযুক্ত অবস্থায় সবসময় একে ওজন করা হয়। ঢাকনা খুলে কঠিন রাসায়নিক দ্রব্য বোতলের মধ্যে নেয়া হয় বা অপসারণ করা হয়।
গ্যাসজার ব্যবহারের নিরাপদ কৌশল
Safe Use of Gas Jar
straight3 গ্যাসজার মোটা পুরু সক্ত কাচের তৈরি। বিভিন্ন বিক্রিয়ার মাধ্যমে উৎপন্ন গ্যাসকে সংগ্রহের ক্ষেত্রে এটি ব্যবহার করা হয়। বায়ু অপেক্ষা ভারী অথবা হালকা সবধরণের গ্যাসই গ্যাসজারে সংগ্রহ করা হয়। গ্যাসজারের মুখে ঢকনা থাকে।
ব্যবহারঃ ঢাকনা দ্বারা গ্যাসজারের মুখ বন্ধ করে রাখা হয়। পানির নিম্নমুখী অপসারণ প্রক্রিয়ার মাধ্যমে উৎপন্ন গ্যাসকে সংগ্রহ করা হয়। যেসব গ্যাস পানিতে অদ্রবণীয় এবং পানির সাথে বিক্রিয়া করে না সেগুলিকে পানির অপসারণ প্রক্রিয়ায় সংগ্রহ করা হয়। বর্ণযুক্ত গ্যাস গ্যাসজারের বাহির থেকে দেখা যায়। গ্যাসজার ব্যবহার শেষে তরল সাবান বা তরল ডিটারজেন্ট দ্বারা পরিষ্কার করে নেওয়া হয়।
ফানেল ব্যবহারের নিরাপদ কৌশল
Safe Use of Funnel
straight3 ফানেল হচ্ছে কাঁচের তৈরি গোলাকার মুখ বিশিষ্ট একটি পাত্র। যার এক প্রান্ত ক্রমে সরু হয়ে কাঁচনলের সাথে যুক্ত থাকে। বিভিন্ন মাপন ফ্লাস্কে তরল পদার্থ নেওয়ার জন্য ফানেল ব্যবহার করা হয়।
ব্যবহারঃ আয়তনিক ফ্লাস্কে ও ব্যুরেটে তরল পদার্থ নেয়ার জন্য ফানেল ব্যবহৃত হয়। সরাসরি রাসায়নিক বস্তুর ভর পরিমাপ করে প্রমাণ দ্রবণ তৈরি করার সময় ফানেল ব্যবহার করা হয়।
ওয়াশ বোতল
Wash bottle
straight3 আয়তনিক বিশ্লেষণে যে সমস্ত কাচের যন্ত্রপাতি ব্যবহার করা হয় সেগুলোকে ব্যবহারের পূর্বে অতি উত্তমরূপে প্রথমে ক্লিনিং মিশ্রণ (গাঢ় সালফিউরিক এসিডে \(K_{2}Cr_{2}O_{7}\) এর সম্পৃক্ত দ্রবণ), পরে পানি এবং সবশেষে বিশুদ্ধ পানি দ্বারা ধৌত করা হয়। এ কাজের জন্য বিশুদ্ধ পানি একটি প্লাস্টিকের বোতলে নেয়া হয়। এর মুখে একটি রাবার কর্ক লাগানো থাকে। রাবার কর্কের একটি ফুটো দিয়ে একটি \(45^{o}\) কোণে বাঁকানো নল ভিতরে প্রবেশ করানো থাকে ইহাই ওয়াস বোতল ধৌতকরণ বোতল। বর্তমানে প্লাস্টিক নির্মিত বিভিন্ন আকৃতির ওয়াস বোতল পাওয়া যায়। এরূপ প্লাস্টিকের বোতলে পানি ভর্তি করে হাতে চাপ দিলে সরু নলের মুখ দিয়ে পানি বের হয়।
ব্যবহারঃ আয়তনিক ফ্লাস্কে নির্দিষ্ট আয়তনের প্রমাণ দ্রবণ তৈরি করার সময় ওয়াশ বোতল থেকে পানি যোগ করে ফানেলে লেগে থাকা রাসায়নিক বস্তুকে ধুয়ে ফ্লাস্কে নেয়া হয় এবং নির্দিষ্ট দাগ পর্যন্ত পূর্ণ করা হয়।
টেস্টটিউব ব্রাশ
Test tube brush
straight3 এটি নাইলন, সিন্থেটিক বা বিভিন্ন ব্যাসের পশুর লোম দিয়ে গঠিত যা ধাতব তারের সাথে জড়ানো। তারটি অ্যালুমিনিয়াম, ব্রোঞ্জ, বেরিলিয়াম, তামা এবং ব্রঞ্জ হতে পারে। এটি অ্যাসিড, ক্ষারক এবং অন্যান্য ক্ষয়কর রাসায়নিক পদার্থের সাথে প্রতিরোধী হিসাবে ডিজাইন করা হয়।
ব্যবহারঃ টেস্ট টিউব ব্রাশ বা স্পাউট ব্রাশ যা টেস্ট টিউব এবং সরু মুখের পরীক্ষাগার কাচের জিনিসপত্র পরিষ্কার করার জন্য ব্যবহৃত হয়।
যেমনঃ টেস্ট টিউব, সিলিন্ডার, বুরেটস এবং এরলেনমিয়ার ফ্লাস্ক।
বুনসেন বার্ণার
Bunsen Burner
ল্যাবরেটরিতে যেকোন রাসায়নিক দ্রব্যকে উত্তপ্ত করতে বুনসেন বার্ণার অত্যান্ত প্রয়োজনীয় একটি যন্ত্র। ১৮৫৫ সালে জার্মান বিজ্ঞানী রবার্ট বুনসেন এ বার্ণার উদ্ভাবন করেন। তার নামানুসারে এ বার্ণারের নাম হয় বুনসেন বার্ণার। এ বার্ণারের জ্বালানি হিসেবে গ্যাসীয় হাইড্রোকার্বনেট ব্যবহার করা হয়। এ দাহ্য গ্যাসগুলো বায়ুর অক্সিজেনের উপস্থিতিতে শিখাসহ জ্বলতে থাকে। বার্ণারের বায়ু নিয়ন্ত্রকের সাহয্যে শিখাকে জারণ ও বিজারণ শিখায় পরিনত করা যায়। বুনসেন বার্ণারের তিনটি অংশ। যথা-
straight3 ভূমি বা ধাতব পাদমূলঃ এটি ঢালাই লোহার তৈরি মোটা ও ভারী অংশ। এর উপর দীপনল খাড়াভাবে আটকানো থাকে। ধাতব পাদমূলের মধ্যস্থলে খুব সরু ও সূঁচালো নল থাকে। এটিকে জেট নল বলা হয়। এ জেট নলটি পাদমূলের পার্শ্‌বনলের সাথে যুক্ত থাকে। পার্শ্‌বনলটি রাবারের নল দিয়ে স্টপককযুক্ত গ্যাস সরবরাহ নলের সাথে যুক্ত থাকে। স্টপককটি খুলে দিলে পার্শ্‌বনলের মধ্যদিয়েই জ্বালানি গ্যাস বার্ণারের পাদমূলে প্রবেশ করে এবং সূঁচালো ছিদ্রপথ দিয়ে বেরিয়ে আসে।
ধাতব দীপনলঃ এটি সমব্যাস ও নির্দিষ্ট উচ্চতার সংকর ধাতু ব্রাসের তৈরি একটি নল। বার্ণারের পাদমূলের সূঁচালো মুখের উপর প্যাঁচের সাহায্যে এক লম্বা খাড়া ফাঁপা ধাতব নল খাড়াভাবে বসানো থাকে। বার্ণার নলের নিচের দিকে বিপরীত দিকে বায়ু প্রবেশের জন্য সোজাসুজি দুইটি গোলাকার ছিদ্র থাকে। এ ছিদ্র পথ দিয়ে বায়ু নলের ভিতরে প্রবেশ করে। পাদমূলের সূঁচালো ছিদ্রপথের সরবরাহকৃত জ্বালানি গ্যাস এবং বায়ু নিয়ন্ত্রকের মাধ্যমে প্রবিষ্ট বায়ুর অক্সিজেনের মিশ্রণে বার্ণার নলের মুখে দহন ঘটে শিখার সৃষ্টি করে।
বায়ু নিয়ন্ত্রকঃ এটি ধাতু নির্মিত দীপনলের ব্যাস অপেক্ষা সামান্য বড় ব্যাসের একটি রিং বিশেষ। এর গায়ে দুইটি ছিদ্র থাকে। এটি দীপনল ও ধাতব পাদমূলের সংযোগস্থলে দীপনলের গায়ের সাথে আটকানো থাকে। এ রিং দ্বারা দীপনলের বায়ুর প্রবেশ নিয়ন্ত্রন করা যায়। রিং ঘুরিয়ে বায়ুর প্রবেশ বন্ধ করে দিলে দীপনলের মুখে উজ্জ্বল লাল-হলুদ বর্ণের শিখা পরিলক্ষিত হয়। এ শিখাকে বিজারণ শিখা বলা হয়। বায়ু প্রবেশ পথ খোলা থাকলে দীপ্তিহীন নীলাভ শিখার উৎপন্ন হয়। এ শিখাকে জারণ শিখা বলে।
বুনসেন বার্ণারের শিখা (Flame of the Bunsen burner)
জ্বালানি গ্যাসের সাথে প্রয়োজনীয় পরিমাণ বায়ু নিয়ন্ত্রকের সাহয্যে ছিদ্রদিয়ে বুনসেন বার্ণারে প্রবেশ করে। এ গ্যাস মিশ্রণে অগ্নিসংযোগ অরা হয়। ফলে গ্যাস বার্ণারের মুখে প্রজ্বলিত হয় এবং শিখার সৃষ্টি করে। বুনসেন বার্ণারে ব্যবহৃত গ্যাস বায়ুর অক্সিজেনের উপস্থিতিতে অথবা বায়ুর অক্সিজেনের অনুপস্থিতিতে দহন ঘটলে দুইটি ভিন্ন শিখার সৃষ্টি হয় । একটি উজ্জ্বল শিখা অপরটি অনুজ্জ্বল বা দীপ্তিহীন শিখা।
বুনসেন বার্ণারের উজ্জ্বল শিখা (Luminous flame of the Bunsen burner)
বায়ু নিয়ন্ত্রক রিং দ্বারা বায়ু ছিদ্র সম্পূর্ণ বন্ধ করে দিলে জ্বালানি গ্যাস দীপনলের মুখে লম্বা উজ্জ্বল শিখায় জ্বলতে থাকে এটিকে উজ্জ্বল শিখা বলে। এ অবস্থায় জ্বালানি গ্যাসের সাথে বায়ুর অক্সিজেনের সংযোগ না ঘটায় গ্যাসটির অসম্পূর্ণ দহন ঘটে। শিখাতে অদগ্ধ কার্বন কণা থাকে, যার বিজারণ ক্ষমতা আছে, তাই অসম্পূর্ণ ধনের ফলে উৎপন্ন কার্বন কণাগুলো বার্ণারের শিখায় উচ্চ তাপমাত্রায় আরও উজ্জ্বল হয়ে উঠে। বায়ু ছিদ্র বন্ধ থাকায় গ্যাসের চাপ বেশি হওয়ার কারণে শিখাটি লম্বা হয়। এ শিখায় অদগ্ধ কার্বন কণার উপস্থিতির কারণে একে বিজারণ শিখাও বলা হয়। উজ্জ্বল শিখাকে চারটি মণ্ডলে ভাগ করা হয়। যথা-
অদহন মণ্ডলঃ দীপনলের মুখে ভিতরের দিকে ঘন নীল বা কালো অংশ দেখা যায়। এ অঞ্চলের জ্বালানি গ্যাস বায়ুর সংস্পর্শে আসতে পারে না। ফলে গ্যাসের দহন ঘটে না। এ কারণেই এ অঞ্চলকে অদহন মণ্ডল বলা হয়। এ অঞ্চলের তাপমাত্রা খুবই সামান্য। ম্যাচ কাটির বারুদের অংশ প্রবেশ করালেও কোনো ধরনের প্রজ্বলন ঘটে না।
অসম্পূর্ণ দহন মণ্ডলঃ গ্যাসের আংশিক দহনের ফলে অদহন মণ্ডলকে ঘিরে অস্বচ্ছ ও হলুদ বর্ণের উজ্জ্বল অংশ উৎপন্ন হয়, এটিকে অসম্পূর্ণ দহন মণ্ডল বলা হয়। বায়ুর স্বল্পতার কারণে এখানে জ্বালানি গ্যাসের সম্পূর্ণ দহন না হয়ে আংশিক দহন ঘটে। কারণ বার্ণারের বায়ু প্রবেশ বন্ধ থাকায় এ অঞ্চলে অক্সিজেন পৌঁছাতে পারে না। তাই গ্যাসীয় হাইড্রোকার্বনের কিছু অংশ তাপের প্রভাবে বিয়োজিত হয়ে সূক্ষ্ণ সূক্ষ্ণ কার্বন কণায় পরিণত হয় এবং এ কার্বন কণাগুলো শিখার তাপে ভষ্মীভূত হয়ে হলুদ বর্ণের উজ্জ্বল অঞ্চলের সৃষ্টি করে। বিজারক কার্বন কণার উপস্থিতির কারণে একে বিজারক মণ্ডলও বলা হয়।
ক্ষুদ্র সম্পূর্ণ দহন মণ্ডলঃ শিখার একেবারে নিচে অদহন মণ্ডলকে ঘিরে যে ঘাঢ় নীল বর্ণের ছোট অনুজ্জ্বল অংশ দেখা যায় তাকেই ক্ষুদ্র সম্পূর্ণ দহন মণ্ডল বলে। বায়ুর সংস্পর্শে থাকার কারণে এ অংশের জ্বালানি গ্যাসের সম্পূর্ণ দহন ঘটে। এছাড়া কিছু হাইড্রোকার্বনের আংশিক দহনের ফলে উৎপন্ন কার্বন মনোক্সাইড (CO) এর দহন ঘটে। ফলে এ অংশের শিখার বর্ণ নীল হয়।
সম্পূর্ণ দহন মণ্ডলঃ জ্বালানি গ্যাসের সম্পূর্ণ দহনের ফলে শিখার উপরিভাগে যে স্বল্প উজ্জ্বল নীলাভ অঞ্চল দেখা যায় তাকেই সম্পূর্ণ দহন মণ্ডল বলা হয়। বায়ুর সংস্পর্শে থাকার ফলে এ অংশের জ্বালানি গ্যাসের সম্পূর্ণ দহন ঘটে। এ অঞ্চলে গ্যাসীয় হাইড্রোকার্বনের তাপীয় বিজারণের ফলে উৎপন্ন কার্বন কণাগুলোর সম্পূর্ণ দহন ঘটায় শিখার উজ্জ্বলতা হ্রাস পায়। শিখার এ অঞ্চলের তাপমাত্রা সবচেয়ে বেশি। একে শিখার জারক অংশও বলা হয়।
বুনসেন বার্ণারের অনুজ্জ্বল শিখা (None-Luminous flame of the Bunsen burner)
straight3 বুনসেন বার্ণারের বায়ু নিয়ন্ত্রক রিংটি ঘুরিয়ে দীপনলের মধ্যে বায়ু প্রবেশের পথ আংশিক বা সম্পূর্ণ খোলা রেখে জ্বালানি গ্যাস ও বায়ুর মিশ্রণকে দীপনলের মুখে জ্বালিয়ে যে নিলাভ অনুজ্জ্বল শিখা পাওয়া যায় তাকেই অনুজ্জ্বল শিখা বলে। প্রথমে বায়ু প্রবেশ পথ বন্ধ রেখে গ্যাস প্রজ্বলিত করে উজ্জ্বল শিখা উৎপন্ন করা হয়। অতঃপর ধীরে ধীরে বায়ু প্রবেশ পথ খুলতে থাকলে উজ্জ্বল শিখার উজ্জ্বল হলুদ অংশ ধীরে ধীরে হ্রাস পেতে থাকে এবং শেষে এক সময়ে অনুজ্জ্বল শিখা উৎপন্ন হয়। মূলত গ্যাসের পূর্ণ দহনের ফলে এখানে কোনো কার্বন কণার সৃষ্টি হয় না। এজন্য শিখার বর্ণ অনুজ্জ্বল হয়। বায়ু প্রবেশ পথ খোলা থাকায় গ্যাসের চাপ তুলুনামূলকভাবে কম হয়, ফলে অনুজ্জ্বল শিখা খাটো ও মোটা হয়। অনুজ্জ্বল শিখাকে তিনটি মণ্ডলে ভাগ করা হয়। যথা-
অন্ধকার মণ্ডলঃ অনুজ্জল শিখার সবচেয়ে নিচে ও দীপনলের ঠিক উপরে শুষ্ক আকৃতির অদগ্ধ গ্যাস দ্বারা গঠিত একটি অন্ধকার অঞ্চলের উপস্থিতি দেখা যায়। এ অঞ্চলের জ্বালানি গ্যাস বায়ুর সংস্পর্শে আসে না। খুব দ্রুত দীপনল থেকে বেরিয়ে যাওয়ার কারণে দহন তাপমাত্রায় পৌঁছাতে পারে না। যে কারণে এ অঞ্চলে গ্যাসের দহন ঘটে না। এ অঞ্চলের তাপমাত্রা এতই নিম্ন যে ম্যাচ কাটির বারুদের অংশ প্রজ্বলিত করতে পারে না।
নীলাভ আংশিক দহন মণ্ডলঃ অন্ধকার মণ্ডলের ঠিক উপরে একটি নিলাভ আংশিক দহন অঞ্চল দেখা যায়। এ অঞ্চলের গ্যাসীয় হাইড্রোকার্বনগুলোর তাপীয় বিয়োজনের ফলে সূক্ষ্ণ সূক্ষ্ণ কার্বন কণা উৎপন্ন হয়। ফলে এ অঞ্চলে বিজারণ ঘটে। এজন্য এ অঞ্চলকে কার্বন বিজারণ অঞ্চলও বলা হয়। ধাতুর অক্সাইড, সালফেট প্রভৃতিকে বিজারিত করে যথাক্রমে ধাতু বা ধাতব সালফাইডে পরিণত করার জন্য অনুজ্জ্বল শিখার এ অঞ্চলকে ব্যবহার করা হয়।
সম্পূর্ণ দহন মণ্ডলঃ অনুজ্জ্বল শিখার একেবারে বাইরের অঞ্চলটি হলো সম্পূর্ণ দহন মণ্ডল। এ অঞ্চলের জ্বালানি গ্যাস বায়ুর সংস্পর্শে আসার কারণে এখানে গ্যাসের সম্পূর্ণ দহন হয়। শিখায় এ অঞ্চলে কোনো কার্বন কণা থাকে না এবং এ অঞ্চলটি শিখার জারক অংশও হিসেবে পরিচিত। পরীক্ষাধীন কোনো নমুনাকে বিগলিত করার জন্য অথবা জারিত করার জন্য শিখার শীর্ষ অঞ্চল ব্যবহার করা হয়। অপরপক্ষে বিভিন্ন ধাতব মূলক শনাক্তকরণের জন্য শিখার মধ্যবর্তী অঞ্চলটিকে ব্যবহার করা হয়।
বুনসেন শিখা ব্যবহারের নিয়ম ( Method of use of bunsen flame )
ল্যাবরেটরিতে বুনসেন বার্ণার ও বুনসেন শিখা ব্যবহারের ক্ষেত্রে বেশ কিছু নিয়ম অনুসরণ করতে হয়।
দীপনলের বায়ু নিয়ন্ত্রক রিংটির সাহায্যে বায়ু প্রবেশ সম্পূর্ণ বন্ধ রেখে জ্বালানি গ্যাস সরবরাহকারী স্টপককটি খুলে জ্বালানি গ্যাস সরবরাহ করে দীপনলের মুখে অগ্নি সংযোগ ঘটাতে হয়। এর ফলে দীপনলের মুখে উজ্জ্বল শিখা উৎপন্ন হয়।
বায়ু নিয়ন্ত্রক রিংটি প্রয়োজনমতো ঘুরিয়ে বায়ু ছিদ্র পথ ধীরে ধীরে খুলে দিতে হয়। ফলে অনুজ্জ্বল শিখার সৃষ্টি হয়। অতিরিক্ত তাপের প্রয়োজন হলে বায়ু ছিদ্র পথটি সম্পূর্ণ খুলে দিতে হয়।
বায়ু ছিদ্র পথটি হঠাৎ করে খুলে দেওয়া উচিত নয়। এতে শব্দযুক্ত শিখার সৃষ্টি হয় এবং শিখার পশ্চাৎ প্রজ্বলন ঘটার সম্ভাবনা থেকে যায়।
স্টপকক নিয়ন্ত্রন করে গ্যাস সরবরাহের পরিমাণ হ্রাস-বৃদ্ধি করে শিখার আকার ও তীব্রতা হ্রাস-বৃদ্ধি করা যায়।
ল্যাবরেটরিতে বার্ণারের কাজ শেষ হয়ে গেলে গ্যাস সরবরাহের স্টপকক বন্ধ করে শিখা সম্পূর্ণভাবে নেভাতে হয়।
স্পিরিট ল্যম্প
Spirit lamp
রসায়ন ল্যাবরেটরিতে তাপ একটি অত্যান্ত প্রয়োজনীয় নিয়ামক। বুনসেন বার্ণারের সাহায্যে এর চাহিদা পূরণ করা হয়। বুনসেন বার্ণার প্রজ্বলনের জন্য গ্যাস প্রয়োজন হয়। বার্ণারে প্রাকৃতিক গ্যাস দহনের ফলে তাপ উৎপন্ন হয়। ল্যাবরেটরিতে গ্যাস সরবরাহ না থাকলে সে ক্ষেত্রে স্পিরিট ল্যাম্প ব্যবহার করে তাপের যোগান দেওয়া হয়। স্পিরিট ল্যাম্প একটি কাচ পাত্র। এ পাত্রে একটি মুখনল থাকে। এর মধ্যে প্রয়োজনমতো মেথিলেটেড স্পিরিট নেওয়া হয়। মুখনলের মাঝের ছিদ্র দিয়ে একটি সুতার সলিতা যুক্ত থাকে। সলিতায় আগুন ধরালে শিখা ও তাপের সৃষ্টি হয়। উৎপন্ন শিখা দুইটি মণ্ডলে বিভক্ত। যথা-
straight3 বহিঃস্থ জারণ মণ্ডলঃ অনুজ্জ্বল শিখার বাইরের চারপাশের অংশই বহিঃস্থ জারণ মণ্ডল। জ্বালানি গ্যাসের পূর্ণ দহনের ফলে কোনো কার্বন গুঁড়া অবশিষ্ট থাকে না বলে আলোর প্রতিফলনের প্রভাবে এই শিখা অনুজ্জ্বল হয়। তাপ দেয়ার জন্য বহিঃস্থ জারণ মণ্ডল বা অঞ্চল ব্যবহৃত হয়।
অন্তঃস্থ বিজারণ মণ্ডলঃ অনুজ্জ্বল শিখার ভিতরের অংশ নীল বর্ণের হয়। এতে অদগ্ধ গ্যাস-মিশ্রণ ও কার্বন মনোক্সাইড গ্যাস থাকে। এই অন্তঃস্থ শিখাংশকে বিজারণ শিখা বলে; কারণ উক্ত অংশে কার্বনমনোক্সাইড (CO) বিজারক পদার্থ থাকে বলীই শিখা বিজারণ ক্রিয়ায় সহায়তা করে। অন্তঃস্থ বিজারণ শিখায় তাপমাত্রা কম থাকে।
ল্যাবরেটরি যন্ত্রপাতি ও গ্লাস সামগ্রী পরিষ্কার করার কৌশল
Cleaning Process of Laboratory Apparatus
ল্যাবরেটরিতে গ্লাস সামগ্রী ব্যবহারের পর ঐ ব্যবহৃত গ্লাস সামগ্রীকে ধৌতকরণের জন্য নিম্নোক্ত তিনটি 'পরিষ্কারক মিশ্রণের' মধ্য থেকে যেটি সংশ্লিষ্ট গ্লাস সামগ্রীর জন্য উপযুক্ত হবে সেটিকে ব্যবহার করে গ্লাস সামগ্রী পানি দিয়ে পরিষ্কার করতে হয়।
\(Na_{2}CO_{3}\) দ্রবণঃ সোডিয়াম কার্বনেটের \(10\)% লঘু দ্রবণ বড় প্লাস্টিকের গামলায় নিয়ে এতে ময়লাযুক্ত গ্লাস সামগ্রী ডুবিয়ে কিছুক্ষণ রেখে শেষে ব্রাশ দিয়ে ঘষে ময়লা পরিষ্কার করে পানিতে ধুয়ে নিতে হয়।
ডিটারিএন্ট ডেকন-\(90\): রাসায়নিক ল্যাবের প্রায় সব গ্লাস সামগ্রী পরিষ্কার করার জন্য ডেকন-\(90\) অত্যান্ত কার্যকর একটি পরিষ্কারক ডিটারজেন্ট। বিভিন্ন ধরনের ময়লা যেমন- গ্রিজ, আলকাতরা জাতীয় পদার্থ, সিলিকোন তেল,পলিমারিক অবশেষ প্রভৃতিও দূর করার জন্য ডেকন-\(90\) বেশ কার্যকর ডিটারজেন্ট। ডেকন-\(90\) হলো একটি পরিবেশবান্ধব ডিটারজেন্ট, এটি পানিতে তেমন দূষণ সৃষ্টি করে না। এটি \(100\)% অণুজীব দ্বারা ভাঙ্গনযোগ্য বা biodegradeable এবং ফসফেট মুক্ত পরিষ্কারক।
ক্রোমিক এসিড মিশ্রণঃ রাসায়নিক ল্যাবের গ্লাস সামগ্রীকে পরিষ্কার করার জন্য সর্বোত্তম পরিষ্কারকরূপে ব্যবহৃত হয় 'ক্রোমিক এসিড মিশ্রণ' (K_{2}SO_{4}+Cr_{2}(SO_{4})_{3}+4H_{2}O+3[O])। গ্লাস সামগ্রীর গায়ে বিশেষত ব্যুরেটে লেগে থাকা গ্রিজ বা তৈল জাতীয় পদার্থ দূরীকরণে ক্রোমিক এসিড মিশ্রণ খুবই কার্যকর। ক্রোমিক এসিড একটি তীব্র জারক। বিক্রিয়াকালে এটি জায়মান অক্সিজেন [O] বা অক্সিজেন পরমাণু উৎপন্ন করে। তৈল জাতীয় ময়লা পদার্থকে ঐ জায়মান অক্সিজেন জারিত করে ময়লাকে দূর করে থাকে।
\(K_{2}Cr_{2}O_{7}+4H_{2}SO_{4}\rightarrow K_{2}SO_{4}+Cr_{2}(SO_{4})_{3}+4H_{2}O+3[O]\)
ক্রোমিক এসিড মিশ্রণ প্রস্তুতিঃ নিম্নোক্ত উপাদান মিশিয়ে ক্রোমিক এসিড মিশ্রণ তৈরি করা হয়ঃ
\((i) \) পটাসিয়াম ডাইক্রমেট (\(K_{2}Cr_{2}O_{7}\)): \(4.0\) g
\((ii) \) পানি (পাতিত) : \(40.0\) mL
\((iii) \) গাঢ় \(H_{2}SO_{4}\)(2M): \(40.0\) mL
ক্রোমিক এসিড প্রস্তুত প্রণালিঃ একটি \(250mL\) পাইরেক্স গ্লাস বিকারে \(4g \ K_{2}Cr_{2}O_{7}\) গুঁড়াকে \(40 mL\) পাতিত পানিতে দ্রবীভূত করা হয়। এর মধ্যে অল্প অল্প করে 2M (মোলার) ঘনমাত্রার \(40 mL \ H_{2}SO_{4}\) মিশ্রিত করা হয়। তখন তাপোৎপাদী বিক্রিয়া ঘটে, তাই মিশ্রণের তাপমাত্রা \(70^{o}C-80^{o}C\) পর্যন্ত হয়। মিশ্রণটি কক্ষ তাপমাত্রায় শীতল হলে গ্লাসের স্টপার বিশিষ্ট রিয়েজেন্ট বোতল বা বিকারক বোতলে ভর্তি করা হয়। সদ্য প্রস্তুত ক্রোমিক এসিড মিশ্রণে ক্রোমিক অ্যানহাইড্রাইড \(CrO_{3}\) এর একাধিক higher chromic acids থাকে। এক্ষেত্রে নিম্নরূপ পরিবর্তন ঘটে।
\(K_{2}Cr_{2}O_{7}+H_{2}SO_{4}\rightarrow K_{2}SO_{4}+H_{2}Cr_{2}O_{7}(\rightarrow 2CrO_{3}+H_{2}O)\)
\(CrO_{3}+H_{2}O \rightleftharpoons H_{2}CrO_{4}\) ক্রোমিক এসিড (অস্থায়ী); \(H_{2}CrO_{4}\) এর লবণ \(K_{2}CrO_{4}\) স্থায়ী বটে।
\(2H_{2}CrO_{4}\)\(\rightleftharpoons\)\(H_{2}Cr_{2}O_{7}+ H_{2}O\);
ক্রোমিক এসিড ডাইক্রোমিক এসিড
\(3H_{2}CrO_{4}\)\(\rightleftharpoons\)\( H_{2}Cr_{3}O_{10}+2H_{2}O\)
ট্রাইক্রোমিক এসিড
তবে জারণ-বিজারণ বিক্রিয়াকালে ডাইক্রমেট আয়ন \(\left(Cr_{2}O^{2-}_{7}\right)\) এর রিডক্স বিক্রিয়া নিম্নরূপে দেখানো হয়।
\(K_{2}Cr_{2}O_{7}+4H_{2}SO_{4}\rightarrow K_{2}SO_{4}+Cr_{2}(SO_{4})_{3}+4H_{2}O+3[O]\)
এসিড মিশ্রণটি তৈরির পর স্বচ্ছ বর্ণ থাকলেও অনেকবার ব্যবহার করার পর এটি সবুজ রং ধারণ করে। তখন এ ক্রোমিক এসিড মিশ্রণের জারণ ক্ষমতা থাকে না; তাই সবুজ রঙের [\(Cr_{2}(SO_{4})_{3}\)] তৈরি হওয়ার ফলে এ মিশ্রণ ব্যবহার করা হয় না।
ক্রোমিক এসিড মিশ্রণের ব্যবহার বিধিঃ হাতে ল্যাটেক্স গ্লাভস পরে অতি সাবধানতার সাথে ময়লাযুক্ত গ্লাস সামগ্রী যেমন পিপেট, ব্যুরেট, কনিকেল ফ্লাস্ক ইত্যাদিকে ক্রোমিক এসিড মিশ্রণ দ্বারা পূর্ণ করে প্রয়োজনমতো কয়েক ঘন্টা বা একদিন রেখে ঐ ক্রোমিক এসিড মিশ্রণকে আবার গ্লাস স্টপারযুক্ত বিকারক বোতলে ঢেলে রাখতে হয়। এর পর গ্লাস সামগ্রীকে পানি দিয়ে ভালোভাবে ধুয়ে পরিষ্কার করা হয়। কিছু কিছু তৈলাক্ত পদার্থ ক্রোমিক এসিড মিশ্রণ দ্বারা খুব ধীরে ধীরে জারিত হয়। সেক্ষেত্রে ময়লাযুক্ত গ্লাস সামগ্রীকে ক্রোমিক এসিড মিশ্রণে কয়েকদিন পর্যন্ত ডুবিয়ে রাখা হয়। ব্যুরেটের স্টপ-কক এর ভিতরের গ্রিজকে এরূপে পরিষ্কার করা হয়ে থাকে।
ক্রোমিক এসিড মিশ্রণ ব্যবহারে সাবধানতাঃ ক্রোমিক এসিড মিশ্রণ তৈরিতে গাঢ় \(H_{2}SO_{4}\) এসিড মিশ্রণ ডাইক্রোমেট লবণের দ্রবণে যোগ করা হয়, তখন তাপোৎপাদী বিক্রিয়া ঘটে। গাঢ় \(H_{2}SO_{4}\) এসিড পানিশোষী ও ক্ষয়কারক পদার্থ তাই ইহা ব্যবহারকালে চোখে সেফটি গ্লাস বা গগলস , হাতে ল্যাটেক্স গ্লাভস বা ভিনাইল গ্লাভস পরতে হয়। ক্রোমিক এসিড মিশ্রণ ব্যবহারকালেও একই সাবধানতা অনুসরণ করতে হয়। ক্রোমিক এসিড মিশ্রণ ব্যবহারকালে এটি যেন হাত, পা বা শরীরে না লাগে, সেদিকে সতর্ক থাকতে হবে। যদি ঐ এসিড ত্বকে কোথাও লেগে যায়; তখন প্রচুরপানি দিয়ে ধুয়ে শেষে \(5\)% \(NaHCO_{3}\) দ্রবণ দিয়ে ভালোভাবে ধুয়ে নিতে হবে।
গ্লাস সামগ্রী থেকে তৈল এবং গ্রিজ জাতীয় পদার্থ দূর করতে প্রয়োজনে অ্যাসিটোন (\(CH_{3}COCH_{3}\)) দ্রাবক ব্যবহার করা হয়।
ল্যাবরেটরি পরিষ্কার রাখার কৌশল
Strategies to keep the Laboratory Clean
স্কুল কলেজের রসায়ন ল্যাবরেটরি বা রসায়ন পরীক্ষাগারের নিজস্ব বৈশিষ্টের অবকাঠামো থাকে। এ পরীক্ষাগারের মধ্যে থাকে বিভিন্ন প্রয়োজনীয় যন্ত্রপাতি, রাসায়নিক দ্রব্যাদি এবং বিভিন্ন পরীক্ষা সংশ্লিষ্ট গ্লাস সামগ্রী। সাধারণত কাঠামোগতভাবে রসায়ন পরীক্ষাগারে দু'সারি দীর্ঘ টেবিল থাকে। প্রতিটি দীর্ঘ টেবিলে শিক্ষার্থীর ব্যবহারযোগ্য ডেস্ক এবং ডেস্কের ওপর রিয়েজেন্ট বোতল সাজিয়ে রাখার সেলফ যুক্ত থাকে। এছাড়া পানি সরবরাহের ওয়াটার সাপ্লাই নল ও বেসিন এবং বুনসেন বার্ণারের গ্যাস সাপ্লাই নল বিন্যস্ত থাকে। রাসায়নিক দ্রব্যাদি সংরক্ষনের জন্য পৃথক আলমারি ও সেলফ থাকে। গ্লাস সামগ্রী এবং ধাতব ও প্লাস্টিক যন্ত্রপাতিকে পৃথক আলমারিতে রাখা হয়।
ল্যবরেটরির সমস্ত দায়িত্বে ল্যবরেটরি সহকারী, ডেমনষ্ট্রেটর ও দায়িত্ব প্রাপ্ত রসায়ন বিভাগের শিক্ষক। তাদের তত্ত্বাবধানে ল্যবরেটরি সুসজ্জিত থাকে। এছাড়া প্রতিটি শিক্ষার্থীর দায়িত্ব রয়েছে নিজের ল্যবরেটরি ব্যবহারের পর পরিষ্কার-পরিচ্ছন্ন রাখা।
তাই ল্যবরেটরি পরীষ্কার রাখার শিক্ষার্থীর কৌশলগত দায়িত্ব ও ভূমিকা হলোঃ
পানির সিংকে পরীক্ষাকালে বর্জ্যসামগ্রী যেমন- ভাঙ্গা গ্লাসটিউব, ব্যবহৃত ফিল্টার পেপার, ছেড়া কাগজ ইত্যাদি না ফেলা। এসব বর্জ্যসামগ্রী ল্যাবরেটরিতে নির্দিষ্ট স্থানে রাখা ডাস্টবিনেফেলতে হবে।
পরীক্ষাকালে ব্যবহৃত রেয়াজেন্ট বোতল ব্যবহার শেষে শেলফে যথাস্থানে রাখতে হবে; টেবিলের ওপর রাখা যাবে না।
পরীক্ষা শেষে ব্যবহৃত গ্লাসটিউব পরিষ্কার করে স্ট্যান্ডে সুকানোর জন্য রেখে টেবিলে সাজিয়ে রাখতে হবে।
যন্ত্রপাতি পরিষ্কার রাখার কৌশলঃ একাদশ ও দ্বাদশ শ্রেণীর সিলেবাস মতে পরীক্ষাকাজে বিভিন্ন গ্লাস সামগ্রী, কেমিক্যাল ব্যালেন্স, বুনসেন বার্ণার, থার্মোমিটার ইত্যাদি ব্যবহৃত হয়। এছাড়া কর্মমুখী রসায়নে ব্যবহৃত প্রেসার ক্যানিং যন্ত্র, বিভিন্ন প্রকার কৌটা ও ক্রিম মেসিন রয়েছে।
রসায়ন ল্যাবে কেমিক্যাল ব্যালেন্স ব্যবহৃত হয় বিশুদ্ধ রাসায়নিক পদার্থের সঠিক ওজন নেওয়ার জন্য। এটি একটি মূল্যবান যন্ত্র। শিক্ষকের নিকট থেকে ব্যবহারবিধি জেনে কেমিক্যাল ব্যালেন্স ব্যবহার করতে হয়।এর যত্ন নিতে হয় যেন ব্যালেন্সের ওপর এবং আশেপাশে কোন রাসায়নিক পদার্থ পড়ে না থাকে। কাজ শেষ করে ব্যালেন্সের প্যান টিস্যু পেপার বা ফ্লানেল কাপড় দিয়ে মুছে নিতে হবে। ওয়েট বক্সের ওয়েটগুলোকে সঠিক স্থানে রাখতে হবে। ব্যালেন্সের বক্সের দরজা বন্ধ রাখতে হবে।
গ্লাস সামগ্রী পরিষ্কার রাখার কৌশলঃ পরিষ্কার গ্লাস সামগ্রী নিয়েই পরীক্ষাকাজ শুরু করতে হয়। অপরিচ্ছন্ন, অস্বচ্ছ গ্লাস সামগ্রী নিয়ে রাসায়নিক পরীক্ষার কাজ করা যেতে পারে না। সাধারণত ট্যাপের পানিতে গ্লাস সামগ্রী ধুয়ে নিতে হয়। তবে-
তৈলাক্ত পদার্থ থকলে বিশেষত ব্যুরেটের স্টপকক পরিষ্কার করার কাজে বোতলে সংরক্ষিত ক্রোমিক এসিড মিশ্রণ (\(K_{2}Cr_{2}O_{7}\) ও গাঢ় \(H_{2}SO_{4}\) এসিড মিশ্রণ ) দিয়ে সতর্কতার সাথে ও গ্লাভস পরা হাতে পরিষ্কার করা হয়। টেস্টটিউব পরিষ্কার করার সময় বাম হাতে টেস্টটিউব নিয়ে ট্যাপের পানিতে ডান হাতে করে ব্রাশ ব্যবহার করতে হয়।
রঙিন পদার্থ যেমন লৌহ লবণ, কপার লবণ, \(KMnO_{4}, \ K_{2}Cr_{2}O_{7}\) ইত্যাদি লবণ টেস্টটিউবে ব্যবহার করে শেষে না ধুয়ে রেখে দিলে ঐ সব পদার্থ টেস্টটিউবের ভিতরের গায়ে লেগে থাকে। পরে পরিষ্কার করতে গিয়ে অনেক সময় লাগে। তাই গ্লাস সামগ্রী ব্যবহার শেষে পানিতে ধুয়ে পরিষ্কার করে রাখতে হয়। টেস্টটিউব পরিষ্কার করে ইহা স্ট্যান্ডে সাজিয়ে রাখা উচিত।
অ্যামোনিয়া দ্রবণ দিয়েও কাচ যন্ত্র পরিষ্কার করা হয়।
টেস্টটিউব ও বিকার পরিষ্কারের কৌশল
Testtube and Beaker Cleaning Techniques
টেস্টটিউবের মধ্যে আমরা সাধারণত কঠিন উপাদান বা দ্রবণ রেখে তাপ দেই। কঠিন উপাদানের ক্ষেত্রে টেস্টটিউবকে প্রথমে টিউব হোল্ডার দ্বারা ধরে টিউবের মধ্যে রাখা প্রয়োজনীয় উপাদানকে ধীরে ধীরে উত্তপ্ত করা হয়। টেস্টটিউবকে তাপ দেওয়ার সময় জারণ শিখার অগ্রভাগে রেখে ধীরে ধীরে তাপ দেওয়া হয়। কখনোই বিরামহীনভাবে টেস্টটিউবকে তাপ দেওয়া যাবে না। টিউবে পরীক্ষাধীন উপাদান নিয়ে পর্যায়ক্রমে তাপ দিতে হয়। পরীক্ষা ও পর্যবেক্ষণ শেষে টেস্টটিউবকে ঠাণ্ডা করার জন্য টিউব স্ট্যান্ডে রাখা হয়।
দ্রবণের ক্ষেত্রে পরীক্ষাধীন নমুনা টিউবের মধ্যে অল্প পরিমাণে নিয়ে পূর্বের ন্যায় একইভাবে জারণ শিখায় উত্তপ্ত করা হয়। উত্তপ্ত করার সময় টিউবকে হোল্ডার দ্বারা ধরে খাড়া করে উত্তপ্ত করতে হয়। খেয়াল রাখতে হবে যেন উত্তপ্ত অবস্থায় টিউব হতে কোনো উপাদান বেশি তাপের ফলে লাফ দিয়ে বেরিয়ে না আসে। উত্তপ্ত অবস্থায় কখনোই টিউবকে ট্যাপের পানি বা কোন ঠাণ্ডা পানির সংস্পর্শে নেয়া যাবে না। ঠাণ্ডা হওয়ার পর সেটিকে ট্যাপের পানি দ্বারা ভালোভাবে ধুয়ে নেওয়া হয়। যদি টিউবটি অধিক ময়লাযুক্ত হয় সেক্ষেত্রে ব্রাশে ওয়াশিং পাউডার বা তরল ডিটারজেন্ট নিয়ে ভালোভাবে ব্রাশ করে উষ্ণ গরম পানিতে ভালোকরে ধুয়ে নিতে হয়।
যথাযথ ব্যবহার শেষে অনুরূপভাবে বিকারও পরিষ্কার করতে হয়।
ব্যুরেট পরিষ্কার করার কৌশল
Burette Cleaning Techniques
প্রতিবার ব্যবহারের পর ব্যুরেটকে পানি দিয়ে ধুয়ে নিতে হয়। তবে ব্যুরেট পরিষ্কার করার সর্বোত্তম পন্থা হলো ক্লিঞ্জিং মিক্‌চার বা ক্রমিক এসিড (\(K_{2}Cr_{2}O_{7}\) ও গাঢ় \(H_{2}SO_{4}\) এর মিশ্রণ ) দ্বারা ধৌতকরণ। ক্রমিক এসিড দ্বারা ধৌত করার ব্যুরেটটিকে আবার পানি দিয়ে ধুয়ে নিতে হয়। ধোয়ার পর দেখতে হয় স্টপকক ঠিকমত ঘুরে কিনা বা এর পাশ দিয়ে লিক্‌ (leak) করে কনা। যদি স্টপকক ঠিকমত কাজ না করে, তবে এর উভয় পাশে সামান্য গ্রিজ লাগিয়ে নেয়া হয়; (অধিক গ্রিজ দেয়া ঠিক নয়)। গ্লাস স্টপককের ছিদ্রের ভেতর গ্রিজ ঢুকে গেলে সরু তারের সাহায্যে বের করে নিতে হয়।
পরিবেশের ওপর ল্যাবরেটরিতে ব্যবহৃত দ্রব্যের প্রভাব
Effect of Lab Waste on Environment
পরিবেশ বলতে প্রত্যেক জীবের চার পাশের সজীব ও নির্জীব উপাদানসমূহের সমাবেশকে বোঝায়। বর্জ্য রাসায়নিক দ্রব্যসমূহ পরিবেশের ওপর কম বেশি প্রতক্ষ ও পরক্ষভাবে প্রভাব সৃষ্টি করে। কেমিস্ট্রি ল্যাবরেটরিতে প্রতিদিন ব্যবহৃত কঠিন, তরল ও গ্যাসীয় বিভিন্ন গুণসম্পন্ন রাসায়নিক পদার্থ বর্জ্যরূপে পরিবেশে সহজে মিশে যায়। মাত্রাতিরিক্ত এসব ক্ষতিকর বর্জ্য পদার্থ মাটি, পানি ও বায়ুমণ্ডলের মারাত্মক দূষণ ঘটায়।
ল্যাবরেটরিতে অধিক ব্যবহৃত ও পরিবেশের ক্ষতিকর রাসায়নিক দ্রব্যসমূহ হলোঃ
অজৈব এসিড যেমন- হাইড্রক্লোরিক এসিড (\(HCl\)), নাইট্রিক এসিড (\(HNO_{3}\)), সালফিউরিক এসিড (\(H_{2}SO_{4}\)) ইত্যাদি।
অজৈব ক্ষার যেমন- কস্টিক সোডা (\(NaOH\)), কস্টিক পটাস (\(KOH\)), লিকার অ্যামোনিয়া (35%-40% \(NH_{3}\)), সোডিয়াম কার্বোনেট (\(Na_{2}CO_{3}\)) ইত্যাদি।
ধাতব লবণসমূহ যেমন- লেড (\(Pb\)), মারকারি (\(Hg\)), সিলভার (\(Ag\)), অ্যান্টিমনি (\(Sb\)), টিন (\(Sn\)), আয়রন (\(Fe\)), অ্যালুমিনিয়াম (\(Al\)), ক্রোমিয়াম (\(Cr\)), জিংক (\(Zn\)), কোবাল্ট (\(Co\)), নিকেল (\(Ni\)), ম্যাঙ্গানিজ (\(Mn\)), ক্যালসিয়াম (\(Ca\)), বেরিয়াম (\(Ba\)), স্ট্রনসিয়াম(\(Sr\)), সোডিয়াম (\(Na\)), পটাসিয়াম(\(K\)), ম্যাগনেসিয়াম (\(Mg\)) ইত্যাদি ধাতুর বিভিন্ন হ্যালাইড, নাইট্রেট, সালফেট, কার্বোনেট ও ফসফেট লবণ।
জৈব দ্রাবক ও বিকারক যেমন- মিথানল, ইথানল, অ্যাসিটোন, ক্লোরোফরম, ক্লোরোবেনজিন, টলুইন, জাইলিন, অ্যানিলিন ইত্যাদি।
ল্যাবরেটরিতে ব্যবহৃত অতিরিক্ত এসিড (\(HCl\) বা \(HNO_{3}\) বা \(H_{2}SO_{4}\)) অথবা অতিরিক্ত ক্ষার (\(NaOH\) বা \(KOH\)) বর্জ্যরূপে ড্রেনের পানির সঙ্গে নিকটস্ত বিভিন্ন জলাশয়ে ও মাটিতে মিশে যায়। তখন ঐ পানি বা মাটির অম্লত্ব বা ক্ষারকত্বের অর্থাৎ \(pH\) মানের মারাত্মক হ্রাস বৃদ্ধি ঘটে। মাটির অনুকূল \(pH \ 7.0-8.0\) থেকে খুব বেশি হ্রাস বা বৃদ্ধি ঘটলে মাটির অণুজীব ধ্বংস এবং উর্বরতা নষ্ট হয়। জলাশয়ে পানির \(pH\) এর মান \(3\) এর নিচে হলে জলজ উদ্ভিদ ও মাছ মারা যায়।
ভারী ধাতুর আয়ন যেমন- \(Pb^{2+}, \ Hg^{2+}, \ Cd^{2+}, \ Cr^{2+}\) দ্বারা দূষিত পানি থেকে এসব আয়ন মাছের দেহে এবং দূষিত মাটি থেকে উদ্ভিদ দেহে শোষিত হয়। পরে খাদ্যশৃঙ্খলের মাধ্যমে এসব ভারী ধাতুর আয়ন মানবদেহের চর্বিতে শোষিত হয়ে স্নায়ুতন্ত্র, কিডনি ও প্রজননতন্ত্রে বিভিন্ন মারাত্মক রোগ বা ক্যান্সার সৃষ্টি করে।
অনেক উদায়ী জৈব যৌগের বাষ্প বায়ুতে মিশে যায়। এছাড়া রসায়ন পরীক্ষাগারে বিভিন্ন বিক্রিয়ায় উৎপন্ন গ্যাসসমূহ যেমন- \(CO_{2},\) \(NO_{2},\) \(SO_{2}\) ও \(HCl(g)\) ইত্যাদি অম্লধর্মী গ্যাস বায়ুতে মিশে বায়ুদূষণ ঘটায়। বায়ুদূষণের ফলে শ্বাসযন্ত্রে বিভিন্ন রোগ সৃষ্টি করে।
রাসায়নিক দ্রব্য সংরক্ষণ ও ব্যবহারের সতর্কতা
Storage of Chemicals and their Careful Use
হ্যাজার্ড প্রতীক বা সিম্বলঃ বিপজ্জনক রাসায়নক দ্রব্যের বিপদ ঝুঁকি সম্বন্ধে সতর্ক করার জন্য ঐ সব রাসায়নিক পদার্থের প্যাকেটের ওপর যেসব সুনির্দিষ্ট সতর্কীকরণ প্রতীক ব্যবহার করা হয় তাদেরকে রাসায়নিক দ্রব্যের হ্যাজার্ড প্রতীক বা সিম্বল বলে। রাসায়নিক পদার্থের হ্যাজার্ড সিম্বল মোট ১০ টি যা আন্তর্জাতিকভাবে স্বীকৃত।
রাসায়নিক দ্রব্য উৎপাদনকারী প্রতিষ্ঠানসমূহ যেমন- BDH (British Drug House), E. Merck, Aldrich তাদের রাসায়নিক দ্রব্যের বোতলের লেবেলে এ সব সতর্কীকরণ প্রতীক সরবরাহ করে থাকে।
রাসায়নক পদার্থ ছাড়াও বিপজ্জনক কিছু হ্যাজার্ড সিম্বল আন্তর্জাতিকভাবে স্বীকৃত আছে; যেমন- তেজস্ক্রিয় রশ্মির জন্য ও স্বাস্থ্য ঝুঁকির সংকেত।
সারাবিশ্বে ল্যাবরেটরিতে, শিল্প কারখানায়, কৃষি, চিকিৎসা প্রভৃতি ক্ষেত্রে রাসায়নিক দ্রব্যের ব্যবহার ও রাসায়নিক দ্রব্যের বাণিজ্য বেড়ে যাওয়ায় এদের সংরক্ষণ ও ব্যবহারের সতর্কতামূলক ব্যবস্থা গ্রহণ জরুরী হয়ে পড়ে। এ সংক্রান্ত একটি সার্বজনীন নিয়ম Globally Harmonised System (GHS) চালুর বিষয়ে ১৯৯২ খ্রিস্টাব্দে জাতিসংঘের উদ্যোগে পরিবেশ ও উন্নয়ন নামে একটি সম্মেলন অনুষ্ঠিত হয়। এ সম্মেলনের উদ্দেশ্য ছিল "One chemical one label-world wide"

এর প্রতিপাদ্য বিষয়সমূহ ছিল-
রাসায়নিক পদার্থকে ঝুঁকি ও ঝুঁকির মাত্রার ভিত্তিতে বিভিন্ন শ্রেণিতে ভাগ কর।
ঝুঁকির সতর্কতা সংক্রান্ত তথ্য-উপাত্ত তৈরি করা।
ঝুঁকি ও ঝুঁকির মাত্রা বুঝানোর জন্য সার্বজনীন সাংকেতিক চিহ্ন বা সিম্বল নির্ধারণ করা।
২০০২ খ্রিষ্টাব্দে UN World Summit-এ পূর্বের BDH নিয়ম ২০০৮ খ্রিষ্টাব্দের মধ্যে পৃথিবীব্যাপি কার্যকরী করার জন্য সব্দেশ সম্মত হয়। কোনো রাসায়নিক দ্রব্য সরবরাহ ও সংরক্ষণ করতে হলে তার গায়ে লেবেলের সাহায্যে শ্রেণিভেদ অনুযায়ী প্রয়োজনীয় সাংকেতিক সিম্বল দেয়া আবশ্যক। এতে কার্যকারিতার ঝুঁকি মাথায় রেখে সংরক্ষণ ও ব্যবহার করতে পারবে। রাসায়নিক বস্তুর ঝুঁকি অনুসারে, ঝুঁকি নির্দেশক সঠিক Hazard Symbol Labelling এবং ঝুঁকির মাত্রা অনুসারে সংরক্ষণে তিন নিয়মের সমন্বয়কে CLP regulation বলা হয়।
নিচের সারণি মতে বিপজ্জনক সিম্বলযুক্ত কোনো রাসায়নিক পদার্থ দেখে বোঝা যাবে যে, ঐ রাসায়নিক পদার্থ একটি বিষাক্ত পদার্থ। তখন ব্যবহারকারী অত্যন্ত সতর্ক হয়ে উঠবে। এছাড়া ব্যবহারের পর বর্জ্য উন্মুক্ত পরিবেশে ফেলে দেয়া যাবে কীনা বা পরিশোধন প্রয়োজন হবে কীনা সে সম্পর্কে ধারণা নিতে পারবে। সংগৃহীত রাসায়নিক দ্রব্য কোথায়, কীভাবে সংরক্ষণ করলে রাসায়নিক দ্রব্যের মান ঠিক থাকবে এবং অনাকাঙ্ক্ষিত দুর্ঘটনা এড়ানো যাবে, সে সব ধারণাও এতে পাওয়া যাবে।
রাসায়নিক পদার্থের ঝুঁকি ও ঝুঁকির মাত্রা বোঝার জন্য নির্ধারিত সিম্বল, ঝুঁকি, ঝুঁকির মাত্রা ও সাবধানতা নিচের সারণিতে দেখানো হলো-
রাসায়নিক দ্রব্যের হ্যাজার্ড সিম্বল ঝুঁকি, ঝুঁকির মাত্রা, সাবধানতা ও সংরক্ষণ
১। প্রতীকঃ \(T\)
straight3
Toxic
বিষাক্ত
বিষাক্ত পদার্থঃ ক্যাডমিয়াম ও ক্রোমিয়াম (VI) লবণ, \(BaCl_{2}, \ NaH, \ LiAlH_{4}\)। নিঃশ্বাসে, ত্বকে লাগলে অথবা খেলে মৃত্যু হতে পারে।
সংরক্ষণঃ এ ধরনের পদার্থ তালাবদ্ধ স্থানে সংরক্ষণ করা বাঞ্ছনীয়।
সাবধানতাঃ ব্যবহারের সময় হাতে গ্লাভস, চোখে নিরাপদ চশমা ও নাকে মুখে মাস্ক ব্যবহার করা প্রয়োজন। পরীক্ষার পর পরীক্ষণ মিশ্রণের যথাযথ পরিশোধন করা দরকার। প্রতীক হলো \(T\)।
২। প্রতীকঃ \(T+\)
straight3
Very Toxic
অত্যন্ত বিষাক্ত
মারাত্মক বিষাক্ত পদার্থঃ এ শ্রেণির পদার্থের মধ্যে মারকারি লবণসমূহ, \(HCN\) ও সায়নাইড যৌগসমূহ এবং নিকোটিন অন্তর্ভুক্ত। নিঃশ্বাসে, ত্বকের মাধ্যমে শোষিত হলে, গলাধঃকরণ করলে মৃত্যু ঘটতে পারে। এ শ্রেণির পদার্থের সংস্পর্শে ক্যান্সারসহ প্রজনন ক্ষমতা ধ্বংস হয়।
সংরক্ষণঃ এ ধরনের পদার্থ তালাবদ্ধ স্থানে সংরক্ষণ করা উচিত।
সাবধানতাঃ ব্যবহারের সময় হাতে গ্লাভস, চোখে নিরাপদ চশমা ও নাকে মুখে মাস্ক ব্যবহার করা প্রয়োজন। শরীরে ত্বকের মাধ্যমে প্রবেশ করতে পারে তাই এ সব পদার্থ এড়িয়ে চলতে হয়। পরীক্ষার কাজ শেষ করে হাত যথাযথ পরিষ্কার করা। প্রতীক হলো \(T+\)।
৩। প্রতীকঃ \(Xn\)
straight3
Harmful
ক্ষতিকারক
ক্ষতিকারক পদার্থঃ যেমন- ব্লিচিং পাউডার, Paints, Floor polishes জাতীয় পদার্থ যে গুলো জৈব দ্রাবক, পেট্রোলে এ দ্রবীভূত । এছাড়া অ্যান্টিফ্রিজ ও পোকামাকড় মারার ওষুধ শ্বাসপ্রশ্বাসে দীর্ঘসময় যাবৎ দ্রহণ করলে, অথবা গিলে ফেললে মারাত্মক ক্ষতি হতে পারে।
সংরক্ষণঃ এ ধরনের পদার্থ তালাবদ্ধ স্থানে সংরক্ষণ করা উচিত।
সাবধানতাঃ এসব রাসায়নিক পদার্থ ব্যবহারের সময় হাতে গ্লাভস, নাকে মুখে মাস্ক ব্যবহার করা প্রয়োজন। প্রতীক হলো \(Xn\)। ( এক্ষেত্রে 'n' দ্বারা Noxious অর্থাৎ ক্ষতিকারক বোঝায় )
৪। প্রতীকঃ \(Xi\)
straight3
Irritant
উত্তেজক
উত্তেজক পদার্থঃ যেমন- বরঞ্জক পদার্থ, সোপ পাউডার, সিমেন্ট গুঁড়া, লঘু এসিড ও ক্ষার দ্রবণ। ত্বকের সংস্পর্শে এসব পদার্থের ঘনমাত্রা, সংস্পর্শের স্থায়িত্ব মতে ক্ষতির মাত্রা কম বেশি হয়। ত্বক, চোখ ও শ্বাসতন্ত্রে এরা ক্ষতি করে।
সংরক্ষণঃ এ ধরনের পদার্থ তালাবদ্ধ স্থানে সংরক্ষণ করতে হবে।
সাবধানতাঃ ব্যবহারের সময় হাতে গ্লাভস, চোখে নিরাপদ চশমা ও নাকে মুখে মাস্ক ব্যবহার্য। এদের প্রতীক হলো \(Xi\)। ( এক্ষেত্রে 'i' দ্বারা Irritant অর্থাৎ উত্তেজক বোঝায় )
৫। প্রতীকঃ \(F\)
straight3
Flammable
দাহ্য পদার্থ
দাহ্য পদার্থঃ যেমন- \(Na, \ MaH, \ LiAlH_{4}, \ Zn\)-পাউডার, অ্যারোসল, পেট্রোলিয়াম ইত্যাদি। এদের সহজেই আগুন ধরে যায়। পানিসহ বিক্রিয়ায় তাপ উৎপন্ন করে।
সংরক্ষণঃ এ ধরনের পদার্থ আগুন বা তাপ থেকে দূরে, এবং ঘর্ষণ মূক্ত রাখতে হয়। \(Na\) কে কেরসিনে; \(MaH, \ LiAlH_{4}\) কে 'inert gas' পরিবেশে সংরক্ষণ করতে হয়।
সাবধানতাঃ ব্যবহারের সময় হাতে গ্লাভস, চোখে নিরাপদ চশমা ও নাকে মুখে মাস্ক ব্যবহার করা প্রয়োজন। প্রতীক হলো \(F\)।
৬। প্রতীকঃ \(F+\)
straight3
Extremely
Flammable
মারারমক দাহ্য পদার্থ
মারাত্মক দাহ্য পদার্থঃ যেমন- ডাই ইয়থাইল ইথার, \(LPG, \ CNG\) আসিটিলিন গ্যাস ও অ্যারোসল মিশ্রণ ইত্যাদি নিম্ন তাপমাত্রায় ও কক্ষ তাপমাত্রায় প্রজ্বলন সান্নিধ্যে সহজে শিখাসহ জ্বলে উঠে।
সংরক্ষণঃ এ ধরনের পদার্থকে অগ্নি স্ফুলিঙ্গের পরিবেশ থেকে অনেক দূরে রাখতে হয়।
সাবধানতাঃ ব্যবহারের সময় হাতে গ্লাভস, চোখে নিরাপদ চশমা ও নাকে মুখে মাস্ক ব্যবহার করা প্রয়োজন। প্রতীক হলো \(F+\)।
৭। প্রতীকঃ \(E\)
straight3
Explosive
বিস্ফোরক
বিস্ফোরকঃ এ শ্রেণির পদার্থ অস্থিত, নিজে নিজেই বিক্রিয়া করতে পারে। যেমন- জৈব পার-অক্সাইড; \(NH_{4}NO_{3}, \ TNT, \ metal \ azides,\) গান পাউডার।
সংরক্ষণঃ এ ধরনের পদার্থ নির্জনে ও শুস্ক জায়গায় সংরক্ষণ, সাবধানে নাড়াচাড়া, ঘর্ষণ হতে পারে এমন অবস্থা এড়িয়ে রাখা উচিত।
সাবধানতাঃ অন্য কোনো পদার্থের সাথে মিশ্রণের সময় অতি ধিরে ধিরে যুক্ত করা, ব্যবহারের সময় হাতে গ্লাভস, চোখে নিরাপদ চশমা ও নাকে মুখে মাস্ক ব্যবহার করা প্রয়োজন। প্রতীক হলো \(E\)।
৮। প্রতীকঃ \(N\)
straight3
Invironmentally Toxic
পরিবেশ দূষক
পরিবেশের জন্য ক্ষতিকর পদার্থঃ এ শ্রেণির পদার্থ হলো \(NH_{3}\) গ্যাস, \(Cl_{2}\) গ্যাস, তারপিন তেল ও বিভিন্ন কীটনাশক, Lindane । এরা প্রাণীর জন্য ক্ষতিকর।
সংরক্ষণঃ গ্যাস সিলিন্ডার আলাদা রাখতে হবে। এ ধরনের পদার্থ নদী-নালার পানিতে মিশতে দেয়া উচিত নয়।
সাবধানতাঃ ব্যবহারের সময় হাতে গ্লাভস, চোখে নিরাপদ চশমা ও নাকে মুখে মাস্ক ব্যবহার করা প্রয়োজন। হ্যাজার্ড সিম্বলটিতে মরা মাছ ও মরা গাছ রয়েছে। প্রতীক হলো \(N\)।
৯। প্রতীকঃ \(O\)
straight3
Oxidizing
জারক
রাসায়নিক জারক পদার্থঃ যেমন- ক্লোরিন গ্যাস; এটি নিঃশ্বাসে গেলে শ্বাসকষ্ট হতে পারে। কঠিন \(\) গুঁড়া, ক্ষয়কারক পদার্থ ত্বকের ক্ষয় করে, পেটে গেলে ডায়রিয়া হয়।
সংরক্ষণঃ গ্যাস হলে নিচ্ছিদ্রভাবে রাখা; জারণ বিক্রিয়া করতে পারে এমন পাত্রে রাখা উচিত নয়।
সাবধানতাঃ ব্যবহারের সময় হাতে গ্লাভস, চোখে নিরাপদ চশমা ও নাকে মুখে মাস্ক ব্যবহার করা প্রয়োজন। সিম্বলটিতে বৃত্তের ওপর আগুনের শিখা। প্রতীক হলো \(O\)।
১০। প্রতীকঃ \(C\)
straight3
Corrosive
ক্ষয়কারী
ক্ষয়কারক পদার্থঃ যেমন- ব্লিচিং সল্যুশন, গাঢ় এসিড \(HCl, \ HNO_{3}, \ H_{2}SO_{4}\) ও ক্ষার দ্রবণ \(NaOH, \ KOH, \ NH_{4}OH,\) ড্রেইন ক্লিনার। এসব পদার্থ ত্বকের মারাত্মক ক্ষতি ও Severe burn ঘটায়। রাসায়নিক পদার্থের গাঢ়তার ওপর ক্ষতির প্রকৃতি নির্ভর করে। চোখ ও ত্বক নষ্ট হয়।
সংরক্ষণঃ এসিড, ক্ষার ও অন্যান্য পদার্থ আলাদাভাবে রাখতে হয়।
সাবধানতাঃ ব্যবহারের সময় হাতে গ্লাভস, চোখে নিরাপদ চশমা ও নাকে মুখে মাস্ক ব্যবহার করা প্রয়োজন। প্রতীক হলো \(C\)।
১১।
straight3
Trefoil
তেজস্ক্রিয় রশ্মি চিহ্ন
তেজস্ক্রিয় পদার্থঃ আন্তর্জাতিক তেজস্ক্রিয় রশ্মি চিহ্নটিকে ট্রিফয়েলও বলা হয়। এটি দ্বারা অতিরিক্ত ক্ষতিকর আলোক রশ্মিকে বোঝানো হয়। এ তেজস্ক্রিয় রশ্মি মানবদেহকে বিকলাঙ্গ করে দিতে পারে এবং শরীরে ক্যান্সার সৃষ্টি করতে পারে।
সংরক্ষণঃ রশ্মি বের হতে না পারে এ ধরনের পুর বা বিশেষ পাত্রে এসব রাসায়নিক দ্রব্যাদি সংরক্ষণ করা উচিত।
সাবধানতাঃ ব্যবহারের সময় হাতে গ্লাভস, চোখে নিরাপদ চশমা ও উপযুক্ত পোশাক পরিধান করা বাঞ্ছনীয়।
১২।
straight3
স্বাস্থ্য-ঝুঁকির সংকেত
স্বাস্থ্য-ঝুঁকিমূলক পদার্থঃ এ শ্রেণির পদার্থ দেহের শ্বাসপ্রশ্বাস সংক্রান্ত তন্ত্রের জন্য সংবেদনশীল, জীবাণু সংক্রমণ ঘটাতে পারে, ক্যান্সার সৃষ্টি করতে পারে।
সংরক্ষণঃ এ ধরনের পদার্থ সর্বসাধারণের চলাচলের বাইরে নিরাপদ স্থানে সংরক্ষণ করা উচিত।
সাবধানতাঃ ব্যবহারের সময় হাতে গ্লাভস, চোখে নিরাপদ চশমা ও নাকে মুখে মাস্ক ব্যবহার করা প্রয়োজন।
পরিবেশ ও স্বাস্থ্যের ওপর ল্যাবরেটরিতে ব্যবহৃত রাসায়নিক দ্রব্যের প্রভাব
Effects of chemicals used in the laboratory on the environment and health
রাসায়নিক ল্যাবরেটরিতে বিভিন্ন প্রকার এসিড, শক্তিশালী ক্ষার, স্বাস্থ্যের জন্য ক্ষতিকর বিভিন্ন ধাতুর লবণ, বিভিন্ন জৈব দ্রাবক ব্যবহৃত হয়। এগুলোর অতিরিক্ত ব্যবহারের ফলে তা কোন না কোনভাবে পরিবেশে ছড়িয়ে পড়ে এবং উদ্ভিদ ও প্রাণিদেহে প্রবেশ করে। এর ক্ষতিকর প্রভাব দীর্ঘমেয়াদি। ল্যাবরেটরিতে এগুলির অতিরিক্ত ব্যবহার সম্পর্কে সচেতন হওয়া প্রয়োজন। ভারী ধাতুর আয়ন \(Pb^{2+}, \ Hg^{2+}, \ Cd^{2+}, \ Cr^{2+}\) প্রাণিদেহে প্রবেশ করলে প্রাণিদেহের এনজাইমের কার্যক্ষমতা বিনষ্ট হয় এবং সাথে সাথে শরীরে বিষক্রিয়া ঘটে।
বিভিন্ন ভারী শিল্প কারখানা যেমন- চামড়া শিল্প, ডাইং শিল্প, কাগজ, রেয়ন, সার ইত্যাদি শিল্পক্ষেত্রের ল্যবরেটরিতে পরিবেশের উপর মারাত্মক ক্ষতিকর উপাদানের ব্যবহার হয়ে থাকে। এসব রাসায়নিক দ্রব্যের অতিরিক্ত ব্যবহার পরিবেশের জন্য যে কতটা ক্ষতিকারক তা কল্পনা করা যায় না। এসব রাসায়নিক দ্রব্যের ব্যবহার খুবই স্বল্পমাত্রায় এবং নিয়ন্ত্রণের মধ্যে রাখা উচিত। তাই এসব শিল্প কারখানা স্থাপনের পূর্বে পরিবেশ অধিদপ্তর থেকে পূর্ব অনুমতি নেওয়ার প্রয়োজন হয়।

পরিবেশ ও স্বাস্থ্যের ওপর ক্ষতিকর ল্যাবরেটরিতে ব্যবহৃত বিভিন্ন রাসায়নিক দ্রব্যের প্রভাবঃ
রাসায়নিক দ্রব্য স্বাস্থ্যের প্রতি-প্রতিক্রিয়া পরিবেশের উপর প্রতিক্রিয়া
১। হাইড্রোক্লোরিক এসিড \(HCl\) \(HCl\) গ্যাস মারাত্মক বিষাক্ত এবং এসিড হিসেবে ত্বক ক্ষয়কারী। ইহা মুখ, গলা ও শ্বাসনালীতে প্রদাহের সৃষ্টি করে। \(HCl\) গ্যাস বেশি গ্রহন করলে মৃত্যু পর্যন্ত হতে পারে। \(HCl\) এসিড একটি সবল এসিড। এটি পানিতে পূর্ণভাবে আয়নিত হয়ে পানির \(pH\) মান দ্রুত হ্রাস করে। ফলে জলজ উদ্ভিদ ও প্রাণীর ইকোসিস্টেমের মারাত্মক ক্ষতি করে।
২। সালফিউরিক এসিড \(H_{2}SO_{4}\) \(H_{2}SO_{4}\) এসিড একটি মারাত্মক ক্ষয়কারী, তীব্র জারক ও তীব্র-নিরুদক। এ এসিড বাষ্প চোখ, মুখ ও শ্বাসনালিতে প্রদাহ এবং ত্বকে ফোস্কা সৃষ্টি করে। এমনকি ফুসফুসও আক্রান্ত হয়। ত্বকে পড়লে ক্ষত সৃষ্টি হয়। \(H_{2}SO_{4}\) এসিড মাটিতে ও পানিতে মিশলে \(pH\) মানের দ্রুত হ্রাস ঘটে। জলজ উদ্ভিদ ও প্রাণীর ইকোসিস্টেমের মারাত্মক বিপর্যয় ঘটে। মাটির অনুজীবকে ধ্বংস করে। ফলে ঐ মাটিতে আর উদ্ভিদ জন্মাতে পারে না।
৩। নাইট্রিক এসিড \(HNO_{3}\) মারাত্মক ক্ষয়কারী ও তীব্র জারক হওয়ায় ত্বকের প্রদাহ, চোখ-মুখ জবালাপোড়া করে। \(HNO_{3}\) বাষ্প এর বিযোজনে সৃষ্ট \(NO_{2}\) গ্যাস তীব্র শ্বাসকষ্ট সৃষ্টি করে থাকে; এমনকি মৃত্যুও হতে পারে। \(HNO_{3}\) এসিড পানিতে মিশে পানির \(pH\) মানের দ্রুত হ্রাস ঘটায়। মাছ অন্যান্য জলজ প্রাণিদের ডিম পাড়া এবং বংশ বিস্তারে বিঘ্ন ঘটে। ক্ষয়কারী হওয়ায় \(HNO_{3}\) এসিড মাটিতে মিশে মাটির খনিজ উপাদানকে ধ্বংস করে থাকে।
৪। কস্টিক সোডা \(NaOH\) কস্টিক পটাস \(KOH\) \(NaOH\) ও \(KOH\) হলো ক্ষয়কারী রাসায়নিক উপাদান। মাত্র \(10\)% (w/v) \(NaOH\) বা \(KOH\) এর জলীয় দ্রবণ \(30\) সেকেন্ডের মধ্যে চোখ অন্ধ করে দিতে পারে। কোনোভাবে মুখে প্রবেশ করলে গলা, শ্বাসনালি ও পাকস্থলির মারাত্মক প্রদাহজনিত সংক্রমণ ঘটে। \(NaOH\) বা \(KOH\) এর দ্রবণ পানিতে মিশে পানির দূষণ ঘটায়। পানির \(pH\) মানের দ্রুত বৃদ্ধি করে। জলজ উদ্ভিদ ও প্রাণীর ক্ষতি হয়।
৫। অ্যামোনিয়াম হাইড্রোক্সাইড \(NH_{4}OH\) লিকার অ্যামোনিয়া 35%-40% \(NH_{3}\) এর সম্পৃক্ত দ্রবণ তীব্র ঝাঁঝালো গন্ধ যুক্ত \(NH_{3}\) গ্যাস শ্বাসের সাথে প্রবেশ করলে মারাত্মক শ্বাসকষ্ট, গলা ও শ্বাসনালিতে প্রদাহ সৃষ্টি করে। চোখ জ্বালাপোড়া করে এবং মুহূর্তের মধ্যে চোখ রক্তবর্ণ ধারণ করে। সর্দি কাশিতে মৃদু \(NH_{3}\) গ্যাস নাকের পানি ঝরা বন্ধ করে। এটি জলাশয়ের পানিতে দ্রবীভূত হলে পানির \(pH\) বৃদ্ধি করে; মাছসহ অন্যান্য জলজ প্রাণীদের মুহূর্তের মধ্যে মৃত্যু ঘটে। অ্যামোনিয়া দ্রবীভূত পানি পান করলে পশুরও মৃত্যু ঘটে। \(NH_{3}\) গ্যাস বায়ুতে মিশে গেলে গাছপালা ঝলসেযায়, পাখিরা মরে যায়, মানুষ শ্বাসকষ্টে ভোগে, এমনকি মৃত্যুও হতে পারে।
৬। সোডিয়াম বাই কার্বনেট \(NaHCO_{3}\) সোডিয়াম কার্বনেট \(Na_{2}CO_{3}\) \(NaHCO_{3}\) এবং \(Na_{2}CO_{3}\) এর সূক্ষ্ণ গুঁড়া শ্বাসের সাথে শরীরে প্রবেশ করলে শ্বাসনালি আক্রান্ত হয়। ত্বক বা চোখে-মুখে এর গাঢ় দ্রবণ পড়লে ক্ষতের সৃষ্টি হয়। \(NaHCO_{3}\) এবং \(Na_{2}CO_{3}\) পানিতে মিশে পানির \(pH\) মানের বৃদ্ধি ঘটায়। মাটিতে মিশে অণুজীবকে ধ্বংস করে। মাটির খনিজ উপাদানের সাথ মিলে মাটির ক্ষারকত্ব বৃদ্ধি করে।
৭। পটাসিয়াম পারম্যাঙ্গানেট \(KMnO_{4}\) \(KMnO_{4}\) হলো একটি তীব্র ক্ষয়কারক, জারক ও বিষাক্ত উপাদান। এটির গাঢ় দ্রবণ শরীরের ত্বকের সংস্পর্শে ক্ষতের সৃষ্টি করে। পেটে গেলে ডায়রিয়া হওয়ার সম্ভাবনা শতভাগ। এর প্রভাবে কিডনি সম্পূর্ণভাবে নষ্ট হয়। এটি দ্রবীভূত অবস্থায় পানির DO এর পরিমাণকে মারাত্মকভাবে হ্রাস করে। ফলে মাছসহ অন্যান্য জলজ প্রাণীর বেঁচে থাকা কষ্টকর হয়। মাটির অণুজীবকে ধ্বংস করে এবং মাটির উর্বরা শক্তি হ্রাস পায়।
৮। পটাসিয়াম ডাইক্রোমেট \(K_{2}Cr_{2}O_{7}\) \(K_{2}Cr_{2}O_{7}\) হলো একটি তীব্র ক্ষয়কারক, জারক ও বিষাক্ত উপাদান। ত্বকের সংস্পর্শে ক্ষতের সৃষ্টি করে। পেটে গেলে ডায়রিয়া হওয়ার সম্ভাবনা থাকে। এটি দ্রবীভূত অক্সিজেনের পরিমাণকে হ্রাস করে। ফলে মাছসহ অন্যান্য জলজ প্রাণীর বেঁচে থাকা কষ্টকর হয়। মাটির উর্বরা শক্তির হ্রাস ঘটে এবং মাটির অণুজীবকে ধ্বংস করে।
৯। পটাসিয়াম ফেরোসায়ানাইড \(K_{4}[Fe(CN)_{6}]\) শ্বাসের মাধ্যমে এটি শরীরে প্রবেশ করলে গলা, শ্বাসনালি ও ফুসফুসের কাশিসহ মারাত্মক ক্ষতি হয়। শরীরের ত্বক ও চোখে জ্বালাসহ ক্ষতের সৃষ্টি হয়। পাকস্থলিতে প্রবেশ করলে পেটে ব্যাথা, বমি ও ডায়রিয়া হতে পারে। পটাসিয়াম ফেরোসায়ানাইড পানি ও মাটি উভয়কেই মারাত্মকভাবে দূষিত করে।
১০। পটাসিয়াম আয়োডাইড \(KI\) এটি ত্বকের মারাত্মক ক্ষতি করে। শরীরে প্রবেশ করলে রক্তশূন্যতা, ওজন কমে যাওয়া অবসাদ প্রবণতার সৃষ্টি করে। এটি পানিতে অধিক মিশলে পানি বিষাক্ত হয়। মাটির উর্বরতা শক্তি কমে যায়। জৈব উপাদানের পচন কমে যায়।
১১। হাড্রোজেন পারঅক্সাইড \(H_{2}O_{2}\) এটি একটি বিষাক্ত, তীব্র জারণধর্মী, স্বাস্থ্য ঝুঁকি ও পরিবেশ ঝুঁকির রাসায়নিক উপাদান। এটি ত্বকের মারাত্মক ক্ষতি করে থাকে। পরিবেশের ক্ষতি করে এরূপ রাসায়নিক উপাদানের অন্যতমের মধ্যে এটি অন্তর্ভুক্ত।
১২। ক্লোরোফরম \(CHCl_{3}\) ক্লোরোফরম কেন্দ্রীয় স্নায়ুতন্ত্রের মারাত্মক ক্ষতি করে। শ্বাসপ্রশ্বাসের ক্ষেত্রে শ্বাসনালি ও ফুসফুসের মারাত্মক ক্ষতি করে। বেশি পরিমাণে ফুসফুসে প্রবেশ করলে মৃত্যু অনিবার্য। ক্লোরোফরম পানিতে দ্রবীভূত হয়ে পানিতে উপস্থিত সূক্ষ্ণ অণুজীব ধবংশ করে। ফলে পানির DO, BOD ও COD এর ভারসাম্য বিনষ্ট করে।
১৩। ফমালিন \(H-CHO\) এর 40% জলীয় দ্রবণ ফরম্যালডিহাইড শরীরে প্রবেশ করলে কিডনি নষ্ট হতে পারে। এতে ক্যান্সার রোগও হতে পারে। ফমালিন পচনরোধক ও ক্ষুদ্র প্রাণিকোষ ধবংশ করে। পরিবেশের ক্ষতি করে।
১৪। প্রোপানোন \(CH_{3}COCH_{3}\) এটি উদায়ী হওয়ায় শ্বাসপ্রশ্বাসে শরীরে প্রবেশ করলে মাথা ব্যাথা, বমি বমি ভাব ও অবসাদগ্রস্ততা হতে পারে। এটি পানিতে DO এর মারাত্মকভাবে হ্রাস ঘটায়। জলজ প্রাণীর উপর এর পার্শ্‌ব প্রতিক্রিয়া পরিলক্ষিত হয়।
১৫। সাবান ও ডিটারজেন্ট উভয় যৌগ জৈব দূষক। অধিক ব্যবহারে দেহের ত্বকের ক্ষতি করে। এদেরকে সরাসরি পরিবেশে ফেলা যাবে না। এরা মারাত্মকভাবে পরিবেশের বিপর্যয় ঘটায়।
১৬। \(Na, \ NaH\) ও \(LiAlH_{4}\) ত্বকে মারাত্মক ক্ষত সৃষ্টি করে। জলীয় বাষ্পের সংস্পর্শে প্রবল বিক্রিয়ায় ক্ষার, \(H_{2}\) ও তাপ উৎপন্ন করে। পানির সংস্পর্শে ক্ষার \(NaOH, \ LiOH\) দ্রবণ ও \(Al(OH)_{3}(s)\) উৎপন্ন হয়। ফলে মাটি ও পানির \(pH\) বৃদ্ধি পায়। পরিবেশ ক্ষতিগ্রস্ত হয়।
রাসায়নিক দ্রব্যের পরিমিত ব্যবহারের গুরুত্ব
Importance of Minimum Use of Chemicals
রাসায়নিক ল্যাবরেটরি থেকে নির্গত বর্জ্য পরিবেশের মারাত্মক দূষণ ঘটায়। তাই প্রত্যেক শিক্ষার্থীকে ল্যাবরেটরিতে রাসায়নিক বস্তু ব্যবহারে অত্যাধিক সতর্ক থাকতে হবে। ন্যূনতম পরিমাণ বিকারক ব্যবহার করে পরিক্ষা কাজ সম্পন্ন করতে হবে।
রাসায়নিক দ্রব্যের পরিমিত ব্যবহারে শিক্ষার্থীদের ল্যাবরেটরিতে বিভিন্ন কার্যক্রমে নিম্নোক্ত বিষয় অনুসরণ করা উচিত।
পরীক্ষাকালে টেস্টটিউবে রাসায়নক বিকারক খুব কম ব্যবহার করতে হবে। বিক্রিয়াগুলো সচেতনভাবে পর্যবেক্ষণ করতে হবে।
পরিবেশ ক্ষতিকর রাসায়নিক পদার্থ ও জৈব দ্রাবক পদার্থ ব্যবহারে শিক্ষার্থীদের মিতব্যয়ী হতে হবে।
পাতিত পানি বা ডিস্টিল ওয়াটার ব্যবহার যথাসম্ভব কম করতে হবে।
বুনসেন বার্ণারে গ্যাস ব্যবহার ও বিদ্যুৎ ব্যবহারে সচেতন থাকতে হবে।
শিক্ষার্থীরা গ্রুপ করে কাজ করলে রাসায়নিক পদার্থের সাশ্রয় হবে।
শিক্ষার্থীদের প্রয়োজনীয় রাসায়নিক পদার্থ পূর্ব থেকেই ওজন করে রাখতে হবে। এতে অপচয় কম হবে এবং শিক্ষার্থীদের ল্যাব-সময় অধিকতর কার্যকর হবে।
শিক্ষার্থীদের জন্য ব্যবহারিক কার্যক্রম এমনভাবে প্রণয়ন করতে হবে যেন রাসায়নিক বস্তুর ব্যবহার সর্বনিম্ন থাকে। বর্তমানে স্কুল ও কলেজে কেমিস্ট্রি ল্যাবসমূহে অনুসৃত ম্যাক্রো বিশ্লেষণ পদ্ধতির পরিবর্তে সেমিমাইক্রো বিশ্লেষণ পদ্ধতি অনুসরণ করা হলে ল্যাবরেটরি বর্জ্য রাসায়নিক দূষণ মাত্রার হ্রাস ঘটবে। অর্থাৎ ল্যাবরেটরিতে উন্নত ব্যবহারিক কার্যক্রমে পরিবেশের ক্ষতিকর রাসায়নিক পদার্থের ব্যবহার হ্রাস করতে হবে।
ল্যাবরেটরিতে এসব রাসায়নিক পদার্থের ব্যবহার পরিমিতভাবে করা উচিত। ফলে ল্যাবরেটরির রাসায়নিক পদার্থের অপচয়ও কমবে, অর্থ খরচ কমবে ও প্রকৃতির ভারসাম্য বজায় থাকবে।
আয়তনিক বিশ্লেষণ কাজে ব্যবহৃত রাসায়নিক নিক্তি বা ব্যালেন্স
Chemical Balance Used for Volumetric Analysis
রাসায়নিক নিক্তি বা ব্যালেন্সঃ আয়তনিক বিশ্লেষণ কাজে রাসায়নিক পদার্থকে গ্রাম এককের দশমিক দ্বিতীয় স্থান থেকে চতুর্থ স্থান পর্যন্ত সঠিকভাবে পরিমাপের জন্য ব্যবহৃত নিক্তিকে রাসায়নিক নিক্তি বা কেমিক্যাল ব্যালেন্স (Chemical Balance) বলে। রাসায়নিক নিক্তি দুই প্রকার যথা- পল-বুঙ্গী ব্যালেন্স এবং সারটোরিয়াস ব্যালেন্স। বর্তমানে সারটোরিয়াস ব্যালেন্সের ব্যবহার না থাকায় কেমিক্যাল ব্যালেন্স রূপে প্রধানত পল-বুঙ্গী ব্যালেন্স অথবা ডিজিটাল ব্যালেন্স ব্যবহৃত হয়।
রাসায়নিক নিক্তির ব্যবহারঃ কেবলমাত্র প্রাইমারি স্ট্যান্ডার্ড পদার্থের ওজন গ্রাম এককের দশমিক চতুর্থ স্থান পর্যন্ত সঠিকভাবে নেয়ার জন্য কেমিক্যাল ব্যালেন্স বা রাসায়নিক নিক্তি ব্যবহৃত হয়। কলেজ ও বিশ্ববিদ্যালয়ের কেমিস্ট্রি ল্যাবরেটরিতে এবং ওষুধ শিল্পোৎপাদনে মূলত কেমিক্যাল ব্যালেন্স ব্যবহৃত হয়।
প্রাইমারি স্ট্যান্ডার্ড পদার্থঃ প্রাইমারি স্ট্যান্ডার্ড পদার্থের চারটি বৈশিষ্ট থাকে। যেমন- এরা বিশুদ্ধ রাসায়নিক পদার্থ, এরা বায়ুর উপাদানের সাথে বিক্রিয়া করে না, রাসায়নিক নিক্তির ক্ষয় করে না, এদের দ্বারা প্রস্তুত দ্রবণের ঘনমাত্রা দীর্ঘদিন অপরিবর্তিত থাকে। এরূপ প্রাইমারি স্ট্যান্ডার্ড পদার্থ হলো \(Na_{2}CO_{3}\) অক্সালিক এসিড, পটাসিয়াম ডাইক্রোমেট (\(K_{2}Cr_{2}O_{7}\)) ইত্যাদি। প্রাইমারি স্ট্যান্ডার্ড পদার্থ থেকে প্রমাণ দ্রবণ (0.1 M) তৈরি করা হয়।
পল-বুঙ্গী ব্যালেন্স
Paul-Bunge Balance
যে রাসায়নিক ব্যালেন্সে তুলাদণ্ডে বাম পাশে শূণ্য দাগ হতে ডানপাশে 100 টি পর্যন্ত দাগ থাকে তাকে পল বুঙ্গি ব্যালেন্স বলে। পল বুঙ্গি ব্যালেন্সটি 1866 খ্রিস্টাব্দে জার্মান প্রকৌশলী Paul Bunge আবিষ্কার করেন। তার নামানুসারে ব্যালেন্সটির নাম পল বুঙ্গি রাখা হয়েছে। পল বুঙ্গি ব্যালেন্সের সাহায্যে সর্বনিম্ন 0.0001g পর্যন্ত ওজন পরিমাপ করা যায়।
গঠনগতভাবে পল-বুঙ্গী ব্যালেন্স প্রধানত চারটি অংশে বিভক্ত। যেমন-
straight3 কাচের বক্সযুক্ত বেদীঃ পল-বুঙ্গী ব্যালেন্সের বেডীটি হলো আয়তাকার। এটি গ্রানাইট পাথর বা ইবোনাইট (Ebonite) নামক শক্ত রাবারের তৈরি। কাচের বক্সটি এ বেদীর সাথে যুক্ত থাকে। মূল পল-বুঙ্গী ব্যালেন্সটি কাচের বক্স বা কক্ষের ভিতর বেদীর ওপর খাড়াভাবে বসানো থাকে। বেদীটির নিচে সামনের দিকে ডানে ও বামে দুইটি ওপেছনের দিকে ঠিক মাঝখানে একটি করে মোট তিনটি লেভেলিং বা সমতলকারী স্ক্রু থাকে। সামনের লেভেলিং স্ক্রু দুইটিকে ডানে ও বামে ঘুরিয়ে বেদীর লেভেল ঠিক করা হয়। তখন বেদীর সামনে থাকা স্পিরিট লেভেলের ভিতর বুদ্‌বুদ্‌ মাঝখানে থাকে। অথবা দোলকের সূঁচালু মুখ ও স্তম্ভের সাথে যুক্ত স্থির সূঁচালু মুখ দুইটি বরাবর থাকে। বেদীর ডান দিকে পাল্লা ওঠানো ও নামানোর জন্য একটি হ্যান্ডল থাকে। এ হ্যান্ডল দ্বারা ব্যালেন্সটিকে সচল বা বন্ধ করা হয়।
স্তম্ভ বা কলামঃ স্তম্ভ বা কলামটি হলো ব্রাশ বা পিতলের তৈরি ফাঁপা নল। এটি বেদীর মাঝখানে খাড়াভাবে যুক্ত থাকে। এ ফাঁপা স্তম্ভের ভিতর একটি ধাতব দণ্ড থাকে। এ ধাতব দণ্ডটির নিচের প্রান্ত হ্যান্ডেলের দণ্ডের সাথে যুক্ত থাকে এবং অপরের প্রান্তের সাথে যুক্ত মসৃণ এগেট (Agate) সমতলের অপরে নিক্তির তুলাদণ্ডের বা বিমের প্রিজমাকৃতির কেন্দ্রীয় ছুরির ফলকটি (Knife edge) স্থাপন করা হয়। হ্যান্ডলের সাহায্যে তুলাদণ্ডটিকে ওঠানামা করে ব্যালেন্সটিকে সচল বা বন্ধ করা যায়। স্তম্ভ বা কলামের ওপরের দুদিকে সমান দুইটি আনুভূমিক দণ্ড ক্লিপ দ্বারা যুক্ত থাকে। এ দণ্ড দুটির দু'প্রান্তে দুটি ধারক থাকে। ব্যালেন্সটি স্থির অবস্থায় ঐ ধারক দুটির ওপর দাগাংকিত বিম বা মূল তুলাদণ্ডটি অবস্থান করে।
তুলাদণ্ড বা বিম ও পাল্লাঃ সবচেয়ে ওপরের চ্যাপ্টাকৃতির দাগাংকিত বিম বা তুলাদণ্ডটি হলো রাসায়নিক নিক্তির প্রধান অংশ। এ বিম বা তুলাদণ্ডটি অ্যালুমিনিয়াম ধাতু অথবা পিতল দ্বারা তৈরি। এ তুলাদণ্ডের দু'পার্শে ও কেন্দ্রবিন্দুতে একটি করে মোট তিনটি মসৃণ এগেট পাথরের প্রিজমাকৃতির ছুরির ফলক (Knife edge) যুক্ত থাকে। দু'পার্শের দুটি ফলকের সাথে দুটি সমান পাল্লা (Pan) ঝুলানো থাকে। কেন্দ্রীয় ছুরির ফলকটি স্তম্ভের ভেতরে থাকা ধাতব দণ্ডটির এগেট সমতলের ওপর অবস্থান করে। এগেট পাথরের সমতলের ওপর এগেট পাথরের ছুরির ফলক মুক্তভাবে দুলতে পারে। তুলাদণ্ডের দু'প্রান্তে দুটি স্ক্রু সংযুক্ত থাকে। প্রয়োজনমতো এ স্ক্রু ঘুরিয়ে তুলাদণ্ডের সাথে যুক্ত পয়েন্টারটিকে স্তম্ভের নিচে যুক্ত মূল স্কেলের শূন্য দাগে রাখা হয়।
বিম বা তুলাদণ্ডটির গায়ে একটি দাগ কাটা স্কেল থাকে। দাগাংকিত বিমে এ স্কেল করার প্রকৃতি অনুসারে রাসায়নিক ব্যালেন্সের দু'প্রকার নাম হয়েছে। একটি পল-বুঙ্গী ব্যালেন্স ও অপরটি সারটোরিয়াস ব্যালেন্স। পল-বুঙ্গী ব্যালেন্সে বিমের বাম প্রান্তের দাগে শূন্য (0) ও ডান প্রান্তের দাগে একশত (100) চিহ্নিত থাকে। অর্থাৎ তুলাদণ্ডটি সমান একশত (100) ভাগে দাগাংকিত থাকে। সারটোরিয়াস ব্যালেন্সে বমের মাঝখানে শূন্য (0) দাগ ধরে বাম ও ডান দিকে ৫০ টি করে দাগাংকিত থাকে।
straight3
রাইডার ও রাইডার বাহকঃ রাইডার বা আরোহী হলো 5mg অথবা 10mg ভরের স্থানান্তরযোগ্য Pt বা Al ধাতুর একটি লুপ (loop) বা প্যাচানো তার। এটিকে একটি ধাতব শলাকার সাহায্যে কাচের বক্সের বাইরে থেকে তুলাদণ্ডের বা বিমের ওপর স্থানান্তর করা যায়। এ শলাকাটিকে রাইডার বাহক বলে। 5mg বা 10mg ভরের রাইডার ওজন বক্সে (Weight box) থাকে। চিমটার সাহায্যে ওজন বক্স থেকে রাইডার নিয়ে রাইডার বাহকের সাহায্যে তুলাদণ্ডের শূন্য (0) দাগে রেখে ব্যালেন্সটিকে সমতা সাধন করা হয়। সমতা করার জন্য তুলাদণ্ডের দু'প্রান্তে স্ক্রু দুটিকে প্রয়োজনমতো বামে বা ডানে ঘুরিয়ে দিতে হয়। তখন তুলাদণ্ডের সাথে যুক্ত পয়েন্টারটি নিচের স্কেলে শূন্য (0) দাগে আসলে ব্যালেন্স বা নিক্তিটি সমতাযুক্ত হয়েছে বোঝায়। এ অবস্থায় ব্যালেন্স বা নিক্তিটি ব্যবহারযোগ্য।
ওজন বক্সঃ রাসায়নিক নিক্তির একটি পৃথক ওজন বক্স (Weight box) থাকে। তাতে \(1 g\) থেকে \(100 g\) এবং \(5 mg\) থেকে \(500 mg\) পরিমাপের অনেকগুলো ওজন থাকে। রাসায়নিক নিক্তির বাম পাল্লায় রাসায়নিক রাসায়নিক দ্রব্যটি এবং এর ডান পাল্লায় এসব ওজন স্থাপন করে কোনো দ্রব্যের ওজন গ্রাম এককের তিন দশমিক স্থান পর্যন্ত নির্ণয় করা যায়। কিন্তু রাসায়নিক মাত্রিক বিশ্লেষণ প্রক্রিয়ায় সূক্ষ্ণ সঠিক ওজন নির্ণয়ের স্বার্থে প্রায়ই গ্রাম এককের চার দশমিক স্থান পর্যন্ত মান প্রয়োজন হয়। সেক্ষেত্রে রাইডার ব্যবহৃত হয়। তখন \(5 mg\) অথবা \(10 mg\) রাইডার নিক্তির তুলাদণ্ড বা বিমের বাম দিকের শূন্য (0) দাগে রেখে নিক্তির ডান দিকের সমন্বয়কারী স্ক্রু ঘুরিয়ে নিক্তির সমতা সাধন করতে হয়।
রাইডারঃ পল-বুঙ্গী ব্যালেন্সে এক গ্রামের চতুর্থ দশমিক স্থান পর্যন্ত পরিমাপের জন্য \(5 mg\) অথবা \(10 mg\) ভরের স্থানান্তরযোগ্য Al ধাতুর একটি লুপ (loop) যুক্ত বা প্যাঁচানো তার ব্যালেন্সের বিমের ওপর ব্যবহৃত হয়, এটিকে নিক্তির রাইডার বলে।
পল-বুঙ্গী ব্যালেন্সে ওজন নেয়ার পূর্বে \(5 mg\) রাইডার বিমের শূন্য (0) দাগে রেখে ডান দিকের বিমের স্ক্রু সরিয়ে সমতা আনয়ন করা হয়। কাজেই শূন্য (0) দাগ থেকে রাইডারকে একশত (100) দাগে বিমের ডান দিকে নিলে প্রকৃতপক্ষে ডান পাল্লায় \(5 mg\times2=10 mg\) ওজন যোগ করার সামিল (কারণ বামে শূন্য (0) দাগে \(5 mg\) রাইডার রেখে স্ক্রু নেড়ে ডান দিকে একশত (100) দাগে অদৃশ্য \(5 mg\) ওজন যোগ করে সমতা আনয়ন করা হয়েছে। এখন বামের \(5 mg\) রাইডারকেও একশত (100) দাগে রাখলে মোট \(10 mg\) কার্যকর হয়ে থাকে।) সুতরাং একশত (100) ভাগ দৈর্ঘ্যের বিম বা তুলাদণ্ডটি \(10 mg\) ওজনের রাইডারের সচল কার্যক্ষেত্র।
রাইডার ধ্রুবকঃ রাসায়নিক নিক্তির বিমের দৈর্ঘ্যের ওপর প্রতি শতাংশে ব্যবহৃত রাইডারের ওজনের পার্থক্যকে রাইডার ধ্রুবক (Rider Constant) বলে।
পল-বুঙ্গী ব্যালেন্সের ক্ষেত্রে রাইডার ধ্রুবক গণনাঃ
\((i)\) \(5 mg\) রাইডার ব্যবহার করলে তখন রাইডার ধ্রুবক হবে \(=\frac{5 mg\times2}{100}=0.1 mg=0.0001 g\)
\((ii)\) \(10 mg\) রাইডার ব্যবহার করলে তখন রাইডার ধ্রুবক হবে \(=\frac{10 mg\times2}{100}=0.2 mg=0.0002 g\)
সারটোরিয়াস ব্যালেন্সের ক্ষেত্রে রাইডার ধ্রুবক গণনাঃ বিমের মাঝখানে শূন্য (0) দাগ এবং ডানে ও বামে \(50\) টি করে দাগ থাকে। এক্ষেত্রে রাইডার ধ্রুবক-
\((i)\) \(5 mg\) রাইডার ব্যবহার করলে তখন রাইডার ধ্রুবক হবে \(=\frac{5 mg}{50}=0.1 mg=0.0001 g\)
\((ii)\) \(10 mg\) রাইডার ব্যবহার করলে তখন রাইডার ধ্রুবক হবে \(=\frac{10 mg}{50}=0.2 mg=0.0002 g\)
সারটোরিয়াস ব্যালেন্সের ক্ষেত্রে রাইডার বাম দিকের দাগে থাকলে রাইডারজনিত ওজন পাল্লায় রাখা ওজন থেকে বিয়োগ করতে হবে এবং ডান দিকের দাগে থাকলে রাইডারজনিত ওজন পাল্লায় রাখা ওজনের সাথে যোগ করতে হয়।
পল-বুঙ্গী ব্যালেন্সের ক্ষেত্রে রাইডারজনিত ওজন সবসময় পাল্লায় রাখা ওজনের সাথে যোগ হয়।
পল-বুঙ্গী ব্যালেন্সের ব্যবহার বিধি
Rules for the use of Paul-Bungi balance
কেবলমাত্র প্রাইমারি স্ট্যান্ডার্ড পদার্থের ওজন গ্রাম এককের দশমিক চতুর্থ স্থান পর্যন্ত সঠিকভাবে নেয়ার জন্য কেমিক্যাল ব্যালেন্স বা রাসায়নিক নিক্তি ব্যবহৃত হয়। পল-বুঙ্গী ব্যালেন্সে এটির ওপরের বিম বা তুলাদণ্ডকে একশত (100) ভাগে ভাগ করে বাম প্রান্তের দাগে শূন্য (0) ও ডান প্রান্তের দাগে একশত (100) চিহ্নিত থাকে। \(5 mg\) বা \(10 mg\) রাইডারকে শূন্য (0) দাগে রেখে ব্যালেন্সের সমতা করা হয়।
পল-বুঙ্গী ব্যালেন্সের পূর্ণ ব্যবহার বিধি নিম্নরূপ-
প্রথমত নিক্তিটি ভূমির সমান্তরালে আছে কিনা তা স্পিরিট লেভেল বা দোলক দেখে জেনে নিতে হয়। যদি ভূমির সমান্তরালে না থাকে তখন স্পিরিট লেভেলের ভেতরের বুদ্‌বুদ্‌ মাঝখানে থকবে না অথবা দোলকের সূঁচালো মুখ ও স্তম্ভের সাথে যুক্ত সূঁচালো মুখ দুটি বরাবর থাকে না। তখন নিক্তিটিকে ভূমির সমান্তরাল করার প্রয়োজন হয়। এজন্য বেদীর সাথে যুক্ত অ্যাডজাস্টিং স্ক্রু ঘুরিয়ে এবং স্পিরিট লেভেল দেখে ব্যালেন্সের বেদীকে ভূমির সমান্তরাল করা হয়।
দ্বিতীয়ত কাচের বক্সের সামনের গ্লাসটিকে ওপর দিকে তোলা হয়। নিক্তিটির স্থির অবস্থায় পাল্লায় কিছু আছে কিনা দেখে নিতে হয়। পাল্লা দুটি পরিষ্কার থাকলে নিক্তির হ্যান্ডল ঘুরিয়ে মাঝখানের পয়ন্টার কাটাটি মূল স্কেলের শূন্য (0) দাগের উভয় দিকে সমান সংখ্যক দাগ অতিক্রম করে দোলে কিনা অথবা ব্যালেন্সটি স্থির হলে পয়ন্টার স্কেলের শূন্য (0) দাগে স্থির থাকে কিনা দেখে নিতে হয়। যদি শূন্য (0) দাগে পয়ন্টার স্থির হয়, তবে নিক্তিটি সমতা অবস্থায় আছে। সমতা অবস্থায় নিক্তি না থাকলে তখন তুলাদণ্ডের দু'পার্শের স্ক্রু ঘুরিয়ে নিক্তিটিকে সমতায় আনতে হয়। শেষে হ্যান্ডল ঘুরিয়ে নিক্তিটিকে স্থির অবস্থায় রাখা হয়।
তৃতীয়ত ওজন বক্স থেকে \(5 mg\) অথবা \(10 mg\) রাইডার চিমটার সাহায্যে নিয়ে স্থির অবস্থায় থাকা নিক্তির তুলাদণ্ডের শূন্য (0) দাগের ওপর রাখতে হয় এবং হ্যান্ডল ঘুরিয়ে নিক্তিটিকে সচল করা হয়। এবার নিক্তির তুলাদণ্ডের ডান প্রান্তের স্ক্রু ঘুরিয়ে নিক্তির পয়ন্টারকে মূল স্কেলের শূন্য (0) দাগে আনতে হয়। এ অবস্থায় পল-বুঙ্গী ব্যালেন্সে রাসায়নিক বস্তু ওজন করা যেতে পারে। এরপর রাইডার ধ্রুবক গণনা করে বস্তুর ওজন গ্রহণ করা হয়।
পল-বুঙ্গী ব্যালেন্সের ব্যবহার করে বস্তুর ওজন গ্রহণ
Obtaining the weight of the object using the Paul-Bungi balance
কোনো বস্তু ওজন করার সময় পাল্লায় স্থাপিত ওজনের সঙ্গে রাইডারজনিত ওজন যোগ করলে বস্তুর প্রকৃত ওজন পাওয়া যায়। সাধারণত রাসায়নিক নিক্তির বাম পাল্লায় ওজন করার বস্তু এবং ডান পাল্লায় ওজনগুলো স্থাপন করা হয়।
যেমন- আয়তনিক বিশ্লেষণের জন্য প্রয়োজনীয় নির্দিষ্ট ঘমাত্রার ডেসিমোলার \((0.1M) 500 mL\) বা \(0.5 L\) মেজারিং ফ্লাস্কে একটি দ্রবণ প্রস্তুত করার জন্য \(Na_{2}CO_{3}\) ওজন করতে হবে।
\(500 mL\) ফ্লাস্কে \(0.1M \ Na_{2}CO_{3}\) প্রস্তুতির জন্য \(0.1\) মোল \(Na_{2}CO_{3}\) বা \(5.3 g \ Na_{2}CO_{3}\) প্রয়োজন হয়। এ উদ্দেশে একটি ওজন বোতলে যথেষ্ট পরিমাণ \(Na_{2}CO_{3}\) নেয়া হয়। \(Na_{2}CO_{3}\) সহ ওজন বোতলের ১ম ওজন নেয়া হয়। এরপর ঐ নিদ্দিষ্ট ঘমাত্রার দ্রবণ প্রস্তুতির জন্য যতটুকু \(Na_{2}CO_{3}\) প্রয়োজন তা অথবা তার কাছাকাছি ওজনের \(Na_{2}CO_{3}\) ঐ \(500 mL\) আয়তনিক ফ্লাস্ক বা মেজারিং ফ্লাস্কে স্থানাতরিত করার পর বোতলের আবার ২য় ওজন নেয়া হয়। এ দু ওজনের পার্থক্যই হলো গৃহীত \(Na_{2}CO_{3}\) এর ওজন।
প্রথম ওজন নেয়াঃ মনে করি, এ উদ্দেশ্যে ১ম ওজন নেয়ার সময় পল-বুঙ্গী ব্যালেন্সের বাম পাল্লায় \(Na_{2}CO_{3}\) পূর্ণ ওজন বোতল স্থাপন করে ডান পাল্লায় ওজন বক্স থেকে চিমটার সাহায্যে ১টি \(20 g,\) ১টি \(5 g,\) ১টি \(2 g,\) ১টি \(1 g,\) ১টি \(500 mg,\) ১টি \(100 mg\) ও ১টি \(50 mg\) ওজন স্থাপনের পর অবশিষ্ট সমতা বিধানের জন্য ইতিপূর্বে রাখা \(10 mg\) এর রাইডারটিকে বিমের শূন্য (0) দাগ থেকে নিক্তির ডান দিকে ২৫ দাগ পর্যন্ত সরাতে হলো। এখন হ্যান্ডল ঘুরিয়ে পাল্লা নামিয়ে নিক্তিটিকে স্থির অবস্থায় রাখা হলো।
সুতরাং রাইডার ধ্রুবক হলো \(=\frac{10 mg\times2}{100}=0.0002 g;\)
এক্ষেত্রে \(Na_{2}CO_{3}\) পূর্ণ ওজন বোতলের, ১ম ওজনঃ
\(=(20+5+2+1) g+(500+100+50) mg+25\) বিমের দাগ \(\times\) রাইডার ধ্রুবক
\(=28 g+(0.5+0.1+0.05) g+(25\times0.0002) g\)
\(=28.0000 g+0.6500 g+0.0050 g\)
\(=28.6550 g\)
আয়তনিক ফ্লাস্কে \(Na_{2}CO_{3}\) স্থানান্তরঃ \(500 mL\) আয়তনিক ফ্লাস্কের মুখে ফানেল বসিয়ে ঐ ফানেলের ওপর ওজন বোতল থেকে প্রায় \(5.3 g\) এর কাছাকাছি \(Na_{2}CO_{3}\) গুঁড়া ধীরে ধীরে বোতলে আঙ্গুলের টোকা দিয়ে ঢেলে নেয়া হয়। এবার ওজন বোতলের মুখে স্টপার যুক্ত করে ২য় ওজন নেয়া হয়।
২য় ওজন নেয়াঃ স্থির অবস্থায় থাকা ব্যালেন্সের বাম পাল্লায় ঐ ওজন বোতলটি রেখে ডান পাল্লা থেকে চিমটার সাহায্যে \(5 g\) ও \(1 g\) ওজন দুইটি তুলে নেয়া হয়, কারণ \(5 g\) এর বেশি \(Na_{2}CO_{3}\) 'ওজন বোতল ' থেকে ঢেলে নেয়া হয়েছে। এবার হ্যান্ডল ঘুরিয়ে ব্যালেন্সকে সচল করা হয়। এখন উভয় পাল্লার সমতা আনার জন্য ডান পাল্লা থেকে \(100 mg\) ও \(50 mg\) ওজন তুলে নিয়ে প্রয়োজনমতো \(20 mg\) ও \(10 mg\) ওজন ডান পাল্লায় রাখা হয়। শেষে \(10 mg\) রাইডারটিকে বিমের \(10\) নং দাগে রাখলে ব্যালেন্সটি সমতা লাভ করে।
এখন,
২য় ওজন \(=(20+2) g+(500+20+10) mg +(10\times0.0002) g\)
\(=22 g+(0.5000+0.0200+0.0100) g +0.0020 g\)
\(=22.0000 g+0.5300 g +0.0020 g\)
\(=22.5320 g\)
আয়তনিক ফ্লাস্কে গৃহীত \(Na_{2}CO_{3}\) এর ওজন \(=(\text{১ম ওজন}-\text{২য় ওজন})\)
\(=28.6550 g-22.5320 g\)
\(=6.123 g\)
এরূপে প্রস্তুত \(Na_{2}CO_{3}\) দ্রবণের মোলার ঘনমাত্রা বা মোলারিটি নিম্নরূপে গণনা করা হয়।
\(Na_{2}CO_{3}\) এর মোলার ঘনমাত্রা, \(M= \frac{\text{গৃহীত } Na_{2}CO_{3}\text{ এর মোল সংখ্যা }}{\text{লিটারে দ্রবণের আয়তন}}\)
\(=\frac{\left(\frac{6.123}{106}\right) mol}{0.5 L}\) ➜ \(Na_{2}CO_{3}\) এর মোলার ভর \(=106 g\)

\(=\left(\frac{6.123}{106\times0.5}\right)mol \ L^{-1}\)
\(=\left(\frac{6.123}{53}\right) mol \ L^{-1}\)
\(=0.1155 \ mol \ L^{-1}\)
অতএব, প্রস্তুত \(Na_{2}CO_{3}\) এর মোলার ঘনমাত্রা \(M=0.1155 \ mol \ L^{-1}\)
মোলার ঘনমাত্রা বা মোলারিটি
Molar density or Molarity
নির্দিষ্ট তাপমাত্রায় যেমন কক্ষ তাপমাত্রায় কোন দ্রব্যের এক লিটার দ্রবণে ঐ দ্রব্যের যত মোল (বা গ্রাম আণবিক ভর) দ্রবীভূত থাকে, দ্রব্যের ঐ মোল সংখ্যাকে ঐ দ্রবণে ঐ দ্রব্যের মোলার ঘনমাত্রা বা মোলারিটি বলে। অন্য কথায়, স্থির তাপমাত্রায় এক লিটার (১০০০ ঘন সে. মি. ) আয়তনের দ্রবণে দ্রবীভূত দ্রবের মোল সংখ্যাকে দ্রবণের মোলার ঘনমাত্রা বা মোলারিটি বলে।
\(\therefore\) দ্রবণে দ্রব্যের মোলারিটি \(= \frac{\text{মোল এককে দ্রব্যের পরিমাণ}}{\text{লিটার এককে দ্রবণের আয়তন}}\)
মোলার দ্রবণ
Molar solution
নির্দিষ্ট তাপমাত্রায় যেমন কক্ষতাপমাত্রায় কোনো দ্রবের এক লিটার দ্রবণে এক মোল দ্রব দ্রবীভূত থাকলে ঐ দ্রবণকে ঐ দ্রবের এক মোলার দ্রবণ বলে। মোলার দ্রবণকে \(1 \ M\) দ্বারা বোঝানো হয় । যেমন, কক্ষ তাপমাত্রায় এক মোল \(Na_{2}CO_{3}\) বা \(106 g \ Na_{2}CO_{3}\) লিটার দ্রবণে দ্রবীভূত থাকলে ঐ দ্রবণকে \(Na_{2}CO_{3}\) এর মোলার দ্রবণ বা, \(1M \ Na_{2}CO_{3}\) দ্রবণ বলে।
সেমিমোলার দ্রবণ
Semimolar solution
নির্দিষ্ট তাপমাত্রায় কোনো দ্রব্যের এক লিটার দ্রবণে অর্ধমোল (0.5 mol) দ্রব দ্রবীভূত থাকলে ঐ দ্রবণকে ঐ দ্রব্যের সেমিমোলার (0.5 M) দ্রবণ বলে। যেমন কক্ষ তাপমাত্রায় এক লিটার দ্রবণে \(0.5 mol \ Na_{2}CO_{3}\) বা \(53 g \ Na_{2}CO_{3}\) দ্রবীভূত করা হলে ঐ দ্রবণকে \(0.5M \ Na_{2}CO_{3}\) দ্রবণ বলে।

ডেসিমোলার দ্রবণ
Decimolar solution
নির্দিষ্ট তাপমাত্রায় কোনো দ্রব্যের এক লিটার দ্রবণে (0.1 mol) দ্রব দ্রবীভূত থাকলে ঐ দ্রবণকে ঐ দ্রব্যের ডেসিমোলার (0.1 M) দ্রবণ বলে। যেমন কক্ষ তাপমাত্রায় এক লিটার দ্রবণে \(0.1 mol \ Na_{2}CO_{3}\) বা \(10.6 g \ Na_{2}CO_{3}\) দ্রবীভূত করা হলে ঐ দ্রবণকে \(0.1M \ Na_{2}CO_{3}\) দ্রবণ বলে।
প্রমাণ দ্রবণ
Standard solution
প্রাইমারি স্ট্যান্ডার্ড পদার্থ যেমন \(Na_{2}CO_{3}, \ K_{2}Cr_{2}O_{7}\) ইত্যাদি মোলার \(1M\) দ্রবণ, সেমিমোলার (0.5 M) দ্রবণ, ডেসিমোলার (0.1 M) দ্রবণ প্রভৃতির প্রত্যেকটিকে প্রমাণ দ্রবণ বা Standard solution বলে। কারণ প্রমাণ দ্রবণের সঙ্গা মতে, নির্দিষ্ট তাপমাত্রায় প্রাইমারি স্ট্যান্ডার্ড পদার্থের নমুনা দিয়ে তৈরি করা কোনো দ্রবণের ঘনমাত্রা সঠিকভাবে জানা থাকলে ঐ দ্রবণকে ঐ দ্রব্যের প্রমাণ দ্রবণ বলে।
ডিজিটাল ব্যালেন্স
Digital Balance
straight3 রসায়ন পরীক্ষাগারে বস্তুর ওজন পরিমাপ করার জন্য ডিজিটাল পর্দা সম্বলিত যেসব ইলেকট্রনিক ব্যালেন্স ব্যবহার করা হয় তাদেরকে ডিজিটাল ব্যালেন্স বলে। ডিজিটাল ব্যালেন্সের ডিজিটাল পর্দায় বস্তুর ওজন ভেসে উঠে। রসায়ন পরীক্ষাগারে দুই ধরনের ডিজিটাল ব্যালেন্স ব্যবহার করা হয়। 2-ডিজিট ব্যালেন্স ও 4-ডিজিট ব্যালেন্স।
2-ডিজিট ব্যালেন্সঃ যে ইলেকট্রনিক ডিজিটাল ব্যালেন্সে কোনো রাসায়নিক বস্তুর ভর এক গ্রামের দশমিক দ্বিতীয় স্থান (0.01 g) পর্যন্ত সঠিকভাবে ওজন করা সম্ভব হয়, তাকে 2-ডিজিট ব্যালেন্স বলা হয়। সাধারণত সেকেন্ডারি স্ট্যান্ডার্ড পদার্থের ওজন করার জন্য 2-ডিজিট ব্যালেন্স ব্যবহার করা হয়। পূর্বে ব্যবহৃত রাফ ব্যালেন্সের স্থলে বর্তমানে 2-ডিজিট ব্যালেন্স ব্যবহৃত হয়।
4-ডিজিট ব্যালেন্সঃ যে ইলেকট্রনিক ডিজিটাল ব্যালেন্সে কোনো প্রাইমারি স্ট্যান্ডার্ড পদার্থের ভর এক গ্রামের দশমিক চতুর্থ স্থান (0.0001 g) পর্যন্ত সঠিকভাবে ওজন করা সম্ভব হয়, তাকে 4-ডিজিট ব্যালেন্স বলা হয়। 4-ডিজিট ব্যালেন্স খুব সংবেদনশীল বা sensitive হওয়ায় রাসায়নিক বিশ্লেষণীয় কাজে ব্যবহৃত প্রমাণ দ্রবণ তৈরিতে সংশ্লিষ্ট পদার্থের সঠিক ওজন নিতে 4-ডিজিট ব্যালেন্স ব্যবহার করা হয়।
ব্যবহারের ক্ষেত্রঃ 2-ডিজিট ব্যালেন্স দ্বারা \(1 g\) এর \(100\) ভাগে এক ভাগ অর্থাৎ \(0.01 g\) ভর পর্যন্ত সঠিকভাবে মাপা যায়। কিন্তু 4-ডিজিট ব্যালেন্স দ্বারা \(1 g\) এর \(10000\) ভাগে এক ভাগ অর্থাৎ \(0.0001 g\) ভর পর্যন্ত সঠিকভাবে মাপা যায়। পূর্বে ব্যবহৃত রাফ ব্যালেন্সের স্থলে 2-ডিজিট ব্যালেন্স ম্যাক্রো ও সেমি মাইক্রো গুণগত বিশ্লেষণ পদ্ধতিতে প্রয়োজনীয় বিকারক প্রস্তুতিতে বস্তুর ভর পরিমাপে ব্যবহৃত হয়। যেমন- কস্টিক সোডা (\(NaOH\)) পিলেট, \(Na_{2}CO_{3}, \ KMnO_{4}, \ K_{2}Cr_{2}O_{7}\) অক্সালিক এসিড ইত্যাদি।
অপরদিকে, 4-ডিজিট ব্যালেন্স সেমি মাইক্রো ও মাইক্রো গুণগত ও ভরভিত্তিক আয়তনিক বিশ্লেষণ পদ্ধতিতে প্রয়োজনীয় প্রাইমারি স্ট্যান্ডার্ড পদার্থের প্রমাণ দ্রবণ প্রস্তুতিতে বস্তুর ভর পরিমাপে ব্যবহৃত হয়। যেমন- অক্সালিক এসিড [\((COOH)_{2}.2H_{2}O\)], পটাসিয়াম ডাইক্রোমেট (\(K_{2}Cr_{2}O_{7}\)), সোডিয়াম থায়োসালফেট (\(Na_{2}S_{2}O_{3}.5H_{2}O\)) ইত্যাদি।
ডিজিটাল ব্যালেন্সের ব্যবহার বিধি ও কার্যপদ্ধতি
Rules and Procedures for Using Digital Balance
ডিজিটাল ব্যালেন্স-2 ডিজিটঃ ব্যালেন্সটিকে পরিষ্কার সমতল টেবিলের ওপর রাখা হয়। কোনো রাসায়নিক পদার্থের ওজন নেয়ার সময় ঐ রাসায়নিক পদার্থ সরাসরি ব্যালেন্সের প্যানের ওপর রাখা যাবে না। এতে ব্যালেন্সের ক্ষতি হয়। তাই কঠিন রাসায়নিক বস্তুকে ছোট বিকারে বা ওয়াচ গ্লাসে বা শুষ্ক কাগজের টুকরার ওপরে নিয়ে ব্যালেন্সের গোলাকার প্যানের ওপর রাখা হয়। এছাড়া ওজন বোতলেও রাসায়নিক বস্তু নিয়ে ওজন করা হয়। কেবল 4-ডিজিট ব্যালেন্সের বেলায় ওজন বোতল ব্যবহৃত হয়।
এখন ডিজিটাল ব্যালেন্স ব্যবহারের জন্য 'on' (অন) বোতামটি চাপ দিয়ে অপাক্ষা করতে হয়- যতক্ষন না ডিজিটাল পর্দায় জিরো (0.00 g বা 0.0000 g) রিডিং ভেষে ওঠে। এবার ব স্তুর ওজন নেওয়ার জন্য খালি পাত্র বা container যেমন- কাগজের টকরা, খালি ছোট বিকার বা অজন-বোতল ব্যালেন্সের প্যানের ওপর রেখে 'tare' বা 'Zero' বোতামটি চাপ দিতে হয়। তখন খালি পাত্রের ওজন ডিজিটাল ব্যালেন্সের ম্যামোরিতে সংরক্ষিত থাকে, যা পরবর্তী পাত্র ও বস্তুর মোট ওজন থেকে খালি পাত্রের ওজন বাদ পড়ে যায়। তাই এক্ষেত্রেও ডিজিটাল পর্দায় পূর্বের মতো জিরো (0.00 g বা 0.0000 g) রিডিং প্রদর্শিত হয়।
এবার খালি পাত্রের ওপর স্প্যাচুলা (spatula) বা চামচের সাহায্যে আস্তে আস্তে রাসায়নিক বস্তু প্রয়োজনমতো যোগ করে ঐ বস্তুর ভর ডিজিটাল পর্দার রিডিং থেকে রেকর্ড করা হয়। পরে সুইচ অফ করে পাত্রসহ গৃহীত রাসায়নিক বস্তুকে সরিয়ে নেয়া হয়।
ডিজিটাল ব্যালেন্স-4 ডিজিটঃ সূক্ষ্ণ পরিমাপের এরূপ ব্যালেন্সে বস্তুর ভর পরিমাপের সময় বাতাস চলাচলের চাপের প্রভাব মুক্ত রাখতে ব্যালেন্সের গোলাকার প্যানটি কচের দেওয়ালে আবদ্ধ থাকে। তাই ঐ প্যানের ওপর ওজন বোতলসহ বস্তু রাখা এবং নেয়ার জন্য গ্লাস স্লাইডিং এর ব্যবস্থা থাকে। এক্ষেত্রে ওজন বোতলে রাসায়নিক বস্তু নিয়ে ১ম ওজন এবং পরে আয়তনিক ফ্লাস্কের মুখে রাখা ফানেলের ওপর ঐ ওজন বোতলের মুখ খুলে এবং বোতলের গায়ে তর্জনী আঙ্গুলের মৃদু আঘাত করে প্রয়োজনীয় বস্তু ফানেলের ওপর ঢেলে নেয়া হয়। পরে অবশিষ্ট বস্তুর ২য় ওজন নেয়া হয়।
প্রথমে অজন-বোতলটি শুষ্ক ও পরিষ্কার করে নেয়া হয়। এক টুকরা টিস্যু পেপার বা ভাঁজ করা কাগজ দ্বারা ওজন বোতলকে ধরতে হয়। (হাতের আঙ্গুল দ্বারা সরাসরি ধরা যাবে না; আঙ্গুলের আর্দ্রতা অজন-বোতলে লেগে ভর পরিমাপে ত্রুটি দেখা দেয়।)
এবার সংশ্লিষ্ট রাসায়িনিক বস্তুর গুঁড়া ঐ ওজন-বোতলে নেয়া হয়। এখন ওজন নেয়ার জন্য ব্যালেন্সের 'on' (অন) বোতামটি চাপ দিয়ে ডিজিটাল পর্দায় ( 0.0000 g) রিডিং এ আনা হয়; অথবা 'tare' বোতাম চেপে ( 0.0000 g) রিডিং এ আনা হয়। এখন স্লাইডিং গ্লাস সরিয়ে প্যানের ওপর রাসায়নিক বস্তু ভর্তি ওজন বোতল রাখা হয়। ডিজিটাল পর্দায় প্রদর্শিত রিডিং ১ম ওজনরূপে রেকর্ড করা হয়।
এরপর ওজন বোতল বের করে নিয়া আয়তনিক ফ্লাস্কে রাখা ফানেলের ওপর ওজন-বোতল খুলে কাত করে তর্জনী আঙ্গুলের মৃদু আঘাত করে বা স্প্যাচুলা (spatula) বা ইস্পাতের ছোট চামচ দ্বারা প্রয়োজনমতো রাসায়নিক বস্তু ঢেলে নিয়ে পুনরায় ওজন-বোতলটির ভর মেপে নেয়া হয়। (প্রয়োজনে একাধিক বার অনুরূপভাবে ওজন পরীক্ষা করা যেতে পারে।) শেষ বারের ওজনটি রেকর্ড করা হয়। ১ম ওজন ও শেষ ওজনের পার্থক্য থেকে গৃহীত বস্তুর ভর গণনা করা হয়।
ডিজিটাল ব্যালেন্স ব্যবহারে সুবিধা
Advantages of using digital balance
ডিজিটাল ব্যালেন্স ব্যবহারে সুবিধাগুলো নিম্নরূপ-
ডিজিটাল ব্যালেন্সে বাইর থেকে পাল্লায় ওজন যোগ করতে হয় না। তাই ওজন বক্সের এক্ষেত্রে কোনো ব্যবহার নেই।
ডিজিটাল ব্যালেন্সে রাইডার ব্যবহারের কোনো প্রয়োজন হয় না।
ডিজিটাল ব্যালেন্সে ওজন নিতে সময়ও কম লাগে।
ডিজিটাল ব্যালেন্সে সঠিকভাবে সরাসরি ওজন করা যায়।
ডিজিটাল ব্যালেন্সে ওজন নিতে 'ব্যাক্তিগত ভূল' বা Personal error এর কোনো সম্ভাবনা নেই। সরাসরি ডিজিটাল রিডিং স্ক্রিন বা পর্দায় ভেসে ওঠে।
ডিজিটাল ব্যালেন্স ব্যবহারে সাবধানতা
Caution in using digital balance
ডিজিটাল ব্যালেন্স ব্যবহারে কিছু সাবধানতা অবলম্বন করা উচিত। যেমন-
4-ডিজিটাল ব্যালেন্সে এটির ধারণ ক্ষমতার বেশি ওজন করা যাবে না।
ওজন নেয়ার সময় ব্যালেন্সের সামনের গ্লাসটি বন্ধ করে ওজন নিতে হয়।
ব্যালেন্সের ক্ষয়কারক সেকেন্ডারি পদার্থ যেমন-কস্টিক সোডার পিলেট, গাঢ় সালফিউরিক এসিড ইত্যাদি ওজন করা যাবে না।
উত্তপ্ত অবস্থায় কোনো রাসায়নিক পদার্থের ওজন নেয়া যাবে না।
ব্যবহারের আগে ও পরে ডিজিটাল ব্যালেন্সের প্যান (pan) বা পাল্লাকে sable ব্রাশ নামক বিশেষ ব্রাশ (camel hair brush) দ্বারা পরিষ্কার করে নিতে হয়।
পল-বুঙ্গী ব্যালেন্স এবং ডিজিটাল ব্যালেন্সের মধ্যে পার্থক্য
Difference between Paul-Bungi balance and digital balance
straight3
পল-বুঙ্গী ব্যালেন্স ডিজিটাল ব্যালেন্স
১। পল-বুঙ্গী ব্যালেন্স হলো ম্যানুয়েল বা হস্তচালিত অ্যানালাইটিক্যাল ব্যালেন্স। ১। ডিজিটাল ব্যালেন্স হলো স্ক্রিনে সংখ্যা প্রদর্শক বৈদ্যুতিক অ্যানালাইটিক্যাল ব্যালেন্স।
২। পল-বুঙ্গী ব্যালেন্সে দুইটি পাল্লা থাকে। বাম পাল্লায় ওজন বোতলে রাসায়নিক পদার্থ থাকে, ডান পাল্লায় নির্দিষ্ট ওজনসমূহ রাখা হয়। ২। ডিজিটাল ব্যালেন্সে কেবলমাত্র একটি টপ লোডিং পাল্লা থাকে। এর ওপর রাসায়নিক পদার্থ ভর্তি ওজন বোতল রাখা হয়।
৩। বায়ু চলাচলের ধাক্কা মুক্ত রাখতে ব্যালেন্সটিকে কাচের বাক্সে রাখা হয়। ৩। ডিজিটাল ব্যালেন্সটিকেও বায়ু চলাচলের ধাক্কা মুক্ত রাখতে কাচের বাক্সে রাখা হয়।
৪। হস্তচালিত পল-বুঙ্গী ব্যালেন্সে ওজন নিতে বিদ্যুতের প্রয়োজন হয় না। ৪। ডিজিটাল ব্যালেন্স ব্যবহারে বিদ্যুতের প্রয়োজন হয়।
৫। পল-বুঙ্গী ব্যালেন্সে ওজন নিতে বেশি সময় প্রয়োজন হয়। ৫। ডিজিটাল ব্যালেন্সে অল্প সময়ের মধ্যে ওজন নেয়া যায়।
৬। পল-বুঙ্গী ব্যালেন্সে ওজন করা বস্তুর ওজনের সূক্ষ্ণতা কম থাকে; কারণ 'ব্যাক্তিগত ভুল' হতে পারে। ৬। ডিজিটাল ব্যালেন্সে ওজন করা বস্তুর ওজনের সূক্ষ্ণতা বেশি থাকে; কারণ 'ব্যাক্তিগত ভুল' এক্ষেত্রে প্রযোজ্য নয়।
উদাহরণসমুহ
\(Ex.1.\) তোমাকে \(250 mL\) আয়তনের একটি আয়তনিক ফ্লাস্ক দিয়ে বলা হলো এ ফ্লাস্কে \(Na_{2}CO_{3}\) এর একটি ডেসিমোলার দ্রবণ প্রস্তুত কর। তুমি এজন্য কত গ্রাম \(Na_{2}CO_{3}\) রাসায়নিক নিক্তিতে ওজন করবে?
উত্তরঃ \(2.65 g \ Na_{2}CO_{3}\)

\(Ex.2.\) \(1.\) নং সমস্যা মতে \(250 mL\) ফ্লাস্কে \(0.1M \ Na_{2}CO_{3}\) তৈরি করতে \(2.65 g \ Na_{2}CO_{3}\) প্রয়োজন হলেও তুমি পল-বুঙ্গী ব্যালেন্সে ওজন নিতে গিয়ে \(2.9415 g \ Na_{2}CO_{3}\) ওজন করেছ। তখন \(Na_{2}CO_{3}\) এর প্রস্তুত দ্রবণটির মোলার ঘনমাত্রা কত হবে তা হিসেব করে দেখাও।
উত্তরঃ \(0.111 \ mol \ L^{-1}\) বা \(0.111 \ M\)

\(Ex.3.\) অনিক 4-ডিজিট ব্যালেন্সে \(1.0589 g \ Na_{2}CO_{3}\) এবং তুলি 2-ডিজিট ব্যালেন্সে \(1.62 g \ K_{2}Cr_{2}O_{7}\) পরিমাপ করে পৃথকভাবে \(100 mL\) মেজারিং ফ্লস্কে নিয়ে প্রয়োজনমতো পানি মিশিয়ে দুটি দ্রবণ তৈরি করল।
\((a)\) প্রমাণ দ্রবণ কি?
\((b)\) অনিকের প্রস্তুতকৃত দ্রবণটির মোলার ঘনমাত্রা ও \(pH\) গণনা কর।
\((c)\) উদ্দীপকের কোন দ্রবণটি প্রমাণ দ্রবণ হিসেবে অধিক গ্রহণযোগ্য? তোমার উত্তরের স্বপক্ষে যুক্তি দেখাও।
উত্তরঃ \((b) \ 0.099896 M, \ pH=12.999\)
\((c)\) অনিকের \(Na_{2}CO_{3}\) দ্রবণটি।
ঢাঃ ২০১৭

\(Ex.4.\) \(10 mL\) কস্টিক সোডার দ্রবণকে পূর্ণ প্রশমিত করতে \(12.5 mL \ 0.115 M \ HCl\) দ্রবণের প্রয়োজন হয়। ক্ষার দ্রবণের মোলার ঘনমাত্রা নির্ণয় কর।
উত্তরঃ \(0.14375 M\)

\(Ex.5.\) \(10 mL\) অজ্ঞাত মাত্রার \(Na_{2}CO{3}\) দ্রবণকে পূর্ণ প্রশমিত করতে \((xvi)5 mL \ 0.15 M \ HCl\) দ্রবণের প্রয়োজন হয়। ক্ষার দ্রবণের মোলার ঘনমাত্রা নির্ণয় কর।
উত্তরঃ \(0.12375 M\)

straight3 \(Ex.6.\) উদ্দীপক ভিত্তিক সংশ্লিষ্ট প্রশ্নের উত্তর দাও।
\((a)\) মোলার দ্রবণ কি?
\((b)\) উদ্দীপক 'A' পাত্রে বিদ্যমান এসিডটির ভর নির্ণয় কর।
\((c)\) উদ্দীপকের দ্রবণ দুটিকে মিশ্রিত করলে ঐ মিশ্র দ্রবণটি কি পরিমাণ অম্লীয় বা ক্ষারীয় হবে; তা গাণিতিকভাবে বিশ্লেষণ কর।
উত্তরঃ \((b) \ \text{দ্রবণে} H_{2}SO_{4} \text{ আছে}=12.25 g\)
\((c)\) ঐ অম্লীয় \(H_{2}SO_{4}\) দ্রবণের \(pH=1.0\)।
রাঃ ২০১৯ ।

\(Ex.7.\) \(1.15g.mL^{-1}\) ঘনত্বের \(HCl\) দ্রবণে \(15\)% \((W/W) \ HCl\) বর্তমান। এদ্রবণের \(5 mL\)কে পানিতে দ্রবীভূত করে \(100 mL\) দ্রবণ প্রস্তুত করা হলো। \(10 mL\) নমুনা \(Na_{2}CO{3}\) দ্রবণকে পূর্ণ প্রশমিত করতে এ এসিড দ্রবণের \(8.5 mL\) এর প্রয়োজন হয়। ক্ষার দ্রবণের মোলার ঘনমাত্রা নির্ণয় কর।
উত্তরঃ \(0.1004 M\)

\(Ex.8.\) \(100 \ cm^{3}\) দ্রবণে \(1.26 \ g\) অক্সালিক এসিড (\(H_{2}C_{2}O_{4}.2H_{2}O\)) দ্রবীভূত আছে। দ্রবণটির মোলার ঘনমাত্রা কত?
উত্তরঃ \(0.1 \ M\)

\(Ex.9.\) \(250 \ cm^{3}\) দ্রবণে \(7.355 \ g\) পটাসিয়াম ডাইক্রোমেট (\(K_{2}Cr_{2}O_{7}\)) দ্রবীভূত আছে। দ্রবণটির ঘনমাত্রা হিসাব কর।
উত্তরঃ \(0.1 \ M\)

\(Ex.10.\) \(100 \ cm^{3} \ 0.5 \ M \ Na_{2}CO_{3}\) দ্রবণ থেকে কত \(cm^{3}\) ডেসিমোলার দ্রবণ তৈরি করা যাবে গণনা কর।
উত্তরঃ \(500 \ cm^{3}\)

Read Example
Q.1-এর সংক্ষিপ্ত প্রশ্নসমূহ
\(Q.1.(i)\) ল্যাবরেটরিতে অ্যাপ্রনপরিধান করা হয় কেন?

\(Q.1.(ii)\) ল্যাবরেটরিতে চোখে গগলস ব্যবহারের প্রয়োজন কি?

\(Q.1.(iii)\) ল্যাবরেটরিতে হ্যান্ড গ্লাভস পরতে হয় কেন?
ঢাঃ ২০১৫

\(Q.1.(iv)\) জিটেক্স গ্লাভস কি?

\(Q.1.(v)\) কর্ক ছিদ্র করার কাজে ব্যবহৃত যন্ত্রটির নাম কি?
চঃ ২০১৫

\(Q.1.(vi)\) ক্রোমিক এসিড মিশ্রণ বা ক্লিঞ্চিং মিকচার বা পরিষ্কারক মিশ্রণ কি?
রাঃ,চঃ ২০১৬

\(Q.1.(vii)\) রাইডার কি?

\(Q.1.(viii)\) রাইডার ধ্রুবক কি?
কুঃ ২০১৫; সিঃ২০১৭,২০১৯; বঃ ২০১৭; চঃ ২০১৯

\(Q.1.(ix)\) 4-ডিজিট ব্যালেন্স কি?

\(Q.1.(x)\) দ্রবণের মোলারিটি কি?
কুঃ ২০১৬; বঃ ২০১৯

\(Q.1.(xi)\) মোলার দ্রবণ কি?
রাঃ ২০১৯

\(Q.1.(xii)\) মেজারিং সিলিন্ডারের ব্যবহার কি?

\(Q.1.(xiii)\) আয়তনিক ফ্লাস্কের ব্যবহার কি?

\(Q.1.(xiv)\) ব্যুরেটের ব্যবহার কি?
যঃ ২০১৫

\(Q.1.(xv)\) পিপেটের ব্যবহার কি?

\(Q.1.(xvi)\) কনিকেল ফ্লাস্কের ব্যবহার কি?

\(Q.1.(xvii)\) আয়তনিক ফ্লাস্কের গায়ে থাকা TC এর অর্থ কি?

\(Q.1.(xviii)\) পিপেটের গায়ে থাকা TD এর অর্থ কি?

\(Q.1.(xix)\) রিন্স করা বলতে কি বোঝ?

\(Q.1.(xx)\) ব্যুরেট রিডার বা অ্যান্টি প্যারালাক্স কার্ড কি?

\(Q.1.(xxi)\) বুনসেন বার্ণারে অনুজ্জ্বল শিখা কিরূপে সৃষ্টি হয়?

\(Q.1.(xxii)\) জারণ শিখা কি?
দিঃ ২০১৯

\(Q.1.(xxiii)\) অ্যাসবেস্টস তারজালী কি?

\(Q.1.(xxiv)\) রাজ-অম্ল কি?

\(Q.1.(xxv)\) বড় আকারের পোর্সেলিন বাটির ব্যবহার কি?

\(Q.1.(xxvi)\) ছোট পোর্সেলিন বাটির ব্যবহার কি?

\(Q.1.(xxvii)\) ওয়াটার বাথ বা পানি-গাহ এর ব্যবহার কি?

\(Q.1.(xxviii)\) রিয়েজেন্ট বা বিকারক কি?

\(Q.1.(xxix)\) হ্যাজার্ড সিম্বল বা ঝুঁকির মাত্রা সিম্বল কি?
ঢাঃ ২০১৬; সিঃ ২০১৯; দিঃ ২০১৯

\(Q.1.(xxx)\) MSDS এর পূর্ণ রূপ কি?
দিঃ ২০১৬

\(Q.1.(xxxi)\) pH কী?

\(Q.1.(xxxii)\) মাটিতে অণুবীজের অনুকুল pH কত?
দিঃ ২০১৬

\(Q.1.(xxxiii)\) জলাশয়ের পানির pH কত হলে জলজ উদ্ভিদ ও মাছ মারা যায়?

\(Q.1.(xxxiv)\) ক্ষয়কারী পদার্থের সঙ্গা কি?
চঃ ২০১৭

\(Q.1.(xxxv)\) রাসায়নিক বিশ্লেষণ কি?

\(Q.1.(xxxvi)\) ম্যাক্রো বিশ্লেষণ কি?

\(Q.1.(xxxvii)\) সেমিমাইক্রো বিশ্লেষণ কি?

\(Q.1.(xxxviii)\) মাইক্রো বিশ্লেষণ কি?

\(Q.1.(xxxix)\) থায় অ্যাসিট্যামাইডের সংকেত কি?

\(Q.1.(xL)\) HPLC এর পূর্ণ রূপ কি?

\(Q.1.(xLi)\) GPLC এর পূর্ণ রূপ কি?

\(Q.1.(xLii)\) NMR এর পূর্ণ রূপ কি?

\(Q.1.(xLiii)\) DSC এর পূর্ণ রূপ কি?

\(Q.1.(xLiv)\) AAS এর পূর্ণ রূপ কি?

\(Q.1.(xLv)\) সেমিমাইক্রো টেস্টটিউবের আয়তন কত?

\(Q.1.(xLvi)\) সেন্টি ফিউজ টেপার্ড বটম টিউবের আয়তন কত?

\(Q.1.(xLvii)\) সোডিয়াম ধাতুকে কোথায় রাখতে হয়?

\(Q.1.(xLviii)\) ফায়ার ব্লাংকেট কি কাজে লাগে?

\(Q.1.(xLix)\) ফাস্ট এইড বক্স কী?
রাঃ ২০১৬; কুঃ ২০১৯; দিঃ ২০১৭

\(Q.1.(L)\) ল্যাবরেটরি কিট বা ফাস্ট এইড কিট কী?
রাঃ ২০১৬

\(Q.1.(Li)\) নিরাপদ গ্লাস কী?

\(Q.1.(Lii)\) গ্লাভস কী?

\(Q.1.(Liii)\) ব্যালেন্স কী?

\(Q.1.(Liv)\) ফায়ার ব্লাংকেট কী?

\(Q.1.(Lv)\) মেজারিং সিলিন্ডার কী?

\(Q.1.(Lvi)\) ব্যুরেট কী?

\(Q.1.(Lvii)\) ব্যুরেটে কতটুকু দাগাংকিত থাকে?

\(Q.1.(Lviii)\) পিপেট কী?

\(Q.1.(Lix)\) স্যাবল (Sable) ব্রাশ কী?

\(Q.1.(Lx)\) পরিমাপক ফ্লাস্ক কী?

\(Q.1.(Lxi)\) আরোহী বাহক কী?

\(Q.1.(Lxii)\) ওজন বাক্স কী?

\(Q.1.(Lxiii)\) রাফ ব্যালেন্স কাকে বলে?

\(Q.1.(Lxiv)\) দ্রবণ কী?

\(Q.1.(Lxv)\) দ্রাবক কী?

\(Q.1.(Lxvi)\) প্রমাণ দ্রবণ কী?

\(Q.1.(Lxvii)\) মোলালিটি কী?

\(Q.1.(Lxviii)\) দ্রবণ তাপ কী?
রাঃ, কুঃ, চঃ, দিঃ ২০১৮

\(Q.1.(Lxix)\) প্রাইমারি স্ট্যান্ডার্ড পদার্থ কী?

\(Q.1.(Lxx)\) সেকেন্ডারি স্ট্যান্ডার্ড পদার্থ কী?

\(Q.1.(Lxxi)\) টাইট্রেশন কী?

\(Q.1.(Lxxii)\) রিং স্ট্যান্ড কী?

\(Q.1.(Lxxiii)\) নেসলার বিকারক কাকে বলে?

\(Q.1.(Lxxiv)\) পোর্সেলিন লেবেল কী?

\(Q.1.(Lxxv)\) দীপ্তিমান শিখা কাকে বলে?

\(Q.1.(Lxxvi)\) বাম্পিং কী?

\(Q.1.(Lxxvii)\) মিনিস্কাস কী?

\(Q.1.(Lxxviii)\) রাসায়নিক দ্রব্য সংরক্ষণ কী?

\(Q.1.(Lxxix)\) বিপদ সংকেত (Hazard Symbol) কী?
সিঃ, দিঃ ২০১৯

\(Q.1.(Lxxx)\) রাসায়নিক বর্জ্য কাকে বলে?

\(Q.1.(Lxxxi)\) ঝুঁকিপূর্ণ বর্জ্য পদার্থ কী?

\(Q.1.(Lxxxii)\) সবুজ রসায়ন কী?
চঃ ২০১৯, ২০১৫; বঃ ২০১৯

\(Q.1.(Lxxxiii)\) MAPT এর পূর্ণ অর্থ কী?

\(Q.1.(Lxxxiv)\) স্প্যাচুলা কী?

\(Q.1.(Lxxxv)\) স্পিল নিউট্রালাইজার কী?

\(Q.1.(Lxxxvi)\) NFPA এর পূর্ণ অর্থ কী?

\(Q.1.(Lxxxvii)\) PPE এর পূর্ণ অর্থ কী?

\(Q.1.(Lxxxviii)\) বিষাক্ত পদার্থ কী?

\(Q.1.(Lxxxix)\) তেজস্ক্রিয় পদার্থ কাকে বলে?

\(Q.1.(xC)\) OSHA এর পূর্ণ অর্থ কী?

\(Q.1.(xCi)\) ক্যাপিলারি ড্রপার কী?

\(Q.1.(xCii)\) সেন্ট্রিফিউজ যন্ত্র কাকে বলে?

Read Short Question
Q.2-এর বর্ণনামূলক প্রশ্নসমূহ
\(Q.2.(i)\) রাসায়নিক পদার্থের বাম্পিং (Bumping) হতে কীভাবে চোখ রক্ষা করা যায়, তা ব্যাখ্যা কর।

\(Q.2.(ii)\) ল্যাবরেটরিতে নিরাপদ গগলস বা সেফটি গ্লাস ব্যবহারের সুবিধা কী?
বঃ ২০১৯

\(Q.2.(iii)\) ল্যাবরেটরিতে হ্যান্ড গ্লাভস ব্যবহারের সুবিধা কী?
কুঃ ২০১৯

\(Q.2.(iv)\) পল-বুঙ্গী ব্যালেন্সের রাইডার ব্যবহারের সুবিধা আলোচনা কর।
যঃ ২০১৭

\(Q.2.(v)\) কাচের যন্ত্রপাতি পরিষ্কারের ক্ষেত্রে সতর্কতাগুলো লিখ।
চঃ ২০১৭

\(Q.2.(vi)\) পল-বুঙ্গী ব্যালেন্স ও ডিজিটাল ব্যালেন্সের মধ্যে কোনটি ব্যবহারের সুবিধা বেশি, তা ব্যাখ্যা কর।

\(Q.2.(vii)\) প্রাইমারি স্ট্যান্ডার্ড পদার্থের বৈশিষ্ট্যসমূহ লিখ।
সিঃ ২০১৫

\(Q.2.(viii)\) \(Na_{2}CO_{3}\) কে প্রাইমারি স্ট্যান্ডার্ড পদার্থ বলা হয় কেন?
মাঃ ২০১৮

\(Q.2.(ix)\) সেকেন্ডারি স্ট্যান্ডার্ড পদার্থ বলতে কী বোঝায়, তা ব্যাখ্যা কর।
যঃ ২০১৭

\(Q.2.(x)\) \(H_{2}SO_{4}\) কে সেকেন্ডারি স্ট্যান্ডার্ড পদার্থ বলা হয় কেন?

\(Q.2.(xi)\) মোলারিটি তাপমাত্রার ওপর নির্ভরশীল কেন?
চঃ ২০১৫; রাঃ ২০১৯

\(Q.2.(xii)\) আয়তনিক বিশ্লেষণে ব্যবহৃত দুটি কাচ যন্ত্রের ব্যবহার বিধি ব্যাখ্যা কর।

\(Q.2.(xiii)\) ব্যুরেটের ব্যবহার প্রণালি ব্যাখ্যা কর।

\(Q.2.(xiv)\) সঠিক ব্যুরেট পাঠ বা নির্ভূল ব্যুরেট পাঠ কীভাবে নেয়া হয়, তা ব্যাখ্যা কর।

\(Q.2.(xv)\) পিপেটের ব্যবহার প্রণালি ব্যাখ্যা কর।

\(Q.2.(xvi)\) ব্যুরেট পরিষ্কার কীভাবে করা হয়, তা ব্যাখ্যা কর।

\(Q.2.(xvii)\) ল্যাবরেটরিতে বুনসেন বার্ণারের ব্যবহার প্রক্রিয়া ব্যাখ্যা কর।

\(Q.2.(xviii)\) ল্যাবরেটরিতে গোলতলি ফ্লাস্কে তাপ দেওয়ার কৌশল আলোচনা কর।

\(Q.2.(xix)\) ল্যাবরেটরিতে রিয়েজেন্ট বোতল বা বিকারক বোতল ব্যবহারের নিয়ম আলোচনা কর।

\(Q.2.(xx)\) বেসিনের পানিতে \(Na, \ NaH, \ LiAlH_{4}\) কখনো ফেলা যাবে না কেন ব্যাখ্যা কর।

\(Q.2.(xxi)\) গাঢ় \(H_{2}SO_{4}\) এসিডে সরাসরি পানি যোগ করা যাবে না কেন?

\(Q.2.(xxii)\) গাঢ় \(NaOH\) বা কস্টিক সোডার দ্রবণকে গ্লাস স্টপারযুক্ত কাচের বোতলে সংরক্ষণ করা যায় না কেন?

\(Q.2.(xxiii)\) সেমিমাইক্রো বিশ্লেষণের সুবিধাসমূহ ব্যাখ্যা কর।

\(Q.2.(xxiv)\) 'সেমিমাইক্রো পদ্ধতি পরিবেশ বান্ধব'-এর ব্যাখ্যা কর।
সিঃ ২০১৬; চঃ ২০১৯

\(Q.2.(xxv)\) সেমিমাইক্রো বিশ্লেষণে ব্যবহৃত টেস্টটিউব ও সেন্ট্রিফিউজ টিউবের বর্ণনা দাও।

\(Q.2.(xxvi)\) ল্যাবরেটরিতে ব্যবহৃত রাসায়নিক দ্রব্যের পরিমিত ব্যবহারের গুরুত্ব ব্যাখ্যা কর।
ঢাঃ ২০১৭

\(Q.2.(xxvii)\) ল্যাবরেটরি নিরাপত্তা সামগ্রীর ব্যবহার বিধি আলোচনা কর।

\(Q.2.(xxviii)\) ল্যাবরেটরি নিরাপদ চশমা ব্যবহারের প্রয়োজনীয়তা ব্যাখ্যা কর।
বঃ ২০১৯

\(Q.2.(xxix)\) ল্যাবরেটরির নিরাপদ ব্যবহারের প্রয়োজন কেন?

\(Q.2.(xxx)\) ল্যাবরেটরিতে নিরাপদ কম্বল ব্যবহার করা হয় কেন?

\(Q.2.(xxxi)\) ল্যাবরেটরিতে সিনথেটিক কাপড় ও অলংকার পরিধান করা যাবে না কেন?

\(Q.2.(xxxii)\) গ্লাস ক্লিনারে অ্যামোনিয়া ব্যবহার করা হয় কেন?
রাঃ ২০১৬

\(Q.2.(xxxiii)\) ল্যাবরেটরিতে গ্লাস সামগ্রীকে কেন পরিষ্কার করে রাখা হয়?

\(Q.2.(xxxiv)\) গ্লাস ক্লিনারে কস্টিক সোডা ব্যবহার করা হয় না কেন?

\(Q.2.(xxxv)\) ব্যুরেট পরিস্কারের কৌশল ব্যাখ্যা কর।

\(Q.2.(xxxvi)\) ল্যাবরেটরিতে মাস্ক পরা জরুরী কেন? ব্যাখ্যা কর।

\(Q.2.(xxxvii)\) ল্যাবরেটরিতে বিশেষ পোষাক পরিধান করা হয় কেন?

\(Q.2.(xxxviii)\) পরিষ্কারক মিশ্রন কীভাবে তৈরি করা হয় ?

\(Q.2.(xxxix)\) ডিজিটাল ব্যালেন্স ব্যবহারে কী কী সাবধানতা অবলম্বন করতে হয় ?

\(Q.(xL)\) 2-ডিজিট ও 4-ডিজিট ব্যালেন্সের প্রয়োজনীয়তা ব্যাখ্যা কর।

\(Q.2.(xLi)\) রাইডার ব্যবহার কেন প্রয়োজন ব্যাখ্যা কর।

\(Q.2.(xLii)\) পল-বুঙ্গী ব্যালেন্স ও ইলেকট্রিক ব্যালেন্সের মধ্যে পার্থক্য উল্লেখ কর।

\(Q.2.(xLiii)\) মেজারিং সিলিন্ডারে কীভাবে পরিমাপ করা হয়?

\(Q.2.(xLiv)\) \(K_{2}Cr_{2}O_{7}\) প্রাইমারি স্ট্যান্ডার্ড পদার্থ কেন?

\(Q.(xLv)\) কীভাবে ওজন বোতল ব্যবহার করা হয় ব্যাখ্যা কর।

\(Q.2.(xLvi)\) অম্ল-ক্ষার টাইট্রেশনে ব্যুরেটের ব্যবহার বিধি ব্যাখ্যা কর।

\(Q.2.(xLvii)\) কোন ক্ষেত্রে ব্যুরেট ব্যবহার কর হয়?

\(Q.(xLviii)\) পিপেট ব্যবহারের সুবিধা কী কী?

\(Q.2.(xLix)\) পিপেট ব্যবহারের ক্ষেত্রে কী কী শতর্কতা অবলম্বন করতে হয়?

\(Q.2.(L)\) ভিন্ন ভিন্ন পদার্থের ক্ষেত্রে ভিন্ন ভিন্ন ব্যুরেট ব্যবহার করা হয় কেন?

\(Q.2.(Li)\) বুনসেন শিখার বিভিন্ন অংশের তাপমাত্রা চিত্রসহ ব্যাখ্যা কর।

\(Q.2.(Lii)\) বিকারে তাপ দেওয়ার কৌশল ব্যাখ্যা কর।

\(Q.2.(Liii)\) অনুজ্জ্বল শিখা কেন তৈরি হয়?

\(Q.2.(Liv)\) টেস্টটিউবে তাপ প্রয়োগের ক্ষেত্রে কী ধরনের সমস্যা দেখা দেয়?

\(Q.2.(Lv)\) ওয়াটার বাথে কীভাবে তাপ প্রয়োগ করা হয়?

\(Q.2.(Lvi)\) পোর্সেলিন বাটিতে কীভাবে তাপ দেওয়া হয় ব্যাখ্যা কর।

\(Q.2.(Lvii)\) গোলতলি ফ্লস্কে বুনসেন বার্ণারের সাহায্যে কীভাবে তাপ প্রয়োগ করা হয় ব্যাখ্যা কর।

\(Q.2.(Lviii)\) বার্ণার দ্বারা তাপ দেওয়ার ক্ষেত্রে সবসময় জারণ শিখাকে বেছে নেওয়া হয় কেন?

\(Q.2.(Lix)\) \(HF\) এর পাতনের ক্ষেত্রে পোর্সেলিন বাটি ব্যবহার করা যায় না কেন?

\(Q.2.(Lx)\) বুনসেন বার্ণারে কখন দীপ্তিপূর্ণ শিখা পাওয়া যায়?

\(Q.2.(Lxi)\) পরিবেশ রক্ষায় রাসায়নিক দ্রব্যের পরিমিত ব্যবহার বলতে কী বুঝ?

\(Q.2.(Lxii)\) পরীক্ষাগারে প্রাইমারি স্ট্যান্ডার্ড পদার্থ বলতে কী বোঝায়?

\(Q.2.(Lxiii)\) রিয়েজেন্ট বোতলের রিয়েজেন্টকে কীভাবে দূষণমুক্ত রাখা যায় ব্যাখ্যা কর।

\(Q.2.(Lxiv)\) রিয়েজেন্ট বোতলে লেবেল ও ড্রপার না থাকলে সেক্ষেত্রে কী করতে হবে?

\(Q.2.(Lxv)\) গাঢ় \(H_{2}SO_{4}\) এসিডে সরাসরি পানি যোগ করা নিরাপদ নয় কেন?

\(Q.2.(Lxvi)\) মোলার দ্রবণ কাকে বলে?

\(Q.2.(Lxvii)\) মোলার দ্রবণকে প্রমাণ দ্রবণ বলা হয় কেন?

\(Q.2.(Lxviii)\) ভর পরিমাপে স্প্যাচুলা ব্যবহার করা হয় কেন?

\(Q.2.(Lxix)\) পরীক্ষাগারে হুডের ব্যবহার উল্লেখ কর।

\(Q.2.(Lxx)\) পরীক্ষাগারে ফিউম হুডের প্রয়োজনীয়তা ব্যাখ্যা কর।

\(Q.2.(Lxxi)\) সেমিমাইক্রো ও মাইক্রো অ্যানালিসিসের মধ্যে দুইটি পার্থক্য লেখ।

\(Q.2.(Lxxii)\) ম্যাক্রো ও সেমিমাইক্রো অ্যানালিসিসের মধ্যে কোনটি অধিক সুবিধাজনক এবং কেন?

\(Q.2.(Lxxiii)\) পরীক্ষাগারে প্রাথমিক চিকিৎসা প্রদানের লক্ষ্যসমূহ ব্যাখ্যা কর।

\(Q.2.(Lxxiv)\) ত্বকে এসিড পড়লে কী করবে লেখ।

\(Q.2.(Lxxv)\) রাসায়নিক বর্জ্য কীভাবে পরিত্যাগ করতে হয়?

\(Q.2.(Lxxvi)\) এসিড বা ক্ষার মুখের ভিতরে চলে গেলে করণীয় কী?

\(Q.2.(Lxxvii)\) পরীক্ষাগারে শরীরের চামড়ায় এসিড বা ক্ষার লাগলে কী করতে হবে?

\(Q.2.(Lxxviii)\) পরিবেশের উপর ক্লোরো বেনজিন ও টলুইন যৌগের প্রভাব ব্যাখ্যা কর।

\(Q.2.(Lxxix)\) পল-বুঙ্গী ব্যালেন্সে রাইডার ব্যবহারের সুবিধা ব্যাখ্যা কর।

\(Q.2.(Lxxx)\) প্রাইমারি স্ট্যান্ডার্ড পদার্থের বৈশিষ্ট্যগুলো লিখ।

\(Q.2.(Lxxxi)\) ইথার পাতনের সময় সম্পূর্ণরূপে অনার্দ্র করা হয় না কেন?

\(Q.2.(Lxxxii)\) ল্যাবরেটরিতে ওয়াটার বাথ ব্যবহার করা হয় কেন?

\(Q.2.(Lxxxiii)\) সালফিউরিক এসিডপূর্ণ বিকারক বোতল কাঠের তৈরি সেলফে রাখা হয় না কেন?

Read Board Question2
Q.3-এর বর্ণনামূলক প্রশ্নসমূহ
\(Q.3.(i)\) \(10 mL \ 0.105 M \ Na_{2}CO_{3}\) দ্রবণকে পূর্ণ প্রশমিত করতে \(10.5 mL \ HCl\) দ্রবণের প্রয়োজন হয়। এসিড দ্রবণের মোলার ঘনমাত্রা নির্ণয় কর।
উত্তরঃ \(0.2 M\)

\(Q.3.(ii)\) \(10 mL\) অজ্ঞাত মাত্রার \(Na_{2}CO{3}\) দ্রবণেকে পূর্ণ প্রশমিত করতে \(13.4 mL \ 0.15 M \ HCl\) দ্রবণের প্রয়োজন হয়। ক্ষার দ্রবণের শক্তিমাত্রা নির্ণয় কর।
উত্তরঃ \(0.1005 M\)

\(Q.3.(iii)\) \(10 mL\) সেমিমোলার \(Na_{2}CO{3}\) দ্রবণেকে প্রশমিত করতে \(10 mL \ HCl\) দ্রবণের প্রয়োজন হয়। উক্ত \(Na_{2}CO{3}\) এর সেমিমোলার দ্রবণ প্রস্তুত করতে কতটুকু \(Na_{2}CO{3}\) প্রয়োজন এবং \(HCl\) এর ঘনমাত্রা কত?
উত্তরঃ \(0.53 g \ Na_{2}CO{3}; \ 0.83 M\)

\(Q.3.(iv)\) \(20 mL \ 0.1005 M \ Na_{2}CO_{3}\) দ্রবণকে পূর্ণ প্রশমিত করতে \(13.4 mL \ H_{2}SO_{4}\) দ্রবণের প্রয়োজন হয়। এসিড দ্রবণের মোলার ঘনমাত্রা নির্ণয় কর।
উত্তরঃ \(0.15 M\)

\(Q.3.(v)\) \(10 mL \ 0.15 M \ NaOH\) দ্রবণকে পূর্ণ প্রশমিত করতে \(12.5 mL \ HCl\) দ্রবণের প্রয়োজন হয়। এসিড দ্রবণের মোলার ঘনমাত্রা নির্ণয় কর।
উত্তরঃ \(0.12 M\)

\(Q.3.(vi)\) \(20 mL \ 0.125 M \ Na_{2}CO_{3}\) দ্রবণকে পূর্ণ প্রশমিত করতে \(0.2 mL\) ঘনমাত্রার \(H_{2}SO_{4}\) দ্রবণের কত আয়তনের প্রয়োজন পড়বে?
উত্তরঃ \(12.5 mL\)

\(Q.3.(vii)\) \(2.65 g\) অনার্দ্র \(Na_{2}CO_{3}\) কে পানিতে দ্রবীভূত করে \(250 mL\) দ্রবণ প্রস্তুত করা হলো। এ দ্রবণের \(10 mL\) কে পূর্ণ প্রশমিত করতে \(10.5 mL \ HCl\) দ্রবণের প্রয়োজন হয়। এসিড দ্রবণের মোলার ঘনমাত্রা নির্ণয় কর।
উত্তরঃ \(0.1905 M\)

\(Q.3.(viii)\) \(0.45 \ g\) কস্টিক সোডা (\(NaOH\)) কে পানিতে দ্রবীভূত করে \(100 \ mL\) দ্রবণ প্রস্তুত করা হলো। এ দ্রবণের \(10 \ mL\) কে পূর্ণ প্রশমিত করতে \(10.5 \ mL \ HCl\) দ্রবণের প্রয়োজন হয়। এসিড দ্রবণের মোলার ঘনমাত্রা নির্ণয় কর।
উত্তরঃ \(0.1071 \ M\)

\(Q.3.(ix)\) কস্টিক পটাশের \(250 \ mL\) ডেসিমোলার দ্রবণ তৈরি করতে কী পরিমাণ কস্টিক পটাশ প্রয়োজন হবে?
উত্তরঃ \(1.4 \ g\)

\(Q.3.(x)\) \(0.105 \ M\) ঘনমাত্রার \(10 \ mL \ Na_{2}CO_{3}\) দ্রবণকে একটি কনিক্যাল ফ্লাস্কে নিয়ে উহাতে আরো \(10 \ mL\) পানি যোগ করা হলো। এ দ্রবণে এক ফোঁটা মিথাইল অরেঞ্জ নির্দেশক ব্যবহার করে \(HCl\) দ্রবণ দ্বারা টাইট্রেড করে পূর্ণ প্রশমিত করতে \(10.5 \ mL\) এর প্রয়োজন পড়ে। এসিড দ্রবণের মোলার ঘনমাত্রা নির্ণয় কর।
উত্তরঃ \(0.2 \ M\)

\(Q.3.(xi)\) ল্যাবরেটরিতে একটি নমুনা \(HCl\) দ্রবণের বোতলের লেবেলে \(20\)% \((W/W)\) ও \(1.155\) আপেক্ষিক গুরুত্ব লেখা আছে। এ দ্রবণের \(3 \ mL\) কে পানিতে দ্রবীভূত করে দ্রবণের আয়তন \(100 \ mL\) এ পরিনত করা হলো। একটি নমুনা \(Na_{2}CO_{3}\) দ্রবণের \(10 \ mL\) কে পূর্ণ প্রশমিত করতে প্রস্তুতকৃত \(HCl\) দ্রবণের \(10.5 \ mL\) প্রয়োজন পড়ে। ক্ষার দ্রবণের মাত্রা নির্ণয় কর।
উত্তরঃ \(0.0996 \ M\)

\(Q.3.(xii)\) ল্যাবরেটরিতে একটি নমুনা \(H_{2}SO_{4}\) দ্রবণের বোতলের লেবেলে \(30\)% \((W/W)\) ও \(1.25 \ g.mL^{-1}\) ঘনত্ব লেখা আছে। এ দ্রবণের \(5 \ mL\) কে পানিতে দ্রবীভূত করে \(100 \ mL\) দ্রবণ প্রস্তত করা হলো। একটি নমুনা \(Na_{2}CO_{3}\) দ্রবণের \(10 \ mL\) কে পূর্ণ প্রশমিত করতে প্রস্তুতকৃত \(H_{2}SO_{4}\) দ্রবণের \(10.5 \ mL\) প্রয়োজন হয়। ক্ষার দ্রবণের মোলার ঘনমাত্রা নির্ণয় কর। এসিড দ্রবণের মাত্রা কত ছিল?
উত্তরঃ \(0.2008 \ M, \ 0.1913 \ M\)

\(Q.3.(xiii)\) মনি 4-ডিজিট ব্যালেন্সে \(1.0589 g \ Na_{2}CO_{3}\) এবং জিমি 2-ডিজিট ব্যালেন্সে \(1.62 g \ K_{2}Cr_{2}O_{7}\) পরিমাপ করে পৃথকভাবে \(100 mL\) মেজারিং ফ্লস্কে নিয়ে প্রয়োজনমতো পানি মিশিয়ে দুটি দ্রবণ তৈরি করল।
\((a)\) মনি ও জিমির তৈরি করা দ্রবণের মোলারিটি বের কর।
\((b)\) উভয় দ্রবণের মধ্যে কোন দ্রবণটি প্রমাণ দ্রবণ হিসেবে অধিক গ্রহণযোগ্য হবে, তা ব্যাখ্যা কর।
উত্তরঃ \((a) \ 0.099 M, \ 0.055 M\)
\((b)\) অনিকের \(Na_{2}CO_{3}\) দ্রবণটি।
ঢাঃ ২০১৭

\(Q.3.(xiv)\) \(100 mL\) দ্রবণে \(1.18 g \ Na_{2}CO_{3}\) দ্রবীভূত আছে। দ্রবণটির মোলার ঘনমাত্রা নির্ণয় কর।
উত্তরঃ \(0.11132 M\)

\(Q.3.(xv)\) \(250 \ mL \ 0.1 M \ Na_{2}CO_{3}\) দ্রবণ কিভাবে তৈরি করবে?

\(Q.3.(xvi)\) \(100 mL\) দ্রবণে \(1.386 g\) অক্সালিক এসিড (\(H_{2}C_{2}O_{4}.2H_{2}O\)) দ্রবীভূত আছে। দ্রবণটির মোলার ঘনমাত্রা কত?
উত্তরঃ \(0.11 M\)

\(Q.3.(xvii)\) \(250 cm^{3}\) অক্সালিক এসিড (\(H_{2}C_{2}O_{4}.2H_{2}O\)) এর \((a)\) সেমিমোলার দ্রবণ ও \((b)\) ডেসিমোলার দ্রবণ তৈরিতে কত গ্রাম দ্রব প্রয়োজন হবে?
উত্তরঃ \((a) \ (xv)75 g; \ (b) \ 3.15 g\)

\(Q.3.(xviii)\) \(250 mL\) দ্রবণে \(7.355 g \ K_{2}Cr_{2}O_{7}\) দ্রবীভূত আছে। দ্রবণটির মোলারিটি কত? [K=39.1, Cr=52]
উত্তরঃ \(0.1 \ M\)

\(Q.3.(xix)\) \(100 mL \ 0.1 M KMnO_{4}\) দ্রবণ তৈরি করতে কত গ্রাম \(KMnO_{4}\) প্রয়োজন হবে? [K=39.1, Mn=55]
উত্তরঃ \(1.581 g\)

\(Q.3.(xx)\) \(250 cm^{3} \ NaOH\) এর \((a)\) মোলার দ্রবণ ও \((b)\) ডেসিমোলার দ্রবণ তৈরিতে কত গ্রাম দ্রব প্রয়োজন হবে?
উত্তরঃ \((a) \ 10 g; \ (b) \ 1 g\)

\(Q.3.(xxi)\) \(250 cm^{3} \ Na_{2}CO_{3}\) এর \((a)\) মোলার দ্রবণ ও \((b)\) ডেসিমোলার দ্রবণ তৈরিতে কত গ্রাম \(Na_{2}CO_{3}\) প্রয়োজন হবে গণনা কর।
উত্তরঃ \((a) \ 26.5 g; \ (b) \ 2.65 g\)

\(Q.3.(xxii)\) \(500 \ mL\) আয়তনের \(H_{2}SO_{4}\) দ্রবণে \(49 \ g \ H_{2}SO_{4}\) দ্রবীভূত আছে। উক্ত দ্রবণের \(50 \ mL\) আয়তনকে \(10\)%\(NaOH\) দ্রবণ দ্বারা প্রশমিত করতে কত আয়তন \(NaOH\)দ্রবণ প্রয়োজন?
উত্তরঃ \(40 \ mL\)

\(Q.3.(xxiii) \ (a)\) \(10\)%\(Na_{2}CO_{3}\) দ্রবণের শক্তিমাত্রা মোলারিটিতে গণনা কর। এ দ্রবণের \(45 \ cm^{3}\) কে প্রশমিত করতে \(0.1 \ M \ H_{2}SO_{4}\) দ্রবণের কত সি.সি. প্রয়োজন?
\((b)\) \(20\)%\(Na_{2}CO_{3}\) দ্রবণের শক্তিমাত্রা মোলারিটিতে প্রকাশ কর।
উত্তরঃ \((a) \ 0.943 \ M, \ 4(xxiv)35 \ cm^{3}\)
\((b) 1.8867 \ M\)

\(Q.(xxiv)\) \(2.7 \ g\) ভরের কোনো এক-অম্লীয় ক্ষারকে পানিতে দ্রবীভূত করে \(200 \ cm^{3}\) দ্রবণ প্রস্তুত করা হলো। ঐ দ্রবণকে সম্পূর্ণরূপে প্রশমিত করতে \(67.5 \ cm^{3}\) মোলার \(HCl\) দ্রবণ প্রয়োজন হলো। ক্ষারটির আণবিক ভর কত?
উত্তরঃ \(40 \ M\)

\(Q.(xxv)\) একটি এসিডের আণবিক ভর \(63\) । ঐ এসিডের \(1.89 \ g\) কে পানিতে দ্রবীভূত করে দ্রবণের আয়তন \(200 \ cm^{3}\) করা হলো। ঐ দ্রবণে কত \(cm^{3}\) পানি মিশ্রিত করলে তা \(1 \ M\) দ্রবণে পরিণত হবে?
উত্তরঃ \(100 \ cm^{3}\)

\(Q.3.(xxvi)\) \(25 mL\) একটি \(Na_{2}CO{3}\) দ্রবণেকে পূর্ণ প্রশমিত করতে \(10.2 mL \ 0.05 M \ H_{2}SO_{4}\) দ্রবণের প্রয়োজন হয়। \(Na_{2}CO{3}\) দ্রবণের মাত্রা নির্ণয় কর।
উত্তরঃ \(0.0204 \ M\)

\(Q.3.(xxvii)\) \(10 \ cm^{3} \ Na_{2}CO{3}\) দ্রবণেকে \(30 \ cm^{3} \ 0.15 M \ HCl\) দ্রবণ দ্বার পূর্ণ প্রশমিত করা হলো। \(Na_{2}CO{3}\) দ্রবণটির ঘনমাত্রা কত? এ দ্রবণের প্রতি লিটারে কত গ্রাম \(Na_{2}CO{3}\) থাকে?
উত্তরঃ \(0.225 \ M, \ (xxiii)85 \ g\)

\(Q.3.(xxviii)\) \(50 \ mL\) সেমিমোলার \(H_{2}SO_{4}\) দ্রবণে \(100 \ mL \ NaOH\) দ্রবণ মিশ্রিত করে দ্রবণটি প্রশমিত করা হয়। \(NaOH\) দ্রবণটির ঘনমাত্রা কত? দ্রবণটিতে কত গ্রাম \(NaOH\) দ্রবীভূত থাকে?
উত্তরঃ \(0.5 \ M, \ 2 \ g\)

\(Q.3.(xxix)\) \(6.2 \ g \ Na_{2}CO{3}\) কে পানিতে দ্রবীভূত করে \(500 \ mL\) করা হলো। এ দ্রবণ থেকে \(5 \ mL\) তুলে নিয়ে টাইট্রেশন করে শেষ বিন্দুতে পৌঁছাতে \(0.1 \ M \ HCl\) দ্রবণের \(10 \ mL\) প্রয়োজন হলে উক্ত \(Na_{2}CO{3}\) নমুনায় ভেজালের শতকরা পরিমাণ নির্ণয় কর।
উত্তরঃ \(14.516\)%

\(Q.3.(xxx)\) \(500 mL \ 0.2 M \ NaOH\) দ্রবণে \(NaOH\) এর ভর কত?
উত্তরঃ \(4 \ g\)

\(Q.3.(xxxi)\) \(250 mL \ 0.2 M \ H_{2}SO_{4}\) দ্রবণ কিভাবে তৈরি করবে?

\(Q.3.(xxxii)\) \(1.17\) আপেক্ষিক গুরুত্ব বিশিষ্ট \(100 \ g\) হাইড্রোক্লোরিক এসিডে \(33.4 \ g\) হাইড্রোজেন ক্লোরাইড আছে। দ্রবণটির মোলারিটি কত?
উত্তরঃ \(10.7 \ M\)

\(Q.3.(xxxiii)\) ল্যাবরেটরিতে \(40 \ mL \ 0.5 \ M \ H_{2}SO_{4}, \ 35 \ mL \ 2 \ M \ H_{2}SO_{4}\) ও \(10 \ mL \ 1 \ M \ H_{2}SO_{4}\) দ্রবণ সংরক্ষিত আছে। দ্রবণত্রয়কে মিশ্রিত করে \(250 \ mL\) মাপন ফ্লস্কে নিয়ে প্রয়োজনীয় পানি যোগে \(250 \ mL\) দ্রবণ তৈরি করা হলো। উক্ত দ্রবণের ঘনমাত্রা কত হবে?
উত্তরঃ \(0.4 \ M\)

\(Q.3.(xxxiv)\) \(4.9 \ g \ NaOH\) হতে কত \(mL\) ডেসিমোলার দ্রবণ প্রস্তুত করা যাবে?
উত্তরঃ \(1225 \ mL\)

\(Q.3.(xxxv)\) একটি পাত্রে \(0.27 \ M \ Na_{2}CO_{3}\) এর একটি দ্রবণ আছে। এই দ্রবণ থেকে তুমি কীভাবে \(0.15 \ M\) এবং \(0.3 \ M\) ঘনমাত্রার দ্রবণ তৈরি করবে?

\(Q.3.(xxxvi)\) \(300 \ mL \ 3 \ M\) এসিডের সাথে কী পরিমাণ পানি মিশ্রিত করলে এসিড মিশ্রণের মাত্রা \(1 \ M\) হবে?
উত্তরঃ \(600 \ mL\)

\(Q.3.(xxxvii)\) সোডিয়াম কার্বনেট (\(Na_{2}CO_{3}\)) \(500 \ mL\) ডেসিমোলার দ্রবণে কত গ্রাম \(Na_{2}CO_{3}\) দ্রবীভূত থাকবে?
উত্তরঃ \(5.3 \ g\)

\(Q.3.(xxxviii)\) \(30 \ mL \ 0.25 \ M \ HCl\) দ্রবণে \(HCl\) এর মোল সংখ্যা ও ভর নির্ণয় কর।
উত্তরঃ \(0.0075 \ mol, \ 0.27375 \ g\)

\(Q.3.(xxxix)\) \(10\)%\(Na_{2}CO_{3}\) দ্রবণের মোলারিটিতে শক্তিমাত্রা বা ঘনমাত্রা কত?
উত্তরঃ \(0.943 \ M\)

\(Q.3.(xL)\) একটি রোগীর রক্তে গ্লুকোজের পরিমাণ \(10 \ m \ mol \ L^{-1}\) মিলিগ্রাম/ডেসি লিটার (\(mg/dL\)) এককে এর পরিমাণ কত?
উত্তরঃ \(180 \ mg/dL\)

\(Q.3.(xLi)\) সামুদ্রিক পানির আপেক্ষিক গুরুত্ব \(1.03\) । এটির \(1 \ L\) পানি নিয়ে বাষ্পীভূত করে \(35.4 \ g\) শুষ্ক লবণ পাওয়া গেল। সামুদ্রিক পানিতে কঠিন বস্তুর শতকরা পরিমাণ নির্ণয় কর।
উত্তরঃ \(3.44\)%

\(Q.3.(xLii)\) \(60 \ mL \ 0.5 \ M \ HCl\) দ্রবণ, \(40 \ mL \ 2 \ M \ HCl\) দ্রবণ ও \(2 \ mL \ 1 \ M \ HCl\) দ্রবণকে একটি \(250 \ mL\) পরিমাপক ফ্লাস্কে নিয়ে শেষে পানি যোগ করে \(250 \ mL\) দ্রবণ তৈরি করা হলো। ঐ প্রস্তুত এসিড দ্রবণের ঘনমাত্রা কত? ঐ দ্রবণে কত গ্রাম বিশুদ্ধ \(HCl\) আছে?
উত্তরঃ \(0.448 \ M, \ 4.088 \ g\)

\(Q.3.(xLiii)\) \(25 \ mL\) একটি \(Na_{2}CO_{3}\) এর জলীয় দ্রবণকে প্রশমিত করতে \(10.2 \ mL \ 0.05 \ M \ H_{2}SO_{4}\) এর প্রয়োজন হয়। \((a)\) মোলারিটিতে \(Na_{2}CO_{3}\) দ্রবণের মাত্রা নির্ণয় কর। \((b)\) \(1 \ L\) দ্রবণে \(Na_{2}CO_{3}\) এর ভর নির্ণয় কর। [\(Na_{2}CO_{3}\) এর আপেক্ষিক আণবিক ভর \(=23\times2+12+16\times3=106\)]
উত্তরঃ \(0.0204 \ M, \ 2.1624 \ g\)

\(Q.3.(xLiv)\) একজন ক্রেতা একটি সোনার গহনা কিনলেন। ওজন করার জন্য বিক্রেতা গহনাটি পল-বুঙ্গী ব্যালেন্সের ডান দিকে রেখে বাম দিকে নিম্নলিখিত ওজনগুলো এবং রাইডারটিকে বিমের ডানদিকে একটি দাগের উপর রেখে জানালেন গহনাটির ভর \(3.5969 \ g\)। পল-বুঙ্গী ব্যালেন্সের বামদিকে রাখা ওজনগুলো হলো \(2 \ g\) একটি, \(1 \ g\) একটি, \(500 \ mg\) একটি এবং \(100 \ mg\) একটি। রাইডারটিকে বিমের ডানদিকে কত নং ঘরে রাখা হয়েছিল? [ রাইডার ধ্রুবক \(=0.0001 \ g\)]
উত্তরঃ \(31\) নং ঘরে রাখা হয়েছিল।

\(Q.3.(xLv)\) \(25^{o}C\) তাপমাত্রায় \(1.13\) আপেক্ষিক গুরুত্ববিশিষ্ট হাইড্রোক্লোরিক এসিডের \(5 \ mL\) একটি মেজারিং সিলিন্ডারে পরিমাপ করার পর ডিজিটাল ব্যালেন্সে ভর পরিমাপ করে দেখা গেল এর পরিমাণ \(5.148 \ g\)। মেজারিং সিলিন্ডারে আয়তন পরিমাপের ত্রুটির মাত্রা শতকরা হিসেবে গণনা কর।
উত্তরঃ \(9.75\)%

\(Q.3.(xLvi)\) \(0.5 \ M\) দ্রবণের ঘনমাত্রাকে শতকরা পরিমাণে রুপান্তর কর। (দ্রবের গ্রাম আণবিক ভর \(98\))
উত্তরঃ \(4.9\)% \(W/V\)

\(Q.3.(xLvii)\) \(1 \ M \ NaCl\) দ্রবণের ঘনমাত্রাকে শতকরা পরিমাণে রুপান্তর কর। (দ্রবের গ্রাম আণবিক ভর \(58.5\))
উত্তরঃ \(5.85\)% \(W/V\)

\(Q.3.(xLviii)\) \(500 \ mL\) ডেসিমোলার \(Na_{2}CO_{3}\) দ্রবণে দ্রবীভূত \(Na_{2}CO_{3}\) এর পরিমাণ শতকরায় প্রকাশ কর।
উত্তরঃ \(1.06\)% \(W/V\)

\(Q.3.(xLix)\) \(0.01 \ M \ NaCl\) দ্রবণের ঘনমাত্রাকে পিপিএম এককে প্রকাশ কর।
উত্তরঃ \(585 \ ppm\)

\(Q.3.(L)\) \(200 \ mL\) দ্রবণে \(0.015 \ g \ KNO_{3}\) দ্রবীভূত আছে। দ্রবণের ঘনমাত্রাকে পিপিএম এককে নির্ণয় কর।
উত্তরঃ \(75 \ ppm\)

\(Q.3.(Li)\) কোনো দ্রবণে \(Fe^{3+}\) এর ঘনমাত্রা \(0.25 \ g/L\) হলে পিপিএম এককে দ্রবণের ঘনমাত্রা কত হবে?
উত্তরঃ \(250 \ ppm\)

\(Q.3.(Lii)\) রক্তে গ্লুকোজের পরিমাণ \(5 \ mg/mL\) হলে পিপিএম এককে ঘনমাত্রা কত হবে?
উত্তরঃ \(5000 \ ppm\)

\(Q.3.(Liii)\) \(250 \ cm^{3}\) সেমিমোলার \(Na_{2}CO_{3}\) দ্রবণের পিপিএম এককে ঘনমাত্রা কত হবে?
উত্তরঃ \(53000 \ ppm\)

\(Q.3.(Liv)\) \(0.002 \ M \ KMnO_{4}\) দ্রবণের ঘনমাত্রা পিপিএম এককে গণনা কর।
উত্তরঃ \(3(xvi)2 \ ppm\)

\(Q.3.(Lv)\) \(200 \ mL\) কোনো দ্রবণে \(1.8 \ g\) এক ক্ষারকীয় এসিড দ্রবীভূত আছে। উক্ত দ্রবণের \(25 \ mL\) কে প্রশমিত করতে কতটুকু ডেসিমোলার \(Na_{2}CO_{3}\) প্রয়োজন হবে? [ এসিডের আণবিক ভর \(=63\) ]
উত্তরঃ \((xvii)875 \ mL\)

\(Q.3.(Lvi)\) \(20 \ mL \ Na_{2}CO_{3}\) দ্রবণ প্রশমিত করতে \(10 \ mL \ 0.1 \ M \ H_{2}SO_{4}\) ও \(20 \ mL \ 0.5 \ M \ HCl\) প্রয়োজন হয়। \(Na_{2}CO_{3}\) দ্রবণের ঘনমাত্রা কত?
উত্তরঃ \(0.3 \ M\)

\(Q.3.(Lvii)\) \(0.25 \ M \ HCl\) দ্রবণের কত আয়তনের সাথে \(1 \ M \ Na_{2}CO_{3}\) দ্রবণের \(30 \ mL \) মিশ্রিত করলে এসিড দ্রবণটি প্রশমিত হবে?
উত্তরঃ \(24 \ mL\)

\(Q.3.(Lviii)\) \(30 \ mL \ 0.8 \ M \ KOH\) দ্রবণ প্রশমনে কত গ্রাম \(H_{2}SO_{4}\) প্রয়োজন হবে?
উত্তরঃ \(1.176 \ g\)

\(Q.3.(Lix)\) \(25 \ mL \ 0.8 \ M \ NaOH\) দ্রবণ প্রশমিত করতে প্রথমে \(10 \ mL \ 0.1 \ M HCl\) যোগ করা হলো। কিন্তু সম্পূর্ণ প্রশমিত করতে \(0.15 \ M HCl\) এর আরও \(8 \ mL\) প্রয়োজন হলো। \(NaOH\) দ্রবণের মাত্রা নির্ণয় কর। এ দ্রবণে \(1\) লিটারে কী পরিমাণ \(NaOH\) আছে?
উত্তরঃ \(0.088 \ M, \ 3.52 \ g\)

\(Q.3.(Lx)\) \(5\)% কস্টিক সোডা দ্রবণের \(40 \ mL\) হাইড্রোক্লোরিক এসিড \(50 \ mL\) কে পূর্ণ প্রশমিত করে। এসিড দ্রবণের মোলারিটি কত?
উত্তরঃ \(1 \ M\)

\(Q.3.(Lxi)\) \(50 \ mL\) সেমিমোলার \(H_{2}SO_{4}\) এবং \(100 \ mL\) ডেসিমোলার \(NaOH\) দ্রবণ মিশ্রিত করলে মিশ্রণটি অম্লীয় না ক্ষারীয় হবে? মিশ্রণটির ঘনমাত্রা নির্ণয় কর।
উত্তরঃ \(0.133 \ M\)

\(Q.3.(Lxii)\) বীমের মাঝখানে জিরো \((0)\) দাগাংকন এবং তা থেকে সর্বডান পর্যন্ত \(50\) টি দাগকাটা আছে এরূপ ব্যালেন্সের রাইডার ধ্রুবক \(0.0001 \ g\) হলে রাইডারের ওজন কত?
উত্তরঃ \(5 \ mg\)

\(Q.3.(Lxiii)\) একটি পল-বুঙ্গী ব্যালেন্সের রাইডার ধ্রুবক \(0.0002 \ g\) হলে রাইডারের ওজন কত? [বীমের বাম্প্রান্তে জিরো \((0)\) হতে ডানপ্রান্তে \(100\) পর্যন্ত দাগ কাটা আছে]।
উত্তরঃ \(10 \ mg\)

\(Q.3.(Lxiv)\) মাঝে জিরো \((0)\) এবং ডানপার্শে \(50\) টি দাগকাটা বিশিষ্ট বীমযুক্ত একটি ব্যালেন্সের রাইডারের ওজন \(10 \ mg\) হলে রাইডার ধ্রুবক কত?
উত্তরঃ \(0.0002 \ g\)

\(Q.3.(Lxv)\) একটি পল-বুঙ্গী ব্যালেন্সের রাইডারের ওজন \(10 \ mg\) হলে রাইডার ধ্রুবক কত? [বীমের বাম্প্রান্তে জিরো \((0)\) হতে ডানপ্রান্তে \(50\) পর্যন্ত দাগ কাটা আছে]।
উত্তরঃ \(0.0004 \ g\)

\(Q.3.(Lxvi)\) \(0.1 \ M \ Na_{2}CO_{3}\) দ্রবণের কী কী পরিমাণ (আয়তন) নিয়ে \(0.01 \ M, \ 0.02 \ M, \ 0.025 \ M, \ 0.03 \ M \ Na_{2}CO_{3}\) এর \(100 \ mL\) দ্রবণ তৈরি করা যাবে?
উত্তরঃ \(10 \ mL, \ 20 \ mL, \ 25 \ mL, \ 30 \ mL\)

\(Q.3.(Lxvii)\) \(12 \ mol \ L^{-1} \) ঘনমাত্রার \(HCl\) দ্রবণ থেকে \(2\) লিটার \(0.1 \ mol \ L^{-1} \) ঘনমাত্রার দ্রবণ তৈরি করার পদ্ধতি বর্ণনা কর।

\(Q.3.(Lxviii)\) একটি \(0.10 \ M \ H_{2}SO_{4} \) দ্রবণের \(400 \ mL\) আয়তন দেওয়া আছে। \((a)\) এই দ্রবণকে লঘু করে এর ঘনমাত্রা \(0.08 \ M\) করলে প্রাপ্ত দ্রবণের আয়তন কত হবে? \((b)\) দ্রবণটি উপরোক্তভাবে লঘুকরণের জন্য কত আয়তন পানি প্রয়োজন?
উত্তরঃ \(500 \ mL \ H_{2}SO_{4}, \ 100 \ mL\) পাতিত পানি।

\(Q.3.(Lxix)\) \(0.5 \ mol \ L^{-1} \ H_{2}SO_{4} \) দ্রবণের সঙ্গে কত আয়তন পানি যোগ করলে \(0.2 \ mol \ L^{-1}\) দ্রবণ তৈরি হবে?
উত্তরঃ \(600 \ mL\) পাতিত পানি যোগ করতে হবে।

\(Q.3.(Lxx)\) অজানা ঘনমাত্রার \(25 \ mL \ H_{2}SO_{4} \) দ্রবণকে প্রশমিত করতে \(0.25 \ M\) ঘনমাত্রার \(28 \ mL \ NaOH\) দ্রবণ প্রয়োজন হলো। \(H_{2}SO_{4} \) দ্রবণের ঘনমাত্রা কত?
উত্তরঃ \(0.14 \ M\)

\(Q.3.(Lxxi)\) \(0.2 \ M\) ঘনমাত্রার \(50 \ mL \ H_{2}SO_{4} \) দ্রবণকে প্রশমিত করতে \(40 \ mL \ Na_{2}CO_{3}\) দ্রবণের প্রয়োজন। \(Na_{2}CO_{3} \) দ্রবণের ঘনমাত্রা \(g \ L^{-1}\) এ নির্ণয় কর।
উত্তরঃ \(26.5 \ g \ L^{-1}\)

\(Q.3.(Lxxii)\) একটি অজ্ঞাত ঘনমাত্রার \(HCl\) এর \(30 \ mL\) আয়তনের দ্রবণ একটি কনিক্যাল ফ্লস্কে নিয়ে তাতে \(0.25 \ g\) গুঁড়া \(CaCO_{3}\) যোগ করা হলো। অতিরিক্ত \(HCl\) কে প্রশমিত করতে \(0.05 \ M\) ঘনমাত্রার \(26 \ mL \ NaOH\) দ্রবণ যোগ করা হলো। প্রদত্ত \(HCl\) দ্রবণের মোলারিটি কত?
উত্তরঃ \(1 \ M\)

\(Q.3.(Lxxiii)\) \(0.2 \ g \ NaOH\) এবং \(0.8 \ g \ KOH\) এর একটি মিশ্রণকে সম্পূর্ণভাবে প্রশমিত করতে \(0.05 \ mol \ L^{-1}\) ঘনমাত্রার কত আয়তনের \(H_{2}SO_{4}\) দ্রবণ প্রয়োজন?
উত্তরঃ \(192.8 \ mL\)

\(Q.3.(Lxxiv)\) একটি হাইড্রোক্লোরিক এসিড দ্রবণের \(25 \ mL\) নিয়ে \(200 \ mL\) আয়তনের লঘু এসিড দ্রবণ তৈরি করা হলো। লঘু দ্রবণ থেকে \(25 \ mL\) আয়তনের দ্রবণে হাইড্রোক্লোরিক এসিডকে প্রশমিত করতে \(0.08 \ mol \ L^{-1}\) ঘনমাত্রার \(30 \ mL\) সোডিয়াম হাইড্রোক্সাইড দ্রবণ প্রয়োজন হলো। গাঢ় হাইড্রোক্লোরিক এসিডের ঘনমাত্রা কত ছিল?
উত্তরঃ \(0.768 \ M\)

Read Board Question3
Q.4-এর বর্ণনামূলক প্রশ্নসমূহ
\(Q.4.(i)\) একাদশ শ্রেণির পলাশ ও শিমুল পরীক্ষাগারে পৃথক পৃথক ভাবে, পল-বুঙ্গী নিক্তি দ্বারা কিছু পরিমাণ সোডিয়াম কার্বনেট মেপে \(100 mL\) পরিমাপক ফ্লাস্কে সমআয়তনের দুইটি দ্রবণ প্রস্তুত করল। শিমুল যে নিক্তিটি ব্যবহার করছিল তার ডান প্যানে \(5.0 g\) এর একটি, \(500 mg\) এর একটি, \(100 mg\) এর একটি, \(20 mg\) এর একটি ও \(5 mg\) রাইডারটিকে বিমের \(20\) নং দাগের উপর ছিল। অন্যদিকে পলাশের ক্ষেত্রে ঐ একই নিক্তির ডান প্যানে \(5.0 g\) এর একটি, \(200 mg\) এর দুইটি, \(100 mg\) এর একটি, \(20 mg\) এর দুইটি ও রাইডারটিকে বিমের \(25\) নং দাগের উপর ছিল।
\((a)\) MSDS এর পূর্ণ রূপ লিখ।
\((b)\) পরীক্ষাগারে প্রাইমারি স্ট্যান্ডার্ড পদার্থ বলতে কী বোঝায়?
\((c)\) উদ্দীপকে পল-বুঙ্গী নিক্তির রাইডার ধ্রুবকটি নির্ণয় কর।
\((d)\) গাণিতিক যুক্তি দিয়ে দেখাও কার তৈরি করা দ্রবণটির মোলার ঘনমাত্রা বেশি হবে?
উত্তরঃ \((c)\) রাইডার ধ্রুবক \(=0.0001 \ g\)
\((d)\) সুতরাং পলাশের তৈরিকৃত দ্রবণের ঘন্মাত্রা বেশি হবে।

straight3 \(Q.4.(ii)\) প্রদত্ত ১নং পাত্রে \(X_{2}CO_{3}\) এর \(2.6575 g\) আছে এবং ২নং পাত্রে অনির্দিষ্ট পরিমাণ \(YMnO_{4}\) আছে। এক্ষেত্রে \(X\) ও \(Y\) এর পারমাণবিক সংখ্যা যথাক্রমে \(11\) ও \(19\) ধরতে হবে। এ উদ্দীপকভিত্তিক সংশ্লিষ্ট প্রশ্নের উত্তর দাও।
\((a)\) দহন তাপ কাকে বলে?
\((b)\) তাপমাত্রার সাথে পানির আয়তনিক গুণফল পরিবর্তনশীল কেন?
\((c)\) পল-বুঙ্গী ব্যালেন্সের সাহায্যে ১ম পাত্রের বিকারকটি কিভাবে পরিমাপ করবে?
\((d)\) উদ্দীপকের ১ম পাত্র ও ২য় পাত্রের বিকারকদ্বয় মাটির \(pH\) পরিবর্তনে কীরূপ ভূমিকা রাখে; তা বিশ্লেষণ কর।
উত্তরঃ \((c)\) \(Na_{2}CO_{3}\) এর ওজন \(=2.6575 \ g\)
ঢাঃ ২০১৯

straight3 \(Q.4.(iii)\) উদ্দীপক সংশ্লিষ্ট প্রশ্নের অনুধাবন করে উত্তর দাও।
\((a)\) রাইডার ধ্রুবক কি?
\((b)\) পরীক্ষাগারে সেকেন্ডারি স্ট্যান্ডার্ড পদার্থ বলতে কী বোঝায় তা ব্যাখ্যা কর।
\((c)\) উদ্দীপকের চিত্র-১ এর কাচ যন্ত্রের ধৌতকরণ কৌশল বর্ণনা কর।
\((d)\) উদ্দীপকের চিত্র-১ ও চিত্র-২ এর কাচ যন্ত্রের গঠন প্রকৃতির সাথে ব্যবহারের ক্ষেত্রে ও পরিমাপের সূক্ষ্ণতার তুলুনামূলক ব্যাখ্যা কর।

straight3 \(Q.4.(iv)\) নিম্নোক্ত উদ্দীপকভিত্তিক সংশ্লিষ্ট প্রশ্নের উত্তর দাও।
\((a)\) মোলারিটি কি?
\((b)\) রিয়েজেন্ট বোতলের রিয়েজেন্টকে কীভাবে দূষণমুক্ত রাখা যায় তা ব্যাখ্যা কর।
\((c)\) উদ্দীপকের \(B\) পাত্রে থাকা \(H_{2}SO_{4}\) এসিডের গ্রাম পরিমাণ নির্ণয় কর।
\((d)\) মাত্রিক বিশ্লেষণে উদ্দীপকের কাচ যন্ত্রের কোনটি কোন কাজে ব্যবহৃত হয় তা বিশ্লেষণ কর।
উত্তরঃ \((c)\) \(B\) পাত্রে থাকা \(H_{2}SO_{4}\) এসিডের গ্রাম পরিমাণ \(=2.45 \ g\)
কুঃ ২০১৬

straight3 \(Q.4.(v)\) পার্শের উদ্দীপকমতে সংশ্লিষ্ট প্রশ্নের উত্তর দাও।
\((a)\) ফার্স্ট এইড বক্স কি?
\((b)\) পল-বুঙ্গী ব্যালেন্সের রাইডার ব্যবহারের সুবিধা ব্যাখ্যা কর।
\((c)\) \(A\) পাত্রে বিদ্যমান \(H_{2}SO_{4}\) এর ভর নির্ণয় কর।
\((d)\) মাত্রিক বিশ্লেষণে উদ্দীপকের কাচযন্ত্রের কোনগুলো অপরিহার্য? বিশ্লেষণ কর।
উত্তরঃ \((c) \ A\) পাত্রে থাকা \(H_{2}SO_{4}\) এসিডের ভর \(=(xxiv)5 \ g\)
যঃ ২০১৭

straight3 \(Q.4.(vi)\) পার্শের উদ্দীপক অনুধাবন করে সংশ্লিষ্ট প্রশ্নের উত্তর দাও।
\((a)\) রাইডার ধ্রুবক কী?
\((b)\) প্রাইমারি স্ট্যান্ডার্ড পদার্থের বৈশিষ্টগুলো লিখ।
\((c)\) '\(A\)' যন্ত্রটিকে ব্যবহার করে কীভাবে \(NaOH\) এর ডেসিমোলার দ্রবণ তৈরি করবে? বর্ণনা কর।
\((d)\) '\(B\)', '\(C\)' এবং '\(D\)' যন্তকে আয়তনমিতিক বিশ্লেষণে কীরূপে ব্যবহার করা হয়- বিশ্লেষণ কর।
সিঃ ২০১৭

straight3 \(Q.4.(vii)\) টাইট্রেশন করার উদ্দেশ্যে একজন ছাত্র নিম্নরূপ গ্লাসসামগ্রী ব্যবহার করে \(Na_{2}CO_{3}\) এর প্রমাণ দ্রবণ প্রস্তুত করল। এরূপ উক্ত দ্রবণের \(10 mL\) মেপে নিয়ে টাইট্রেশনের জন্য প্রস্তুত করল।
\((a)\) সবুজ রসায়ন কি?
\((b)\) শিখা পরীক্ষায় গাঢ় \(HCl\) ব্যবহৃত হয় কেন?
\((c)\) উদ্দীপকে বর্ণিত কাজ সম্পাদনের জন্য চিত্রের কোন কোন গ্লাসসামগ্রী ব্যবহৃত হলো? ব্যাখ্যা কর।
\((d)\) "টাইট্রেশনের জন্য উদ্দীপকে প্রদর্শিত গ্লাসসামগ্রীসমূহ যথেষ্ট নয়।" উক্তিটির যথার্থতা নিরূপণ কর।
চঃ ২০১৫
straight3 \(Q.4.(viii)\) নিচের উদ্দীপকভিত্তিক সংশ্লিষ্ট প্রশ্নের উত্তর দাও।
\((a)\) প্রাইমারি স্ট্যান্ডার্ড পদার্থ কি?
\((b)\) নাইট্রোজেনের আয়নীকরণ বিভব অক্সিজেন অপেক্ষা বেশি কেন?
\((c)\) উদ্দীপকের চিত্র-১ নং যন্ত্র ধৌতকরণ কৌশল লিখ।
\((d)\) চিত্র-১ ও চিত্র-২ এর কোন যন্ত্রের সাহায্যে অধিক সূক্ষ্ণভাবে পরিমাপ করা সম্ভব- কারণসহ বিশ্লেষণ কর।
সিঃ ২০১৫

straight3 \(Q.4.(ix)\) পার্শের চিত্রভিত্তিক উদ্দীপকটি অনুধাবন করে সংশ্লিষ্ট প্রশ্নের উত্তর দাও।
\((a)\) ক্রোমিক এসিড মিশ্রণ কি?
\((b)\) ল্যাবরেটরিতে ব্যবহৃত রাসায়নিক দ্রব্যের পরিমিত ব্যবহারের গুরুত্ব ব্যাখ্যা কর।
\((c)\) \(A\) যন্ত্রের পরিষ্কার করার কৌশল লিখ।
\((d)\) গবেষণাগারে '\(B\)' ও '\(C\)' যন্ত্র ব্যবহারের তুলুনামূলক আলোচনা কর।
যঃ ২০১৭

straight3 \(Q.4.(x)\) নিচের উদ্দীপকভিত্তিক সংশ্লিষ্ট প্রশ্নের উত্তর দাও।
\((a)\) রাইডার ধ্রুবক কি?
\((b)\) সেমিমাইক্রো পদ্ধতি পরিবেশবান্ধব কেন?
\((c)\) উদ্দীপকে প্রদত্ত দ্রবণটির জন্য প্রযোজ্য হ্যাজার্ড প্রতীক অংকন কর এবং তা ব্যাখ্যা কর।
\((d)\) উদ্দীপকের আলোকে উপযুক্ত কাচযন্ত ব্যবহার করে ঐ দ্রবণটি থেকে \(1.0 M\) ঘনমাত্রার দ্রবণ তৈরি করার প্রক্রিয়া ব্যাখ্যা কর।
চঃ ২০১৯

straight3 \(Q.4.(xi)\) নিচের উদ্দীপকভিত্তিক সংশ্লিষ্ট প্রশ্নের উত্তর দাও।
\((a)\) সেমিমাইক্রো বিশ্লেষণ কি?
\((b)\) ব্যুরেট পরিষ্কার কীরূপে করে?
\((c)\) উদ্দীপকের \((I)\) নং চিত্রের বিকারকটিকে কীভাবে ভেজালমুক্ত রাখা যায় তা বর্ণনা কর।
\((d)\) উদ্দীপকের \((II)\) ও \((III)\) নং প্রতীক নির্দেশিত রাসায়নিক দ্রব্যগুলোর ব্যবহার পরবর্তী নিরাপদ পরিত্যাগকরণে বিশেষ পদক্ষেপ গ্রহণ করতে হয়; যুক্তিসহ তা ব্যাখ্যা কর।
বঃ ২০১৭

straight3 \(Q.4.(xii)\) নিচের উদ্দীপকভিত্তিক সংশ্লিষ্ট প্রশ্নের উত্তর দাও।
\((a)\) অ্যান্টি অক্সিডেন্ট কাকে বলে?
\((b)\) সাম্যধ্রুবক \(K_{c}\) এর মান কখনো অসীম হয় না; তা ব্যাখ্যা কর।
\((c)\) উদ্দীপকের '\(A\)' চিত্রের যন্ত্রটিকে উত্তপ্ত করার কৌশল বর্ণনা কর।
\((d)\) উদ্দীপকের '\(B\)' ও '\(C\)' প্রতীক চিহ্নের সাথে সম্পর্কিত রাসায়নিক দ্রব্যাদির ব্যবহারকালে স্বাস্থ্য ঝুঁকি হ্রাসের ক্ষেত্রে করণীয় উপায় সম্পর্কে বিশ্লেষণ কর।
যঃ ২০১৯

straight3 \(Q.4.(xiii)\) নিচের উদ্দীপকের হ্যজার্ড প্রতীক অনুধাবন করে সংশ্লিষ্ট প্রশ্নের উত্তর দাও।
\((a)\) বায়ু শূন্যকরণ কি?
\((b)\) তাপমাত্রা বাড়লে বিক্রিয়ার গতি বাড়ে কেন? ব্যাখ্যা কর।
\((c)\) \(B\) চিহ্নিত চিত্রের উপাদানসমূহের দূষণ মাত্রা কমিয়ে কীভাবে পরিবেশে বর্জ্য পরিত্যাগ করা যায়? বর্ণনা কর।
\((d)\) উদ্দীপকের \(A\) ও \(B\) শ্রেণির দূষকের কোন শ্রেণির যৌগসমূহ মাটি দূষণে অধিকতর ভূমিকা রাখে? বিশ্লেষণ কর।
যঃ ২০১৫

straight3 \(Q.4.(xiv)\) নিচের উদ্দীপক মতে সংশ্লিষ্ট প্রশ্নের উত্তর দাও।
\((a)\) ল্যাবরেটরি কিট কি?
\((b)\) ল্যাবরেটরিতে নিরাপদ চশমা বা গগলস পরার প্রয়োজনীয়তা ব্যাখ্যা কর।
\((c)\) উদ্দীপকে \(C\) প্রতীক কোনো পদার্থের পাত্রে থকলে এর সংরক্ষণ ও ব্যবহারকালীন সাবধানতা বর্ণনা কর।
\((d)\) উদ্দীপকে দেওয়া হ্যাজার্ড প্রতীকগুলোর মধ্যে ঝুঁকির তুলুনামূলক মাত্রা আলোচনা কর।
রাঃ ২০১৬

\(Q.4.(xv)\) নিচের উদ্দীপকভিত্তিক সংশ্লিষ্ট প্রশ্নের উত্তর দাও।
একটি কলেজের শিক্ষার্থীরা তাদের রসায়ন ল্যাবে \(0.01 g\) নমুনা \(5 mL\) আয়তনের টেস্টতিউব ও \(40 mL\) আয়তনের বিকারক বোতলসহকারে বিশ্লেষণ পরীক্ষা করলেন। কাজ শেষে তাদের পরীক্ষা সংশ্লিষ্ট বর্জ্যসমূহ ল্যাবে রাখা বিশেষ চিহ্নিত পাত্রে রাখলেন। অপর একটি কলেজের শিক্ষার্থীরা একই ধরণের পরীক্ষা-নিরীক্ষা শেষে তাদের পরীক্ষা সংশ্লিষ্ট বর্জ্যসমূহ সরাসরি তাদের কলেজের পাশের জমিতে ফেলে দেওয়া হয়।
\((a)\) মোলারিটি কাকে বলে?
\((b)\) রসায়ন ল্যাবে নিরাপদ চশমা ব্যবহার করা প্রয়োজন কেন?
\((c)\) উদ্দীপকের প্রথম কলেজের শিক্ষার্থীদের ব্যবহৃত বিশ্লেষণ পরীক্ষা পদ্ধতি বর্ণনা কর।
\((d)\) পরিবেশ বিবেচনায় দুটি কলেজের ক্ষেত্রে বর্জ্য ব্যবস্থাপনার যথার্থতা বিশ্লেষণ কর।
বঃ ২০১৯

\(Q.4.(xvi)\) নিচের উদ্দীপকভিত্তিক সংশ্লিষ্ট প্রশ্নের উত্তর দাও।
straight3 (এক্ষেত্রে \(A, \ B, \ C\) ও \(D\) যৌগসমূহকে ল্যাবরেটরির একই সেলফে পার্শের ক্রম অনুযায়ী সংরক্ষণ করা হলো।)
\((a)\) দ্রাবক নিষ্কাশন কাকে বলে?
\((b)\) \(UV\) রশ্মির সাহায্যে কীভাবে জাল টাকা শনাক্ত করা হয়?
\((c)\) উদ্দীপকের '\(A\)' যৌগের ক্ষারীয় মূলকের শনাক্তকরণে শিখা পরীক্ষায় যে বর্ণ উৎপন্ন করে তার কারণ ব্যাখ্যা কর।
\((d)\) উদ্দীপক অনুযায়ী \(A, \ B, \ C, \ D\) যৌগসমূহের সংরক্ষণ করার কৌশল সঠিক কীনা তা বিশ্লেষণ কর।
কুঃ ২০১৭

\(Q.4.(xvii)\) রসায়ন পরীক্ষাগারে অতি সতর্কতার সাথে যে সব পদার্থ ব্যবহৃত হয়, তা হলো-
straight3
\((a)\) ক্রোমাটোগ্রাফী কী?
\((b)\) \(Na^{+}\) ও \(F^{-}\) এর মধ্যে কোনটির আকার বড়? ব্যাখ্যা কর।
\((c)\) উদ্দীপকের \((i)\) ও \((iii)\) এর সাথে সরাসরি পানি যোগ করা যায় না কেন ব্যাখ্যা কর।
\((d)\) উদ্দীপকের পদার্থগুলোর অধিক ব্যবহার পরিবেশের ওপর কীরূপ প্রভাব ফেলে তা বিশ্লেষণ কর।
সকল বোঃ ২০১৮

\(Q.4.(xviii)\) নিচের উদ্দীপকভিত্তিক সংশ্লিষ্ট প্রশ্নের উত্তর দাও।
straight3
\((a)\) দ্রাব্যতা কী?
\((b)\) \(2d\) অরবিটাল সম্ভব নয় কেন ?
\((c)\) উদ্দীপকের উপাদানসমূহের সংরক্ষণ পদ্ধতি লিখ।
\((d)\) উদ্দীপকের যৌগসমূহের অপরিমিত ব্যবহার মানব স্বাস্থ্য এবং পরিবেশের জন্য হুমকিস্বরূপ কীনা তা বিশ্লেষণ কর।
কুঃ ২০১৭

\(Q.4.(xix)\) নিচের উদ্দীপকভিত্তিক সংশ্লিষ্ট প্রশ্নের উত্তর দাও।
straight3
\((a)\) সাসপেনশন কী?
\((b)\) \(K\) এর ১৯তম ইলেকট্রনটি \(3d\) অরবিটালের পরিবর্তে \(4s\) অরবিটালে যায় কেন?
\((c)\) ল্যাবরেটরিতে রাসায়নিক দ্রব্য- '\(A\)' এর নিরাপদ সংরক্ষণ ব্যাখ্যা কর।
\((d)\) পরিবেশ সংরক্ষণে ল্যাবরেটরিতে রাসায়নিক দ্রব্য- '\(B\)' এর পরিমিত ব্যবহারের গুরুত্ব বিশ্লেষণ কর।
সকল বোঃ ২০১৮

\(Q.4.(xx)\) নিচের উদ্দীপকভিত্তিক সংশ্লিষ্ট প্রশ্নের উত্তর দাও।
straight3
\((a)\) এনথালপি কাকে বলে?
\((b)\) অ্যামনিয়া একটি প্রশম লিগ্যান্ড; ব্যাখ্যা কর।
\((c)\) উদ্দীপকের '\(C\)' পাত্রের বস্তুটির দীর্ঘ্যকাল সংরক্ষণ প্রণালি বর্ণনা কর।
\((d)\) উদ্দীপকের রাসায়নিক দ্রব্যগুলো ল্যাবরেটরিতে ব্যবহারের সময় কীরূপ নিরাপত্তামূলক ব্যবস্থা গ্রহণ করবে; তা ব্যাখ্যা কর।
ঢাঃ ২০১৭

\(Q.4.(xxi)\) \(HCl, \ NH_{3}, \ NaOH\) রাসায়নিক দ্রব্যগুলো ল্যাবরেটরিতে বিভিন্ন কাজে ব্যবহৃত হয়।
\((a)\) \(MSDS\) এর পূর্ণ রূপ কি?
\((b)\) দ্রাব্যতার ওপর তাপমাত্রার প্রভাব আলোচনা কর।
\((c)\) উদ্দীপকের উপাদানসমূহের নিরাপদ সংরক্ষণ কৌশল বর্ণনা কর।
\((d)\) স্বাস্থ্য ও পরিবেশের ওপর উপাদানসমূহের ক্ষতিকর প্রভাব পরিলক্ষিত হয়; বিশ্লেষণ কর।
রাঃ ২০১৭

\(Q.4.(xxii)\) একজন ছাত্র ল্যাবরেটরিতে \(X\) পদ্ধতিতে \(10 mg\) এর কম পরিমাণ নমুনা নিয়ে এবং ২য় ছাত্র \(Y\) পদ্ধতিতে \(0.5 g\) পরিমাণ নমুনা ও 2% (W/V) \(HCl\) দ্রবণ নিয়ে কাজ করে।
\((a)\) নোড কাকে বলে?
\((b)\) \(Cl_{2}\) অণু অপোলার; ব্যাখ্যা কর।
\((c)\) উদ্দীপকের এসিডটির মোলার ঘনমাত্রা নির্ণয় কর।
\((d)\) উদ্দীপকের কোন পদ্ধতি পরিবেশবান্ধব? বিশ্লেষণ কর।
উত্তরঃ \((c)\) \(0.5479 \ M\)
ঢাঃ ২০১৭

\(Q.4.(xxiii)\) নিচের উদ্দীপকভিত্তিক সংশ্লিষ্ট প্রশ্নের উত্তর দাও।
straight3 \((a)\) বাফার দ্রবণ কাকে বলে?
\((b)\) অক্সিজেনের চেয়ে নাইট্রজেনের ১ম আয়নীকরণ শক্তির মান বেশি কেন? ব্যাখ্যা কর।
\((c)\) উদ্দীপকের \(10 mL \ 'B'\) দ্রবণকে পূর্ণ প্রশমনের জন্য কত \(mL \ 'C'\) দ্রবণ প্রয়োজন হবে? গাণিতিকভাবে তা বিশ্লেষণ কর।
\((d)\) পরীক্ষণ কাজের পর উদ্বৃত্ত বিকারকদ্বয়ের ল্যাবরেটরির ড্রেনে ফেললে পরিবেশ ও স্বাস্থ্যের ওপর কীরূপ ক্ষতিকর প্রভাব পড়বে তা বিশ্লেষণ কর।
উত্তরঃ \((c)\) \(50 \ mL\)
ঢাঃ ২০১৭

\(Q.4.(xxiv)\) গুণগত বিশ্লেষণী রসায়নে কয়েকটি পদ্ধতি আছে; যেমন-
\((i)\) মাইক্রো পদ্ধতি, \((ii)\) সেমিমাইক্রো পদ্ধতি, \((iii)\) টাইট্রেশন পদ্ধতি
\((a)\) ক্ষয়কারী পদার্থের সংজ্ঞা কী?
\((b)\) কাচের যন্ত্রপাতি পরিষ্কারের ক্ষেত্রে সতর্কতাগুলো লিখ।
\((c)\) উদ্দীপকের \((iii)\) নং পদ্ধতিটি ব্যাখ্যা কর।
\((d)\) উদ্দীপকের \((i)\) ও \((ii)\) নং পদ্ধতি দুটির সুবিধা ও অসুবিধাগুলোর তুলুনামূলক আলোচনা কর।
ঢাঃ ২০১৭

\(Q.4.(xxv)\) পরীক্ষাগারে আলম ও মুন গুণগত বিশ্লেষণ কাজের জন্য একটি নমুনা বস্তুর যথাক্রমে \(1.0 g\) ও \(100 mg\) নিয়ে \(20 mL\) ও \(2 mL\) দ্রবণ তৈরি করে পরীক্ষা কাজ শুরু করে।
\((a)\) মোলারিটি কী?
\((b)\) মেজারিং সিলিন্ডারে গাঢ় \(HCl\) এসিড নির্ভুলভাবে পরিমাপের জন্য করণীয় কী
\((c)\) উদ্দীপক মতে, মুনের ব্যবহৃত বিশ্লেষণ পদ্ধতির সুবিধা ও অসুবিধাসমূহ উল্লেখ কর।
\((d)\) উদ্দীপক মতে, আলম ও মুনের ব্যবহৃত বিশ্লেষণ পদ্ধতির তুলনামূলক আলোচনা কর।
ঢাঃ ২০১৭

\(Q.4.(xxvi)\) \(A \ (3s^{1})\) মৌলের হাইড্রক্সাইড, \(HCHO\) এর জলীয় দ্রবণ, \(C_{6}H_{6}\) প্রভৃতি রাসায়নিক পদার্থ বর্তমানে ব্যাপকভাবে ব্যবহৃত হচ্ছে। এ উদ্দীপকভিত্তিক সংশ্লিষ্ট প্রশ্নের উত্তর দাও।
\((a)\) মল্ট কী?
\((b)\) 'সেমিমাইক্রো পদ্ধতি পরিবেশবান্ধব'- এর ব্যাখ্যা কর।
\((c)\) উদ্দীপক '\(A\)' মৌলের হাইড্রক্সাইডের সংরক্ষণ পদ্ধতি বর্ণনা কর।
\((d)\) উদ্দীপকে উল্লেখিত জৈব যৌগদ্বয়ের মধ্যে আমাদের দেশের প্রেক্ষিতে কোনটি অধিকতর হুমকিস্বরূপ, তা বিশ্লেষণ কর।
ঢাঃ ২০১৭

\(Q.4.(xxvii)\) নিচের উদ্দীপকভিত্তিক সংশ্লিষ্ট প্রশ্নের উত্তর দাও।
দ্বাদশ শ্রেণীর শিক্ষার্থী অরুন কেমিস্ট্রি ল্যাবে অম্ল-ক্ষারক টাইট্রেশন করার সময় পাত্রে সংরক্ষিত লঘু \(H_{2}SO_{4}\) দ্রবণটি শেষ হয়ে যায়। কিন্তু সে বিষয়টি তার শিক্ষককে না জানিয়ে টেবিলে রক্ষিত গাঢ় \(H_{2}SO_{4}\) থেকে প্রয়োজনীয় পরিমাণ একটি বিকারে ঢেলে নিয়ে তাতে পানি যোগ করে লঘু করার চেষ্টা করে। এতে তৎক্ষণাৎ এসিড মিশ্রণটি ছিটকে তার শরীরের বিভিন্ন অংশে পড়ে যায়।
\((a)\) অরবিটাল সংকরণ কী?
\((b)\) ফ্লোরিন সবচেয়ে তড়িৎ ঋণাত্মক মৌল কেন ব্যাখ্যা কর।
\((c)\) উদ্দীপকে মতে, প্রাথমিক চিকিৎসা হিসেবে অরুনের কী কী ব্যবস্থা নেয়া উচিত বলে তুমি মনে কর?
\((d)\) 'ল্যাবরেটরির ব্যবহার বিধি সংক্রান্ত অজ্ঞতা ও অসতর্কতাই অরুনের এ দুর্ঘটনার জন্য দায়ী'- উক্তিটির যৌক্তিক মূল্যায়ন কর।
ঢাঃ ২০১৭

\(Q.4.(xxviii)\) নিচের উদ্দীপকভিত্তিক সংশ্লিষ্ট প্রশ্নের উত্তর দাও।
straight3
\((a)\) জিটেক্স গ্লাভস কী?
\((b)\) মোলারিটি তাপমাত্রার ওপর নির্ভরশীল- এর ব্যাখ্যা দাও।
\((c)\) উদ্দীপকে উল্লেখিত যন্ত্রপাতি হতে তিনটি গুরুত্বপূর্ণ যন্ত্র বাছাই কর, যা দিয়ে আয়তনিক বিশ্লেষণ করা যায় এবং তাদের ব্যবহার কৌশল লেখ।
\((d)\) উল্লেখিত দুর্ঘটনা হতে রক্ষা পেতে এবং দুর্ঘটনা পরবর্তী কী সতর্কতা অবলম্বন করা উচিত বলে তুমি মনে কর।
ঢাঃ ২০১৭

\(Q.4.(xxix)\) নিচের উদ্দীপকভিত্তিক সংশ্লিষ্ট প্রশ্নের উত্তর দাও।
straight3
\((a)\) সেমিমাইক্রো বিশ্লেষণ কী?
\((b)\) পরীক্ষাগারে প্রাথমিক চিকিৎসা প্রদানের লক্ষ্যসমূহ ব্যাখ্যা কর।
\((c)\) উদ্দীপকের \(A\) চিত্রের উপকরণগুলোর প্রয়োগ বর্ণনা কর।
\((d)\) উদ্দীপকের উপাদানসমূহ ল্যাবরেটরির নিরাপত্তা বিধানে অতীব জরুরি; বিশ্লেষণ কর।
ঢাঃ ২০১৭

straight3
\(Q.4.(xxx)\) উদ্দীপকটি লক্ষ করঃ
\((a)\) MSDS এর পূর্ণ রূপটি লিখ।
\((b)\) সেমিমাইক্রো বিশ্লেষণ পরিবেশ বান্ধব- ব্যাখ্যা কর।
\((c)\) \(A\) পাত্রের \(10 mL\) দ্রবণকে \(B\) পাত্রে নিয়ে প্রয়োজনীয় পানি সহযোগে নির্দেশক দাগ পূর্ণ করা হলো। দ্রবণের মাত্রা নির্ধারণ কর।
\((d)\) \(B\) পাত্রের \(20 mL\) দ্রবণকে পূর্ণ প্রশমিত করতে \(C\) পাত্রের কত আয়তন দ্রবণের প্রয়োজন? বিশ্লেষণ কর।
উত্তরঃ \((c) \ 0.0274 \ M\)
\((d) \ 2.1507 \ mL\) প্রয়োজন হবে।
ঢাঃ ২০১৭

\(Q.4.(xxxi)\) ল্যাবরেটরিতে মামুন কনিক্যাল ফ্লাস্কে \(0.45 g \ NaOH\) নিয়ে \(100 mL\) দ্রবণ প্রস্তুত করল। উক্ত দ্রবণের \(10 mL\) প্রশমিত করার জন্য সে কনিক্যাল ফ্লস্কে এক ফোঁটা মিথাইল অরেঞ্জ এবং ব্যুরেট থেকে \(5\)% ঘনমাত্রার কিছু \(H_{2}SO_{4}\) যোগ করল।
\((a)\) শিখা পরীক্ষা কী?
\((b)\) পরীক্ষাগারে ওয়াটার বাথ ব্যবহৃত হয় কেন?
\((c)\) মামুন কনিক্যাল ফ্লাস্কে কি পরিমাণ \(H_{2}SO_{4}\) যোগ করেছিল?
\((d)\) উদ্দীপকের ব্যুরেটে \(H_{2}SO_{4}\) এর পরিবর্তে \(NaOH\) ব্যবহার করলে কোনো সমস্যা হবে কিনা মতামত দাও।
উত্তরঃ \((c) \ 1.1074 \ mL \ H_{2}SO_{4}\) যোগ করেছিল।
ঢাঃ ২০১৭

straight3
\(Q.4.(xxxii)\) উদ্দীপকের আলোকে নিচের প্রশ্নগুলোর উত্তর দাও।
\((a)\) ল্যাবরেটরি কিট কী?
\((b)\) সেমিমাইক্রো ও মাইক্রো অ্যানালাইসিসের মধ্যে দুটি পার্থক্য লিখ।
\((c)\) উদ্দীপকের চিত্রেদ্বয়ের মধ্যে কোনটি সঠিক এবং কোনটি ভুল ব্যাখ্যা কর।
\((d)\) শিল্প ও পরিক্ষাগার গবেষণায় উদ্দীপকের প্রক্রিয়ার গুরুত্ব বিশ্লেষণ কর।
ঢাঃ ২০১৭

\(Q.4.(xxxiii)\) মোমেন ল্যবরেটরিতে গবেষণার জন্য দুটি পদ্ধতি নির্বাচন করে। সে একটি কঠিন রাসায়নিক পদার্থেকে বিশ্লেষণের জন্য পদ্ধতি \((I)\) এ \(50 mg\) এবং পদ্ধতি \((II)\) এ \(5 mg\) আয়তন পরিমাপ করে নেয়। এরপর সে একটি তরল রাসায়নিক পদার্থকে বিশ্লেষণের জন্য \((I)\) এ \(1 mL\) এবং পদ্ধতি \((II)\) এ \(0.1 mL\) আয়তন পরিমাপ করে নেয়।
\((a)\) পরিমাপক ফ্লাস্ক কী?
\((b)\) ডিজিটাল ব্যালেন্স ব্যবহারে কি কি সাবধানতা অবলম্বন করতে হয়?
\((c)\) উদ্দীপকে উল্লেখিত \((II)\) নং পদ্ধতির সুবিধা ও অসুবিধাসমূহ উল্লেখ কর।
\((d)\) \((I)\) ও \((II)\) নং পদ্ধতির মধ্যে তুলুনামূলক অবস্থান তুলে ধর।
ঢাঃ ২০১৭

straight3 \(Q.4.(xxxiv)\) পার্শের চিত্রটি লক্ষ করঃ
\((a)\) রিসাইকেলিং কি?
\((b)\) বিকার তৈরিতে বোরোসিলিকেট গ্লাস ব্যবহার করা হয় কেন?
\((c)\) উদ্দীপকের রিয়েজেন্ট ব্যবহারের ক্ষেত্রে কী কী অনুসরণ করা হয় নাই ব্যাখ্যা কর।
\((d)\) উদ্দীপকের দুর্ঘটনা রোধে তোমার পরামর্শ উপস্থাপন কর।

\(Q.4.(xxxv)\) নিচের চিত্রগুলো পর্যবেক্ষণ করে সংশ্লিষ্ট প্রশ্নের উত্তর দাও।
straight3
\((a)\) গ্লাভস কী?
\((b)\) ল্যাবরেটরিতে নিরাপদ চশমা ব্যবহারের প্রয়োজনীয়তা ব্যাখ্যা কর।
\((c)\) \(A\) পাত্রের দ্রবণ প্রস্তুত করতে প্রয়োজনীয় অনার্দ্র \(Na_{2}CO_{3}\) এর পরিমাণ নর্ণয় কর।
\((d)\) মাত্রিক বিশ্লেষণে উদ্দীপকের কাচযন্ত্রগুলোর প্রয়োজনীয়তা বিশ্লেষণ কর।
উত্তরঃ \((c)\) প্রয়োজনীয় \(Na_{2}CO_{3}\) এর পরিমাণ \(=0.53 \ g\)
ঢাঃ ২০১৭

\(Q.4.(xxxvi)\) শিপনের বাড়ি নরসিংদীতে। সম্প্রতি তার বাড়ির আশেপাশে কয়েকটি টেক্সটাইল কারখানা গড়ে উঠেছে। টেক্সটাইল কারখানাগুলো গড়ে উঠার আগে তারা নদী, বিল থেকে প্রচুর মাছ পেতো, চাষাবাদও ভালো হতো। এখন সব মাছ মরে সাবাড় হয়ে গেছে, শস্যের ফলনও আশানুরূপ নয়।
\((a)\) মোলার দ্রবণ কী?
\((b)\) মেজারিং সিলিন্ডারে নির্ভুলভাবে পরিমাপের জন্য করণীয় কী
\((c)\) উদ্দীপকে উল্লেখিত ঘটনা সৃষ্টির কারণ ব্যাখ্যা কর।
\((d)\) কী কী ব্যবস্থা গ্রহণ করলে বিপর্যয়গুলো থেকে রক্ষা পাওয়া সম্ভব হতো? তোমার মতামতের আলোকে লিখ।
ঢাঃ ২০১৭

\(Q.4.(xxxvii)\) নিচের চিত্রগুলো লক্ষ করঃ
straight3
\((a)\) বিষাক্ত পদার্থ কাকে বলে?
\((b)\) পরীক্ষাগারে সিনথেটিক কাপড় ও অলংকার পরিধান করা যাবে না কেন?
\((c)\) উদ্দীপকের প্রতীগুলো দ্বারা যেসব ঝুঁকি নির্দেশ করে তা উল্লেখ কর।
\((d)\) প্রতীগুলোর নির্দেশিত ঝুঁকি থেকে রক্ষা পাওয়ার জন্য গৃহীত সাবধানতা আলোচনা কর।
ঢাঃ ২০১৭

\(Q.4.(xxxviii)\) নিচের চিত্রগুলো পর্যবেক্ষণ কর ও প্রশ্নগুলোর উত্তর দাও।
straight3
\((a)\) ল্যাবরেটরি বর্জ্য কী?
\((b)\) পিপেট ফিলার কীভাবে কাজ করে- ব্যাখ্যা কর।
\((c)\) set-\(A\) এর উপকরণ সামগ্রীতে \(NaOH\) ও \(KMnO_{4}\) দ্রবণ ব্যবহারের প্রভাব ব্যাখ্যা কর।
\((d)\) ল্যাবরেটরিতে অ্যানালাইটিক্যাল বিশ্লেষণে set দুটির যন্ত্রপাতির ব্যবহার ক্ষেত্র এক নয়- বিশ্লেষণ কর।
ঢাঃ ২০১৭

\(Q.4.(xxxix)\) নিচের হ্যাজার্ড প্রতীকগুলো লক্ষ কর ও প্রশ্নগুলোর উত্তর দাও।
straight3
\((a)\) হ্যাজার্ড সিম্বল কী?
\((b)\) পরীক্ষাগারে সেমিমাইক্রো অ্যানালাইটিক্যাল পদ্ধতি ও মাইক্রো অ্যানালাইটিক্যাল পদ্ধতির মধ্যে কোনটি অধিক উপযোগী?
\((c)\) উদ্দীপকের \(C\) প্রতীক কোনো পাত্রে থাকলে উপাদানের পরিত্যাগের কৌশল বর্ণনা কর।
\((d)\) উদ্দীপকের নির্দেশিত হ্যাজার্শ প্রতীকগুলোর মধ্যে ঝুঁকির তুলুনামূলক মাত্রা বিশ্লেষণ কর।
ঢাঃ ২০১৭

\(Q.4.(xL)\) দ্বাদশ শ্রেণীর একজন ছাত্র আয়তনিক বিশ্লেষণের একটি পরীক্ষা সম্পন্ন করার জন্য পরীক্ষাগারে প্রবেশ করল এবং তার টেবিলে ব্যুরেট, সিলিন্ডার, গ্লাস রড, ট্রে, পিপেট, বার্ণার টেস্টটিউব ও কনিক্যাল ফ্লাস্ক এর উপস্থিতি লক্ষ করল। কিন্তু টেস্টটিউব উত্তপ্তকরতে গিয়ে সে দুর্ঘটনার শিকার হলো।
\((a)\) বিক্রিয়ার হার বলতে কী বুঝ?
\((b)\) ভ্যানিশিং ক্রিম এর উপাদানগুলোর নাম শতকরা সংযুক্তিসহ লিখ।
\((c)\) উদ্দীপকে উল্লেখিত যন্ত্রপাতি হতে তিনটি গুরুত্বপূর্ণ যন্ত্র বাছাই কর, যা দিয়ে আয়তনিক বিশ্লেষণ করা যায় এবং তাদের ব্যবহার কৌশল লিখ।
\((d)\) উদ্দীপকে উল্লেখিত দুর্ঘটনা হতে রক্ষা এবং দুর্ঘটনা পরবর্তী কী শতর্কতা অবলম্বন করা উচিত বলে তুমি মনে কর।
ঢাঃ ২০১৭

Read Board Question4
Q.5-এর সৃজনশীল প্রশ্নসমূহ
Read Creative Question
ভর্তি পরীক্ষায় আসা প্রশ্নসমূহ
Read Admission Question

Read More

Post List

Mathematics

Geometry 11 and 12 standard
Algebra 11 and 12 standard
Trigonometry 11 and 12 standard
Diff. Calculus 11 and 12 standard
Int. Calculus 11 and 12 standard
Geometry Honours course standard
Vector 11 and 12 standard
Vector Honours course standard
Algebra 9 and 10 standard
    Coming Soon !

Chemistry